somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নতুন ডন শাহরুখ

০৮ ই অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বলিউডের বাদশা হিসেবে অনেক আগেই স্বীকৃতি পেয়েছেন শাহরুখ খান। একের পর এক সফল মুভিতে অভিনয় করে নিজেকে ক্রমশই নিয়ে যাচ্ছেন জনপ্রিয়তারর্ চূড়ায়। যে অবস্থান থেকে কেবল নিজেকে ছাড়িয়ে যাবার ব্যাপারটি ঘটে। আগস্টের মুক্তি পাওয়া কাভি আলবিদা না কেহনা মুভিটি বলিউড বক্স অফিসে দুর্দানত্দ ব্যবসা করে। মুভিটিতে শাহরুখের অভিনয় শুধু ভক্তদের প্রশংসাই পায়নি সেই সঙ্গে কুড়িয়েছে সমালোচকদের অকুণ্ঠ প্রশংসা। তবে কাভি আলবিদা না কেহনা'র সাফল্যে মোটেই অবাক হননি কিং খান। বরং তিনিই এই অর্জনকে ধরে রেখে সামনে আরো সাফল্যকে নিজের করতে চান। আগামী অক্টোবরেই মুক্তি পাচ্ছে বহুল আলোচিত ডন মুভির রিমেক। বহু বছর আগের ডন মুভিটিতে যে চরিত্রটি অভিনয় করেছিলেন বিগ বি খ্যাত অমিতাভ সেই চরিত্রটিতেই রূপদান করছেন শাহরম্নখ খান। নতুন মুভিটির সাফল্য নিয়ে আশাবাদী তিনি। আগের মুভি এবং সামনে মুক্তি পেতে যাওয়া মুভি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন ইন্ডিয়া টাইমস-এর সঙ্গে। শাহরুখ খানের বয়ানেই সাক্ষাৎকারটি অবলম্বনে লেখা হয়েছে ফিচারটি।
যখন আমরা একটি মুভি তৈরি করি, প্রথমেই প্রত্যাশা নিয়ে ততোটা মাথা ঘামাই না। আমরা সবাই চেষ্টা করি ভালো একটি মুভি তৈরি করতে। যদি এটি ব্যবসা সফলতায় মোড় নেয়, আমাদের সবাই খুশি হয়। লজিকটি হচ্ছে প্রচুর সংখ্যক লোক এটি দেখেছে। লোকেরা আমাকে মুভির ট্রেড ফিগার নিয়ে বলে। তখন আমি ধারণা করি হয়তো মুভিটি অনেকেই দেখেছে। কাভি আলবিদা না কেহনার ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। তবে আমি সঠিক ট্রেড ফিগারটি জানি না। গেল 16 বছর আমি কখনোই বলিউড বক্স অফিস ফিগার দ্বারা প্রভাবিত হইনি। সাফল্যে উলস্নসিত না হয়ে সাফল্যকে ধরে রেখে ভালো কাজ করার পৰে আমি।
ডন মুভির রিমেককে প্রাথমিক পর্যায়েই অমিতাভ বচ্চন অভিনীত আগের ডন মুভির মতো হিট হবে ভাবা হচ্ছে। তবে আমি পুরোপুরি এভাবে বলতে চাই না। আমি মনে করি না দুটি মুভির মধ্যে কোনো তুলনা আসতে পারে। মনে রাখা উচিত নতুন ডন তার সেট ফেলছে ভিন্ন একটি সময়ে। ত্রিশ বছর পর পুরোপুরি ভিন্ন পরিবেশে।
আমি মনে করি আগের ডন ওয়ান্ডারফুল একটি মুভি ছিল। তবে এই ডন ভিন্ন লেভেলের আকর্ষণ উপহার দেবে। মুভিটি তৈরিতে বেশ কিছু ইয়াং বস্নাড যুক্ত হয়েছে। ফারহান আখতার এবং রিতেশ সিদ্ধানত্দির মতো খুবই কর্মঠ ফিল্ম মেকাররা কাজ করছে। মিউজিক ডিরেকশনের কাজ করছে শংকর, এহসান এবং লয়। আমি মনে করি দুটির মধ্যে কমপ্যারিজন করে ক্রেডিট দিতে গেলে তা ভুল এবং অড একটি বিষয় হবে। এখনকার আইডিয়াটি কখনোই অরিজিনাল ডনের সঙ্গে মিল খাবে না। ত্রিশ বছরের জেনারেশন গ্যাপের পর মুভিটি তৈরি হয়েছে। আমাদের জন্য এটি চিনত্দা করা ভালো যে এটি বর্তমান জেনারেশনের উপস্থিতি এবং চিনত্দা ভাবনার ফসল।
নতুন ডনের ব্যতিক্রমী কিছু বিষয়, বন্ড স্টাইল এবং আমার ব্যতিক্রম উপস্থিতি নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। তবে আমি বলতে চাই, এটি মোটেই জেমস বন্ডিশ টাইপের মুভি নয়। তবে হঁ্যা, ব্রুস উইলিস-এর 'দি ডে অফ দি জ্যাকাল'-এর সঙ্গে কিছুটা মিলের কথা উঠছে। তবে আমি মনে করি সেই মুভিটিতে শ্বাসরম্নদ্ধকর বিষয় একটু বেশি মাত্রার। নতুন ডন পুরোপুরি তেমন নয়। এতে ভিন্ন রকমের স্টাইলের প্রয়োগ রয়েছে। ফিল্ম মেকিং-এর ৰেত্রেও আগেরটি থেকে নতুনটিতে অনেক নতুনত্ব এসেছে। অরিজিনাল ডনের একটি ডায়ালগ আমার খুব প্রিয় ছিল। সেটি নতুন মুভিতে একেবারেই ইনকর্পোরেট করা হয়নি। আমার ব্যক্তিগত প্রিয় ডায়ালগটি ছিল, যখন প্রাণ সাব বলেন, আস ডায়েরি মে এক দাদি বালে কা ভি না থা...' কিন্তু এখানে সমানভাবে জনপ্রিয় আরেকটি সংলাপ রয়েছে 'ডন কো পাকাড়না মুশকিল হ্যায় নাহি নামুকিন হ্যায়। আমার চরিত্র নিয়ে আমি অরিজিনাল ডন অর্থাৎ অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কোনো কথা বলিনি। কিন্তু আমি কোথায় যেন পড়েছিলাম, তিনি ডন দেখতে পছন্দ করেন। আমরা এটাও প্রত্যাশা করি নতুন ডন মুভিটি দেখতেও তিনি পছন্দ করবেন।
নতুন ডন কি জনপ্রিয়তা পাবে? এর উত্তর কেবলই দর্শকদের কাছে। তবে এর জন্য অপেৰা করতে হবে মুভিটি মুক্তি পাওয়া পর্যনত্দ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এয়ার এম্বুলেন্স ও তিন বারের প্রধানমন্ত্রী’কে নিয়ে জরিপে আপনার মতামত দেখতে চাই॥

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৩০

যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডন শহরে বসবাস করছেন। সেই দলের মূল নেত্রী অসুস্থ। আর তাকে চিকিৎসার জন্যে বিদেশ যাওয়ার এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিবে কাতারের আমির। বিএনপি এবং জিয়া পরিবারের কি এতটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×