চাওয়াটা মুক্তিযোদ্ধা কোঁটা বাতিল নয়, বরং মুক্তিযোদ্ধা-র সন্তানেরা, পরিবার, তাদের উত্তরসূরিরা যাতে কোন ভাবেই কারো এলারজির কারণ হয়ে না পড়ে সেটাই।
একবারই সরকারী চাকরীর আবেদন করেছিলাম। ২৯ তম বিসিএস। কোঁটা- ফোটা নিয়ে ভাবতে হয়নি। সূর্যের অপর পৃষ্ঠের তাপ কত- এই প্রশ্ন টা দেখেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেছিল। কোন পৃষ্ঠ আমার জন্যে অপর? আর কোন পৃষ্ঠই বা আমার দিকে? আমিতো বিজ্ঞানের ছাত্রও নই। তখনই হল ত্যাগ করেছিলাম।
এখনকার যারা মাঠে নামছে তাদের দাবী আদায়ের জন্যে, তাদের অনেকের কষ্টই বুঝতে পারি। এখানে গনহারে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির ট্যাগ দিয়ে আর দলীয় রাজনীতি করবেন না। সব বিচ্ছিরি হয়ে উঠছে।
অনেক ছাত্রই আছে যাদের জীবনে বিসিএস ক্যাডার হওয়া নোবেল পাবার চেয়ে কম তাৎপর্য রাখেনা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, পঁচিশে, ছাব্বিশে পাতার পর পাতা পড়ে তৈরি হয়ে সে যখন তার চে কম নাম্বার প্রাপ্ত-দের তার আগে দৌড়ুতে দেখবে, সেটা আসলে কতটুকু সুখকর দৃশ্য?
হ্যা... অনেকের মতো খুব বিচ্ছিরি ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয়, মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করেছেন, সেক্ষেত্রে তাদের কোটা অবশ্যই প্রাপ্য।
-নাহ... সেক্ষেত্রে বরং তাদের সরাসরি নিয়োগ দিন। পরীক্ষা নিন অন্যদের। কারণ অন্তত লড়াই টা মহান মুক্তিযুদ্ধ বনাম স্বাধীন দেশের চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে না হোক। এত বাজে লড়াইয়ের ক্ষেত্র না হোক বাংলাদেশ।
সম্মান দিন... মুক্তিযুদ্ধ কেও... মেধাকেও... স্বাধীন দেশটা দিন দিন পঙ্গু হচ্ছে মেধার অভাবে। নতুন যোদ্ধাদের সুযোগ দিন দেশ গড়ার।
যুদ্ধ তো এখনোও শেষ হয়নি... তাই না?