রাতের অন্ধকারে সবার অলক্ষে কারা যানি রাজিবকে কুপিয়ে মেরে ফেলল!! তারা নাকি আবার গ্রেপ্তারও হয়ে গেছে। বাংলাদেশ পুলিসের ত্বরিতকর্মের নিদর্শন এতদিনে আমরা হাতেনাতে পেয়ে গেলাম। এবার বিচারকদের ত্বরিত রায়ও হয়ে যাবে নিশ্চয়ই। এরপর খুব সম্ভবত জল্লাদ সাহেবের কর্ম শুরু। এই গাধা মার্কা খুনীরা বিরাট ভুল করে ফেলেছে, তারা যদি দিনের আলোয় সিনেমাটিক কায়দায় কাজ করত তবে তারা নিশ্চয়ই ক্ষমা পেয়ে যেত। বুক ফুলিয়ে দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াতে পারত। আফসোস!! আফসোস!! পরিচালকের ঘটে কোন বুদ্ধি নেই। তারা যদি সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে আপ্যায়ণ করে তারপর তাদের সামনে খুনের (অ)প্রিয় কর্মটি সাধণ করত তবে কি আর এত ঝামেলা হতো? কখনোই না। কেন ?? কয়েক মাস পূর্বেই তো কি সুন্দরভাবে বিশ্বজিৎ নামের ছোকড়াটিকে কি সকালবেলা সাবাড় করে ফেলা হলো। এ থেকেও কি তোরা শিক্ষা নিস নি? শেখ বাবা শেখ, শেখার এখনো অনেক বাকি আছে। পুলিসের পাহাড়ায় থেকে কি সুন্দর করে মাল খালাস করতে হয়-শিখে নে। সবাই দেখল বিশ্বজিতকে কারা মারল, কিভাবে মারল। খুনীদের নাম পরিচয় পরদিন টিভি সংবাদে, পত্রিকার পাতায় লেখা হল, তারপর তারা মাফ......। বোঝ ঠেলা!! গোপনে এ কাজ কাজ করতে হয় না। এইটা ডিজিটাল যুগ। খুন করার ছবি ফেসবুক, ব্লগে না আসলে হয়?
নতুন আরও খুনী আসবে। তারা ইউটিউবে এ ভিডিও দেখে দেখে শিক্ষা অর্জন করবে। এহহে সরকার এই কয়দিন কেন যেখালি খালি ইউটিউব বন্ধ কইরা রাখলো। নইলে এ কয়দিনে নতুন ও অতি পুরাতন খুনীদের সুবিধা হইত। তারা বার বার ঐ ভিডিও দেখে শিক্ষা নিতে পারত।
এ বিষয়ে অতি সত্ত্বর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে BBA in Murder Management, BSC in Murder Technology, BA in Murder History etc. ডিগ্রির জন্য বিভিন্ন বিভাগ খোলা যাইতে পারে। তাইলে সাধারণ বিভাগের ছাত্ররা আর রাজনীতি করবে না, খুন তো দূরের কথা। খুন করতে আসলে উচ্চশিক্ষার বড় দরকার। তাইলে সঠিক পন্থায় খুন করবে কিন্তু কোন ঝামেলা থাকবে না।