somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আসিফ ইকবাল তােরক
সুন্দর চেহাড়া মানুষকে মুখোশ দেয় আর সুন্দর মন মানুষকে সুন্দর করে! কুৎসিত মনকে সুন্দর চেহারা দিয়ে স্বল্প সময় আড়াল করা যায় কিন্তু বেশিক্ষন লুকিয়ে রাখা যায় না।

গল্প - চরিত্র!!

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার একটা ডায়রী আছে। ডায়রীটার একটা নামও আছে! "চরিত্র"!! এই নাম করনের পিছনেও অবশ্য একটা কারন আছে! যখনি ইন্টারেস্টিং কারো সাথে দেখা হয় বা কথা হয় তার বর্ননা লিখে রাখি ডায়রীতে! এই জন্যই নাম দিয়েছি চরিত্র। অনেকদিন পর যখন ডায়েরীটা পড়ি তখন প্রত্যেকটা চরিত্র আমাকে অতীতের একটা সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। আইডিয়াতা অবশ্য আমার এক প্রিয় লেখকের কাছ থেকে চুরি করা! কিভাবে লিখি সেটার একটা উদাহারন দিচ্ছি:
=================
নাম: গেন্দার মা!
বয়স: ৭৫ এ দূর্ভিক্ষের সময় জন্ম
পেশা: কাজের বুয়া!
বর্ননা: গেন্দা সম্ভবত তার ছেলের নাম তাই সবাই গেন্দার মা বলে ডাকে! আমি অবশ্য ইচ্ছে করেই কখনো নাম জিজ্ঞেস করিনি! আমরা কত সিম্পল জিনিস জানিনা জানার চেস্টাও করিনা! যেমন, আমাদের প্রত্যেকের বাসার কাজের বুয়ার নাম! আমার অবশ্য দরকার পরলে বুয়া বলেই ডাকি! গেন্দার মা সবসময় রান্নার সময় লবন বেশি দিবে! যদি তাকে ডাক দিয়ে বলেন যে লবন কম করে দিতে পরের বার দেখা যায় লবন এত বেশি দিয়েছে যে তরকারী খাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে! এই জন্য গেন্দার মাকে কেউ কিছু বলে না। গেন্দার মার আরেকটা সমস্যা হচ্ছে ভুলোমন। কখনো যদি বলি বুয়া এক কাপ চা দিওতো দেখা যাবে পরবর্তি একঘন্টা তার কোনো খবর নাই। তার পর হঠাৎ এসে জিজ্ঞেস করবে ভাইয়া আফনে কিছু চাইছিলেন?? কিছুক্ষন মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলি না কিছু চাই নাই, যাও তুমি তোমার কাজ করো.....
==================
আচ্ছা আপনারা কয়জন আপনাদের বাসার কাজের বুয়ার নাম জানেন? প্লিজ স্ট্যাটাসের কমেন্টে আপনার বাসার বুয়ার নামটা লিখবেন!
কারো কারো ক্ষেত্রে অবশ্য নাম, বয়স, পেশার বাইরেও আরো কিছু ট্রেইট থাকে! ডিপেন্ড করে চরিত্রের উপর! যেমন: প্রথম পরিচয়, পরিচয়ের ক্ষেত্র! বর্ননার নিচে অবশ্য সবসময় ফাঁকা জায়গা থাকে যাতে পরবর্তিতে কিছু মনে পরলে লিখে রাখতে পারি!
আরেকটা উদাহরণ দেই যেমন,
==================
নাম: আবুল কালাম
পেশা: ইংরেজী শিক্ষক
বয়স: আনুমানিক ৫৫ এর কাছাকাছি
প্রথম পরিচয়: ২০০২ সালের মেট্রিক পরীক্ষার আগে!
বর্ননা: প্রতিদিন সকালে স্যারের কাছে পড়তে যেতাম। সম্ভবত শীতের সময় তিন মাস পড়েছিলাম। প্রতিদিন কুয়াশার মধ্যে ২০ মিনিত হেটে স্যারের বাসায় যেতাম! বাসার থেকে যদিও রিক্সা ভাড়ার টাকা দিয়ে দিতো তারপরও টাকা বাচানোর জন্য পায়ে হেটেই যেতাম! যাওয়ার সাথে সাথেই স্যার একটা প্যারাগ্রাফ লিখতে দিয়ে ভিতরে চলে যেতো! আর আমরা এইদিকে দেখা দেখি করে লিখতাম! স্যারের একটা সুন্দরী মেয়ে ছিলো। সেই সময় আমাদের ক্লাশের আরেক ছেলের সাথে মেয়েটা প্রেম করত! পরবর্তিতে তাদের প্রেম অবশ্য সফলতা পেয়েছিল! ঐ প্রেমিকজুগলের বিয়ে হয় এবং বর্তমানে সুখে শান্তিতে বসবাস করছে, তাদের আবার দুইটা বাচ্ছাও হয়েছে!
====================
আইডিয়াটা খুব মজার! তাই না! এখানে কিছু কিছু চরিত্রের বর্ননা পাস্ট টেন্সে লেখা আবার কিছু প্রেজেন্ট টেন্সে লেখা! এর কারন হচ্ছে কিছু কিছু মানুষের কথা হঠাৎ মনে পরে যাদের সাথে অনেক আগে দেখা বা পরিচয় হয়েছিল এই আইডিয়া পাওয়ার আগে! যখন কারো কথা মনে পরে তখনি লিখে রাখি! এখন নিশ্চই ভাবছেন সবার কথা যেহেতু লেখা থাকে সেহেতু পুরানো প্রেমিকাদের কথাও লেখা থাকবে! বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না! সেটাতো লেখা থাকবেই! যেমন,
=====================
নাম: আশালতা
পেশা: প্রেম করা/ছাত্রী
বয়স: অরিজিনালী ২২ জিজ্ঞেস করলে বলে ১৮
বর্ননা: সামনা সামনি মিষ্টি কথা বলা কিন্তু সুযোগ বুজে পিঠে ছুরি মেরে পালিয়ে যাওয়ায় ওস্তাদ! চরম কিপ্টা! গিফট পাইতে খুব পছন্দ করত দিতে না! রেস্টুরেন্টে খাইতে খুব ভালোবাসে.....
======================
এরকম আরো তিন চারটা ক্যারেক্টারের বর্ননা আছে ডায়রীতে! যাই হোক এতক্ষন যা পড়লেন সবটাই বানিয়ে বানিয়ে লেখা! সিরিয়াস কিছু না তবে চিন্তা করছি যে এখন থেকে একটা ডায়রী কিনে সবার কথা লিখে রাখব!
তবে নিশ্চিত আজকে এই স্ট্যাটাস পড়ার পর আমার বউ সারাঘর তন্ন তন্ন করে ডায়রী খুঁজবে!
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×