এখন আর সেই খেজুরের রস নেই সাথে পিঠা পায়েস খাওয়ার ব্যাপারটাও হারাতে বসেছে,শীতের আনন্দটাই কেমন পানসে হয়ে গেছে।ছোটবেলায় হাড়কাপানো শীতের সকালে ঘুম থেকেই উঠেই ঢকঢক করে এক গ্লাস কাচা খেজুরের রস খেয়ে ঠকঠক করে কাপতে থাকার দিনগুলোকে বড্ড মিস করি। এখন আর কেউ শীতের সকালে আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে বসে শীত নিবারনের চেষ্টা করে না। খেলার জায়গার অভাবে এখনকার বাচ্চারা শীতের রাতে আলো জ্বালিয়ে ব্যাডমিন্টন খেলার মজা থেকে বঞ্চিত। ফাস্টফুডের দৌরাত্ম্যে ভাপা পিঠা, রস চিতই,সেমাই পিঠা,কুলি পিঠা খাওয়ার প্রচলন একেবারেই নেই। শীতের সকালে খেজুর রসে ভেজানো চিতই পিঠা খাওয়ার প্রথা একেবারে বিলুপ্তির পথে। এখনকার বাচ্চারা আর পাটকাঠি দিয়ে নল বানিয়ে খেজুর রস চুরি করে খায় না।
তবুও শীত আসবে প্রকৃতি সেজে উঠবে বাহারি রঙিন ফুল আর শাকসবজিতে। ইতিমধ্যেই দোকানীরা শিম,মুলা,গাজর, ফুলকপি,বাধাকপি,পালং শাকের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করে বসে গেছে। শিগ্রীই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়বে মাঠঘাট পথ প্রান্তর।
শীতের ঐতিহ্যগুলো নষ্ট হয়ে গেলেও শীতের তীব্রতা কিন্তু কমে নি, এখনও উওরাঞ্চলের অনেক মানুষ শীতে কষ্ট পায়। আমাদের সবাইকে তাদের কথাটা মাথায় রাখতে হবে,পাশাপাশি উড়ে এসে জুড়ে বসা রোহিঙ্গাদের কথাটাও ভাবতে হবে। সবাইকে শীতের আগমনী শুভেচ্ছা।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪