আচ্ছা বলেন তো বাঙ্গালিরা মানুষ আবার ইংরেজরাও মানুষ, তাহলে এক জাতির সাথে আরেক জাতির এত বৈষম্য কেন? এক জাতি আরেক জাতিকে মারে কিভাবে? পৃথিবীতে মানুষ একমাত্র জীব যারা স্বজাতিকে হত্যা করে যা অন্য কোন প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়না। আবার মানুষ নাকি সৃষ্টির সেরা জীব। কোন দিক থেকে সেরা তা আমার মাথায় ঢোকেনা। আমাদের পুরো পৃথিবীতে এখন কয়েকশো দেশ আছে। কিন্তু আমার সমস্যা হল প্রত্যেকটা দেশকে আলাদা করে দিল কে ? কে প্রত্যেকটা দেশের সীমানা নিরধারন করে দিল? কেন এক দেশের লোক আরেক দেশের ভেতরে যেতে পারবে না ? কেন ইচ্ছা করলেই এক দেশের লোক আরেক দেশের লোকের ভাল মন্দ খোঁজখবর নিতে পারবে না। এক দেশ বিপদে পড়লে কেন আমি সাহায্যের জন্য তার কাছে ছুটে যেতে পারবনা? অথচ আমরাই আবার গ্লোবাল ভিলেজ এর কথা বলি। আবার আমরাই দেশের সীমানা নিয়ে মারামারি করি। আমার প্রশ্ন হল দেশের সীমানাই বা থাকবে কেন? এই সীমানা কারা নিরধারন করে দিল? একটা জাতি কিভাবে জানবে যে তার সীমানা কতটুকু ? আল্লাহ তো সবাইকে সমান মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। তবে আমরা কিভাবে সীমানা নিরধারন করি যার মালিক আমরা নই? আল্লাহ মানুশকে সৃষ্টি করেছেন এবং বসবাসের জন্য দুনিয়াকে বাসযোগ্য করেছেন। এর মধ্যে আমরা আবার সীমানা দেই কিভাবে? সৃষ্টিকর্তা তো কোন সীমানা নিরধারন করে দেই নাই। তাহলে আমরা কি সৃষ্টিকর্তার চাইতে বেশি বুঝি? মানুষ যেদিন থেকে সৃষ্টিকর্তার থেকে বেশি বোঝা শুরু করছে সেদিন থেকেই সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পরেছে। আজ পৃথিবীতে চাঁদে যাওয়ার জন্য মহাকাশ স্টেশন তৈরি হয়, কোন দেশকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারমানবিক বোমা আবিষ্কার হয় কিন্তু পৃথিবীর সমস্ত মানুষ কিভাবে ক্ষুধা মুক্ত হবে তা নিয়ে কেউ গবেষণা করে না। যুদ্ধের সময় এক দেশ আরেক দেশকে ধ্বংস করার জন্য কয়েক মিনিটের মধ্যে হাজার হাজার টন বোমা ফেলার জন্য রেডি থাকে, কিন্তু কোন দেশ খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকলে কেউ সেখানে টন কে টন খাদ্য বহন করার জন্য রেডি থাকেনা।

আর এই ধর্মের বিভেদ কারা সৃষ্টি করল সেটাও জানার দরকার আছে। কারন জন্মের সময় মানুষ কোন ধর্ম নিয়ে জন্মায় সেটাও আমার একটা বড় চিন্তার বিষয়। সব ধর্ম যদি আলাদা আলাদা হত তাহলে মানুষ জন্মের সময় সবাই যার যার ধর্মের লোগো সহ আসতো। তাহলে আমাদেরও বুঝতে সুবিধা হত। আচ্ছা কিভাবে বুঝব যে একটা লোক হিন্দু নাকি মুসলমান ? কোন উপায় আছে কি? তাহলে এত ধর্ম আসলো কোথা থেকে? কারা তৈরি করল এত ধর্ম, কেনইবা করল? এই ব্যাপারে পরে আলোচনা হবে.।.।.।.।আশা করি সবাই সময় দেবেন.।.।.।।

আমাদের বিজ্ঞানগত ক্ষমতা আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে পরাজিত করেছে। আমরা মিসাইলকে পথনির্দেশনা দিয়েছি আর মানব-কে পথভ্রষ্ট করেছি।