somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাঁচটি কবিতা

২৭ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

১.
ময়ূরের ছদ্মবেশে থাকে ঘুম, নেশা, পদ্মরাগমনি।
স্বপ্ন থেকে দূরে কোনো অপার্থিব সৌরটানে পৌছে দেখি
দুই পৃথিবীর মাঝে দাঁড়িয়েছে সপ্রাণ মেঘখণ্ড।

যারা নৈঃশব্দ বোঝেনি তারা তাকে আনমনে ডাকে।
ময়ূর চমকে ওঠে, যেনবা ঝুলন্ত সাপ অতর্কিতে
মুখ থেকে ঢালবে আগুন, গলে যাবে মেঘের প্রাচীর-
দেখা হবে মূকুেরর সাথে, নিজের হৃদয়ে শুয়ে থাকা
অতি-পরিচিত সেই সাপটির সাথে।

২.
উজ্জ্বল বাদামীপাত্র, তাতে মদ, শরীরবৃক্ষের রস
অলৌকিক বিহ্বলতায় মিশে আছে, এর নাম অস্তরাগ
এর গভীরতা তুমি বরফে ঢাকা হৃদয়খণ্ডকে দেখে
বুঝে নিতে পারো।

যেন, সমস্ত ধ্বংসের পর মূহ্যমান তাবুর ভেতরে কারা
একাই দপদপ করছে।

মূলত সে অসত্যভাষণ, এর রূপ,গন্ধ,সুরের দক্ষতা
একদিন বিচ্ছিন্ন ঘড়ির কাটায় ভর দিয়ে, হিমবাহ টপকে
শীতেই ফুরিয়ে যাবে।

৩.
গোধূলিতে মেঘরক্তে লক্ষ্য করি উল্লম্ফন, হাড়মজ্জা ঠাণ্ডা হয়ে আসে।
বৃক্ষকাণ্ডকে লেহন করে আলো- যেনবা অশ্বের রক্তজিহ্বা।
অসহজ বায়ু বয়,দূরের আকাশে সচকিত নক্ষত্রবুকের দপদপ শব্দে বুঝি,
দেয়াল টপকে এইমাত্র নামল আততায়ী, গুলি হল।
ঝুমঝুমি একা পড়ে থাকলো, উন্মাদ রাস্তায় নেমে তির্যক বৃষ্টিতে ভিজে
চলতি কোনও গান গাইল,দূরে হারমোনিকার সুরে ভেসে আসলো
আমার কৌশোর।

৪.
আজও স্বপ্নেরা সুরচালিত, মৃগয়ায় দেখা পাই তার।
প্রতিসরণের নিয়মে বনচ্ছায়া স্ফীত হয়ে ওঠে।
ঐ গাছ ঝুকে থাকে পরস্ত্রীর দিকে, ঝুকে থাকে ফলা।
শুনেছি শিকারবার্তা তার তলে অন্তশীল বয়।
সবচেয় উচু পাহাড়ে দাঁড়িয়ে নেউল চাঁদকে ফাদে ফেলবে
আর ভাবে ঐ কালো গুহার ভেতরে এক লাফে ঢুকে যাবে কীনা।
৫.
চারদিকে ঘুম নেমে আসে, দেহকাণ্ড সবুজাভ হয়।
আমি ক্ষুধার্ত সিংহের কেশরকে দমবন্ধ নক্ষত্রঝড় বলে ভুল করি।
গান ছেড় যারা উঠে গেছে, তাদের প্রত্যেকের ডানা খসে গেছে।
লাল সাইরেনে সড়কের পাশে দাড়ানো গাছগুলো রং বদলায়-
আমি রক্ত ভেবে ভয় পাই, এক অতিজীবিত দৃশ্যের ভয়ে
তাকে ফেলে দৌড়ে চলে আসি।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:১৭
২৯টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×