নারী স্বাধীনতা এবং নারীর নান্দনিকতা, সৌন্দর্য বিলীন হওয়া এগুলো এক কথা নয়। নারীর মাঝে যদি কোমলতা বা নারীত্বই না থাকে তাহলে সে কিসের নারী? আমি নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে নয়, আমি নারীর সৌন্দর্য নারীর নান্দনিকতার স্বপক্ষে। পুরুষের মত পোশাক পরা, হাতে সিগ্রেট জ্বালিয়ে রাস্তায় হাঁটা, বখাটে ছেলেদের মত বন্ধুদের আড্ডায় দু একটা বেফাঁস কথা বলা যদি মনে করা হয় এসবের মাঝে নারী স্বাধীনতা বিদ্যমান তাহলে সেটা মারাত্মক ভুল এবং নারীর সৌন্দর্যের চরম অবক্ষয়। ছেলেরা যেমন রাস্তার পাশে, ঝোপে, আড়ালে-আবডালে কিংবা পাবলিক শৌচাগারে দাঁড়িয়ে মুত্র ত্যাগ করে নারীরা সেরকম পারেনা আর নারীদের পারতে চাওয়াটাও মারাত্মক ভুল, অন্যায়।
কিছুদিন আগে একজন ভদ্র মহিলা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নারীর একান্ত কিছু গোপন রোগ নিয়ে। নারীর বিশেষ কিছু রোগ বাইরে বলা যাবেনা আমি সেটা বলছিনা। তাঁর লেখার ভাষা ছিল কদর্য, অশোভন অশালীন। প্রায় বেশীরভাগ নারী মন্তব্যে এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন। একজন ভদ্র লোক মন্তব্য করেছেন ‘তোমরা নারী, আমরা তোমাদের সব জানি। তবু কিছু থাক না সিক্রেট। তোমরা আমাদের মা তোমরা আমাদের বোন’। যিনি এই স্ট্যাটাসটি দিয়েছেন তিনি অনেক বড় মাপের একজন লোক ও নারীবাদী। তিনি এই স্ট্যাটাসে নারীর কোন স্বাধীনতার স্বপক্ষে বলেছেন? আমি বুঝতে পারছিনা। বরং আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি তাঁর বিকৃত রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছেন।
আদালত, সচিবালয়, ব্যাংক, কলে কারখানায়, মাঠে এমনকি মুদির দোকানে সব জায়গায় নারীর কাজকে আমি সমর্থন করি। শুধু এইটুকু বলবো শাড়ি কিংবা থ্রি পিস পরেও মিসিলে অংশগ্রহণ করা যায়। টি-শার্ট না পরলেও চলে। নারীর হাতে সিগ্রেট আমি ভালো চোখে দেখিনা। মানছি, এটা রুচি কিংবা আমার চোখের সমস্যাও হতে পারে।
ছেলেদের মত নারীর খাটো চুল, পরনে জিন্স প্যান্ট এগুলো আমার চোখে ভালো লাগে না। নারীর দীঘল চুল আর খোঁপায় বেলি ফুল এগুলোই বেশ মানায়। পশ্চিমা হাঙ্গর সংস্কৃতির কবলে পরে নারী যে তাঁর নিজস্ব ঐতিহ্য স্বকীয়তা কি পরিমানে হারাচ্ছে! তা কম শিক্ষিত তো দূরের কথা উচ্চ শিক্ষিত নারীরাও বুঝতে পারছে না।