দোস্তার জনক সাঈদ আজমল। আমি ব্যাক্তি গত ভাবে মনে করি তাকে ষড়যন্ত্র করে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করছে। এর কিছুদিন আগেও শ্রীলংকার সাচিত্রা সেনানায়েকে, নিউজিল্যান্ডের কেনি উইলিয়াম এবং সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারী মুরালীধরনকেও এক সময় বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু কখনতো শুনেনি যে ক্রিকেটের ক্ষমতার দেশ ভারত, আস্টোলিয়া ও ইংল্যান্ডের কোন বোলার বহিষ্কার হয়েছে। তাই আমার মনে হয় ষড়যন্ত্র করেই তাকে বিশ্ব ক্রিকেট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আমার প্রশ্ন তাহলে কি ক্রিকেটেও রাজনীতি হয়?
এদিকে, আইসিসির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আমরা আশা করব দোস্তার জনক সাঈদ আজমল আবারো ফিরে আসবে বিশ্বক্রিকেটে, আতঙ্ক হয়ে দাড়াবে বাঘা-বাঘা ব্যাটসম্যানদের...
সাঈদ আজমলের নিষিদ্ধের কারণ..
বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর বোলিং অ্যাকশন ছিল আইসিসির সন্দেহের তালিকায়। এ ব্যাপারে চলছিল বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পাকিস্তানি অফস্পিনার সাঈদ আজমল উৎরে যেতে পারলেন না সেই পরীক্ষায়। আজ মঙ্গলবার ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, আজমলের বোলিংয়ের ওপর তাদের নিষেধাজ্ঞার কথা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো ফরম্যাটেই এখন থেকে আর হাত ঘোরাতে পারবেন না এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই ঘূর্ণি বোলার।
আইসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এক নিরপেক্ষ বিশ্লেষণে প্রমাণিত হয়েছে পাকিস্তানি অফস্পিনার সাঈদ আজমলের বোলিং অ্যাকশন যথেষ্ট ত্রুটিযুক্ত এবং বেআইনি। এ কারণে এই মুহূর্ত থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর বোলিং নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো।’
আইসিসি আজমলের বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটির জায়গাটাও উল্লেখ করেছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে, ‘সাঈদ আজমল তাঁর ডেলিভারিগুলোর সময় বোলিং নীতিমালায় নির্দিষ্টকৃত ১৫ ডিগ্রির চেয়ে বেশি মাত্রায় হাত সোজা করে ফেলেন। আজমলের এই বোলিং অ্যাকশন আইসিসির বোলিং আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।’
গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে তাঁর বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি খুঁজে পেয়েছিলেন আম্পায়ার ইয়ান গোল্ড ও ব্রুস অক্সেনফোর্ড। ৩৫ টেস্ট খেলে ১৭৮টি উইকেট নিজের করে নেওয়া আজমলকে পাকিস্তান দলের বোলিংয়ের প্রধানতম অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর বোলিং নিষিদ্ধ হওয়াটা পাকিস্তান ক্রিকেট দলের জন্য এক বিরাট আঘাত।