মানুষের জীবনের বস্তব ঘটনাকে নিয়ে এই প্রথম লিখছি। সম্প্রতিকালের ঘটনা........... তাহসিন (ছদ্মনাম) নামের ছেলেটি এভাবেই ভালোবাসা প্রতিদান পেল। জীবনে ভলোবাসা জিনিসটাকি আসলেই পাপ! নাকি ইশ্বরের আশির্বাদ। র্দীঘ তিন বছরের সর্ম্পক আফিফার (ছদ্মনাম) সাথে। কিন্তু জীবনে তিন বছর ভালেবাসার প্রতিদানটি এমন ভাবে পেতে হবে কখনোই ভাবেনি ছেলেটি।
২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বরে আফিফার সাথে রিলেশনের জড়িয়ে পড়ে তাহসিন নামের ছেলেটি। দেখতে দেখতে প্রায় তিনটি বছর চলে যাচ্ছিল। আফিফা ছেলেকে না দেখলে থাকেত পারত না। কলেজে সবার কাছে পরিচিত মুখ ছিল। এছাড়া রাজশাহীর স্থানীয় ও ছাত্ররাজনীতি করার কারণে সবাই তাদের জুটিকে খুব ভালোবাবেই চিনত। কিন্তু এমন একটি সম্পর্কে কি এমন ঘটেছিল- দিনটি ১২ আগস্ট ২০১৪ । আফিফার সাথে সকালে পদ্মার পাড়ে ঘুরতে যায়। মনের আজানা অভিব্যাক্তি পাই সেদিন সকালেও। পরে বাড়িতে যায় আফিফা। সেদিন বেলা ১১ টার দিকে আমার সাথে রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজের সামনে সর্বশেষ দেখা হয় আফিফার সাথে তাহসিনের। সেদিন আজনা উদ্দেশ্য পাড়ি দয়ে আফিফা। ফেলে বিপদের অতল গহ্বওে তাহসনিকে..............
এইদিন আর আফিফা সাথে তাহসিনের আর কোন যোগযোগ হয়নি। রাতে স্থানীয় কোচিং এর পরিচালক (যেখানে আফিফা পড়ত) ফোন দিয়ে আফিফাকে পাওয়া যাচ্ছে না এ কথাটি বলে এবং তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করতে বলে।
তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করলে বলে কোচিং যাবে বলে বাসে থেকে বাহির হয়েছে এখানো বাসায় ফিরেনি। এ সময় তার মা তাহসিনের বাসার ঠিকানা নিয়ে ১৩ আগস্ট ২০১৪ সকালে বাসায় আসে। তিনি তাহসিনকে সাথে করে নিয়েে আফিফার বন্ধবীদের বাসায় এবং থানায় ওসির কাছে নিয়ে যায়। তখন ওসি তাহসিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়।
১৪ আগস্ট বেলা ২.৩০ মিনিটে আফিফা মা ফোন দিয়ে বন্ধবীদের বাসায় খুঁজতে যাব বলে রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের সামনে আসতে বলে। তাহসিন আসলে রাজপাড়া থানার পুলিশ দিয়ে আটক করায়। থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার নাম করে একদিন রেখে দেয়।
১৫ আগস্ট রাজশাহী এক স্থানীয় নেতার প্রত্যক্ষ মদদে আফিফার বাবা বাদী হয়ে নারী-শিশু আইনে আফিফা অপহরণের আভিযোগ এনে আমার নামে মিথ্য মামলা দায়ের করে।
১৬ তারিখে আমাকে রাজপাড়া থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজোতে প্রেরণ করে।
১৯ আগস্ট কোর্টে নিয়ে ৭ দিনের রিমা- আবদন করে। আদলত দুই দিনের রিমা- মঞ্জুর করে। রাজপাড়া থানায় তাহসিনকে রিমা-ের নামে আফিফার বাবা-মায়ের নির্দেশে পুলিশ অমানবিক নির্যতন করে। অপহারণের কথা অস্বীকার করায় মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে ৩ সেপ্টেম্বর তারা ব্যক্তিগত আইনজীবী দ্বারা আদালতে ৫ দিনের রিমা- আবেদন করলে, আদালত দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়। এবং ডিবি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
৯ সেপ্টেম্বর জামিনে বাহির হওয়ার পর থেকে পুলিশ ও অন্যান্য মাধ্যাম দ্বারা নানা ভাবে তাহসিনকে হুমকি দিতে থাকে।
এদিকে দীর্ঘ ১ মাস ৫ দিন পরে নামমাত্র সংবাদ সম্মেলন করে নিখোঁজের দায় সরাসরি তাহসিন ও তার আসুস্থ নানার উপর চাপিয়ে দেয়।
এছাড়া এই সাজানো অপহরণের নাম করে তাহসিনের মা, মামা, চাচা ও বন্ধুদের বিভিন্ন সময় ডিবি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার নামে ৩/৪ ধরে আটকে রাখে। এমনকি তার এক বন্ধু কাওছার আলী আকাশকে ডিবি কার্যলয়ে তিনদিন আটক রাখার পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে তাকে ও তার পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।
এত কিছু হয়ে গেল অথচ আফিফা নামের মেয়েটি আসলে কোথায়? আফিফা তাহসিনের ভালোবাসার প্রতারণা করে ঢাকাতে যেয়ে চাঁপইনবাবগঞ্জের এক ছেলের সাথে বিয়ে কওে নেত্রেকোণাতা অবস্থান করছিল। পরে গোয়েন্দা পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে পুলিশের কাছে স্বীকার কওে চাঁপইয়ের ছেলের সাথে এক বছর আগে বিয়ে করে।
এটা বস্তব ঘটনা....তাহলে তাহসিনের জীবনের কী হবে..........
রাজশাহী সকলের কাছে সে মেয়ে কীডনাপর হিসাবে পরিচিত..হয়ে থাকল
এটা বস্তব ঘটনা,,,,,,
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৫০