বাংলাদেশের পাবলিকরা মোটা দাগের অশিক্ষিত।
যারা লেখাপড়ার সুযোগ পাইছে তারা আরো বেশি অশিক্ষিত।ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম,’সরকারী চাকুরি’ বলে কিছু আছে কিনা?
সবাই আমাকে গুগল সার্চ দেয়ার কথা বলেছেন! এরা সেই মাপের যোগ্য যারা ক্রিকেটার তাসকিনের সন্তানের দিনক্ষণ খুঁজছিলেন!মানে কখন কখন,কয়টা বাজে,কয়বার করে করতেন,বিয়ের আগে নাকি পরে ঠিক এই মানের যোগ্যতা নিয়ে ওরা আমার ব্লগ পোস্টের উত্তর দিয়েছিলেন!! মানসিকতার কথাই বলছি আর কি???!!!
-
আসল কথায় আসি।বাংলাদেশে যারা প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সুযোগ পায়নি বা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়নি তাদের কথা বলবো না।কিন্তু যারা প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার সুযোগ পেয়েছে বা উচ্চশিক্ষারও সুযোগ পেয়েছে তাদের প্রতি বরাবরই একটা অভিযোগ আছে তারা নিজের নাগরিক অধিকার সর্ম্পকে যেমন সচেতন নন ঠিক তেমনি তারা অপরের নাগরিক অধিকার কিভাবে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারেও কোন ভূমিকা রাখতে পারেন না।
এটা জানার প্রাথমিক ধাপ হলো সংবিধান পড়া।অন্তত সংবিধানটি কেনা এবং পড়া পারলে নিজের কাছে সংরক্ষণ করা।সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।মানে এই আইনের উপর কোন আইন নাই।বাকি সব আদালত আইন এগুলার ফালায় দেন।শেষবিচারে এই আইনই আপনার একমাত্র আইন।তাহলো --সংবিধান।।
-
তাই আমি ‘সরকারী চাকুরি’আছে কিনা প্রশ্নটির অবতারণা করেছিলাম।যারা বিসিএস দিয়ে পাবলিক সার্ভেন্ট হয় তারাও জানে না যে,তারা পাবলিক সার্ভেন্ট! অথবা জানলেও তারা চুপ করে থাকে।
-
এই প্রশ্নটির অবতারণা করার মানে হলো ‘সরকারী চাকুরে’বলে পাবলিক সার্ভেণ্টরা পাবলিকদের অত্যাচার করছে।তাদের শোষণ করছে।তাদের নিগৃহীত করছে। এই কালচার পরিবর্তন করার জন্য এই ব্যাপারটা সবার জানা থাকা দরকার। যেখানে তারা সরকারী চাকুরি শব্দটি বলবে তখন মুখের উপর বলে দেবেন এই নামে কোন চাকুরী নাই। যা আছে তা হলো সংবিধান অনুযায়ী ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’।
-
এইরকমটা বললে তাদের যে মনবিকার আছে সে প্রপঞ্চটা আর থাকবে না।সংবিধানের কোথাও সরকারী চাকুরে কথাটি বলা নেয়।
-
যা আছে তা হলো—’প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত’ তাহলে অবাধে বলা যায় যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিই হচ্ছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী ইংরেজীতে হবে পাবলিক সার্ভেন্ট।
-
সংবিধানে আরো বলা আছে সংবিধান যে ভাষায় লিখিত আছে সেসর্ম্পকে বিরোধ দেখা দিলে বাংলা ভাষা প্রাধান্য পাবে।তাহলে বলা যায়’ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী’ই হবে আর কিছু হবে না।
-
সংবিধানের দুইটি অনুঃচ্ছেদে এখনো ভাষাগত ভুল আছে এক জায়গায় বলা হয়েছে ‘সরকারী কর্মচারী’ আবার এর ইংরেজী র্ভাসনে বলা হয়েছে ’পাবলিক’ বলে।’পাবলিক’ বললে এর অর্থ কি করে ’সরকার’ হয়??? এর আভিধানিক ও ভার্বাথ দাড় করালে হয় ’জনগণ’ বুঝায়।যেহেতু ইংরেজী স্বীকৃত অভিধানে ’গর্ভমেন্ট’ মানে ’সরকার’ আছে যা বিশ্বস্বীকৃত শাব্দিক শব্দ।
-
১৫২ অনুঃ ব্যাখাতেও অনুরুপ ভাষাগত ভুল আছে।সেগুলো হয়ত দেখে ও না দেখার ভান করে এড়িয়ে গেছে।নতুবা এর দ্বারাতো বিশেষ কোন ক্ষতি হচ্ছে না তাই রেখে দেয়া হয়েছে।
-
উল্লেখ্য বাংলাদেশের সংবিধানে এ পর্যন্ত যতোবার সংশোধনী আসছে একমাত্র প্রথম তিনটি সংশোধনী ছাড়া সবকটি সংশোধনীর সাথে জনগণের স্বার্থের কোন সম্পর্ক নাই ।যা আছে তা রাজনীতিকদের স্বার্থের সাথে সর্ম্পকিত যাকে বলা যায় পলিটিক্যাল ল্যাং সংস্কৃতি।।
-
আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থায় এমন যে শিক্ষা সেখানে কোনদিন সঠিকটা শেখানো হয় না।তারা নিজেরাও তো তা জানে না।জানলেও প্রকৃত জানা তাদের হয় না।যারা শিক্ষার্থী আছেন তারা যখন এসব নিয়ে মকারি করে তাদের প্রতি করুণা হয়। এবং শন্কিত হয় যে এদের দ্বারা দেশের কোন উপকার হবে না।এরা সরকারী চাকুরে হবে আর ঘুষখোর হবে।চাকরি পাওয়ার আগ পর্যণ্ত কুকুরের মতোন লেজনাড়াবে।আর সে চাকুরি হয়ে গেলে বাঘের রুপ ধারণ করবে।
-
এমন নিচু শিক্ষার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভয়ানক আশঙ্কায় নিপতিত হচ্ছি।
-
"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র"।শিশুর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখার আছে।তাই কেউ প্রশ্ন করলে তার উত্তর দেয়ার আগে অন্তত নিজেরে একবার প্রশ্ন করুন কেন প্রশ্নটা করা হয়েছে।উত্তরটা অবশ্যই জানা দরকার।কৌতূহল মানুষকে জ্ঞানী করে তোলে।প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় কোন জ্ঞান নাই। ও কর্মী হওয়ার প্রশিক্ষণ দেয় মাত্র!!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১২