বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
বিটিআরসির মহা পরিচালক (স্পেক্ট্রাম) আহসান হাবীব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান,
রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জিয়া আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য বিটিআরসির চেয়ারম্যান পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান জিয়া আহমেদ। গত ২১ ফেব্রুয়ারি সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরো এক বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।
বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে থাকা জিয়া আহমেদকে অবসরে পাঠানো হলেও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাকে বাহিনীতে ফিরিয়ে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দেয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ১৯৭৫ সালে কমিশন পাওয়া জিয়া আহমেদ দীর্ঘদিন সিগন্যাল কোরে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীর সিগন্যাল ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড স্কুল কমান্ডেন্টসহ সিগন্যাল স্কুলের চিফ ইন্সট্রাকটর পদেও ছিলেন তিনি।
এছাড়া তিনি মোজাম্বিকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়ার পর আইসিটি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থায় পরামর্শক হিসেবেও কাজ করেছেন।
আহসান হাবীব খান জানান, জিয়া আহমেদের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বারিধারা ডিওএইচএসে তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ক্যান্টনমেন্টের গ্যারিসন মসজিদে তার প্রথম জানাজা হবে। এরপর বারিধারা ডিওএইচএস মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বনানীতে জিয়া আহমেদকে দাফন করা হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






