প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান ছুটিতে গেলে পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নের পথ সুগম হবে বলে দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
আওয়ামী লীগের একাধিক সাংগঠনিক সম্পাদক বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, শনিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহীদের সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিষয়েও বিরক্তি প্রকাশ করেন।
অধিকাংশ কার্যনির্বাহীও তার সঙ্গে প্রকাশ করেন একমত।
বৈঠকে উপস্থিত এক সদস্য বলেন, “আশরাফুল ইসলাম অর্থ উপদেষ্টা ও দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মসিউর রহমানকে তিন মাসের জন্য ছুটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন। পরে শেখ হাসিনা জানতে চান, মশিউর রহমানকে ছুটিতে পাঠালে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর জন্য টাকা দেবে কীনা। প্রধানমন্ত্রীর কথার জবাবে আশরাফ ইতিবাচক জবাব দেন।”
এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কারণে দলকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন সৈয়দ আশরাফ।
এ প্রসঙ্গে আশরাফকে উদ্ধৃত করে আরেক সদস্য বলেন, “অর্থমন্ত্রীর বয়স হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কথা বলেন। ওনার কথার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।”
আশরাফের এই বক্তব্যের সঙ্গে প্রায় পুরো কার্যনির্বাহী সংসদই তাদের মত প্রকাশ করেন বলে জানান তারা।
হলমার্কের অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে করা বক্তব্যের জের ধরে গত ৬ সেপ্টেম্বর সংসদে নিজ দলের সাংসদদের তোপের মুখে পড়েন অর্থমন্ত্রী। এ সময় তাকে কম কথা বলতেও পরামর্শ দেন সহকর্মীরা। শেষমেশ সাংসদদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষোভ প্রশমণের চেষ্টা করেন মুহিত।
কার্যনির্বাহী সদস্যরা সরিয়ে দেওয়ার কথা বললেও প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সদস্য আরো বলেন, “আশরাফের বক্তব্যের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন উনি (অর্থমন্ত্রী) তো আমাদের ছেড়ে যেতে চান না। উনি আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চান।”
কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে মন্ত্রিসভায় যোগদানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তোফায়েল আহমদেরও সমালোচনা করেন আশরাফ।
“তিনি বলেন তোফায়েল আহমদ তার এই সিদ্ধান্তে সাময়িক বাহবা পাবেন। তবে তিনি দায়িত্ব না নিয়ে অবহেলা করেছেন এবং তার এলাকার ভোটারদের অপমান করেছেন। তোফায়েল আহমেদের এই সিদ্ধান্ত দলের জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায়।”
এদিকে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, বৈঠকে চলতি বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যে সব জেলা এবং থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মৃনাল কান্তি দাস।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে চার ঘণ্টাব্যাপী চলে এই বৈঠক। মন্ত্রিসভায় থাকা আওয়ামী লীগের সবাই উপস্থিত থাকলে সাহারা খাতুন ও ওবায়দুল কাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






