আপুদের জন্য পোস্ট
যেসব কারনে বিবাহ বিচ্ছেদ বা সংসারে অশান্তি হতে দেখা যায়।
১. বিয়ের আগে উচ্চবিলাসিতা বা আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখা। যখন বাস্তবের সাথে মিল খুজে পাওয়া যায় না তখনই সংসারে বেশি অশান্তি হতে দেখা যায়। বাস্তবকে মেনে নেওয়ার কোন যোগ্যতা তাদের থাকে না।
২. পরিবার থেকে যখন মা বাবা তাদের সঠিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ থাকে। যেমন আচার ব্যবহার, ভদ্রতা, শালিনতা। যা একজন মেয়ের সব থেকে বড় সম্পদ।
৩. নিজেকে স্মার্ট বা অনেক বড় মনে করা। অনেকে নিজের রূপ নিয়ে খুব বেশি অহাংকার করে, যাতে করে আশে পাশের মানষকে ছোট ভাবতে শুরু করে। একবারও বুঝতে পারে না যে সৃষ্টিকর্তা তাকে যা দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ দেমাগ বা অহংকার নয়।
৪. বাঙালী নারীর বৈশিষ্ট সম্পর্কে অজ্ঞ থাকা, এর জন্য টিভি সিরিয়াল ও পরিবারকেই আমি দায়ী করবো। একজন নারীর বৈশিষ্ট হলো, বিয়ের আগে মা বাবা ভাই বোন সবার সাথে থাকা আর বিয়ের পরে নিজের মা বাবার পাশা পাশি শশুর শাশুরী , ননদ , দেবর এদের কে আপন করে নেওয়া ঠিক যেমন নিজের মা বাবার মতো। অনেকে শশুর শাশুরীকে মেনে নিতে পারেন না। যাকে বলবো একজন বাঙ্গালী মেয়ে হিসেবে কলঙ্ক।
৫. বিয়ের আগে একাধিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকা বা দিন রাত ফোনে কথা বলা। অনেক মেয়েদের নতুন নতুন ছেলেদের সাথে মেশার প্রবনতা থাকে, তাই সংসার জীবনে একজন মাত্র ছেলেকে তার ভালো লাগে না, পূর্বের অভ্যাস ধরে রাখতে কোন না কোন ভাবে আবারও একই কাজে লিপ্ত হচ্ছেন যা সংসারের জন্য ক্ষতিকর। এক কথায় বলবো চরিত্রহীন।
৬. অসৎ সঙ্গে লিপ্ত থাকা। যার জন্য শুধুমাত্র পিতা মাতাই দায়ী। সন্তান কাদের সাথে মিশছে , কোথায় যাচ্ছে, সব কিছু বাঙালী কালচারের সাথে যাচ্ছে কিনা সেসব দিক অবশ্যই মা বাবাকে খেয়াল রাখতে হবে।
৭. অরিতিক্ত লোভ সংসার পতনের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। অনেকের চাহিদার কোন শেষ নেই। অন্যদিকে তার স্বামীর দেওয়ার ক্ষমতা আছে কিনা সেদিকে খেয়াল থাকে না। একজন পুরুষের সব থেকে কষ্টের দিক হলো প্রিয় মানুষটিকে কোন কিছু না দিতে পারা। অনেক সময় অসৎ কাজে লিপ্ত হয়ে অনেক কাজ করে থাকেন স্ত্রীকে খুশি করার জন্য। এতে সাময়ীক সুখ আসলেও স্বামী সব সময় স্ত্রীর উপর খারাপ ধারনা বা ভয় নিয়ে থাকেন। যা সংসার ভঙ্গনের জন্য যথেষ্ঠ কারন। এই ক্ষেত্রে বলবো আপনি বিবেকহীন নারী।
৮. মেয়েদের অতিরিক্ত জেদ, যা বলি তাই করি। এই ক্ষেত্রে বলবো, জেদ নামক শব্দটা মেয়েদের জন্য নয় এটা শুধুমাত্র পুরুষের জন্য। সুতরাং জেদ করবেন তো সব হারাবেন।
৯. এখন যে পয়েন্টটা বলবো সেটা শুনলে অনেকেই আমাকে গালি দিবেন, তবুও বলতে হবে। নারী পুরুষ সমান অধিকার, এই কথাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিন। আমরা বাংলাদেশী তাই এটা পুরুষ শাসিত সমাজ। পাঠ্যপুস্তক বা দলিলে যতোই লেখা থাকুক না কেন, নারীপুরুষ সমান অধিকার থাকলেও নারী পুরুষ কোন দিনই সমান কাজ করতে পারেন না। আপনাকে সব সময়ই একজন পুরুষের উপর নির্ভর করতে হবে। অনেকে মনে মনে বলছেন, আমরা কেন পুরুষের উপর নির্ভর করবো? এখানে বলবো, স্বামীকে পুরুষ ভাবার কি দরকার? স্বামীকে জীবন ও মনের অংশ ভাবুন। তিনি পর নন, তিনি আপনার আপনজন, তিনি সব সময় চান তার আদরের বউটার মুখের হাসি ফোটাতে আর তাই তো দিন রাত পরিশ্রম করেও রাতে বাসায় ফিরে দেখতে চান বউয়ের হাসি মুখ।
১০. পরকালের চিন্তা থেকে দুরে থাকাটা আর একটা বড় কারন। দুনিয়ার মজা মাস্তিতে অনেকে পরকালের কথা ভুলে জান। কিন্তু আমাদের প্রতিটা ধর্মেই স্বামীকে সবার উপরে রাখতে বলা হয়েছে। যেমন - ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, মেয়েদের বেহেস্ত লাভ খুব সহজ শুধুমাত্র স্বামীর সেবার করেই সেটা সম্ভব, আবার হিন্দু ধর্মে স্বামীকে দেবতুল্য বলা হয়।
১১. সন্দেহ প্রবন মন মানুষিকতা। অনেকে মনে করেন, যাকে খুব বেশি ভালোবাসে তাকে নাকি সন্দেহ করে। আমি বলবো তার উল্টটা, যাকে বিশ্বাস করা যায় না তাকেই বেশি সন্দেহ করে। স্বামীকে একবার মন দিয়ে বিশ্বাস করেই দেখুন, আমার বিশ্বাস সে আপনাকে ঠকাবে না। প্রতিটা স্বামীই চায় তার স্ত্রী তাকে ভালোবাসবে , বিশ্বাস করবে। যখন কোন স্বামী বুঝতে পারবে তার স্ত্রী তাকে মন থেকে বিশ্বাস করে , ভালোবাসে তখন স্বামী কোন খারাপ কাজ করার আগের অবশ্যই তার বিবেক তাকে বাধা দেবে।
সংক্ষেপে কয়টি কথা বলবো, মেয়েদের প্রধান বৈশিষ্ট হলো, চরিত্র, ধর্য্য, সততা, বুদ্ধি , ও পিছনের সব ভুলে স্বামীকে আপন করে নেওয়া।
বিদ্র: আমার পোস্ট পড়ে কেউ যদি কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে ছোট ভাই মনে করে ক্ষমা করে দিবেন। আর যদি ভালো লাগে তাহলে পোস্টটি আপনার ওয়ালে শেয়ার করে দিন। আমার পেজের ম্যাসের অপশন সব সময় খোলা, পাঠকদের মেসেজ দেখলে আমার খুব ভালো লাগে।
------ জোবায়ের রহমান