যাই হোক, আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর ১ এ যাওয়ার একটা ভালো মাধ্যম লেগুনা। লেগুনার প্রতি সিটে ৬ জন্য করে বসতে হয এটা নিয়ম। ৬ জন বসলে ডানে বায়ে নড়ার আর কোন উপায় থাকে না।মেয়ে বা নারীদের সবার পিছনে বসতে দেয়া হয় তাদের নিরাপত্তার জন্য। সেদিন আমার সিটে ৪ জন বসেছিলাম, একটু রিলাক্স বলা যায়। শ্যামলি আসতেই এজন মেয়ে উঠলে, তার বসার জন্যই আমি একটু ভিতরে সরে গেলাম।বার বার ইতস্তত বোধ করতে লাগলো একজন পুরুষের সাথে তার শরীর লাগছে, আমার কাছে কেন যেন মনে হলো ওভার এক্টিং। তাকে সেভ করতেই আমি ভিতরের দিকে ঘুরে বসলাম, অর্থাৎ আমার পিঠের দিকে মেয়েটা, অন্তত শরীর বা হাত তার শরীরে না লাগুক।যাই হোক, কিছুক্ষন পরেই আরো এক ভদ্রলোক উঠেই সোজা ভিতরে চলে গেলো। স্বাভাবিক কারনেই আমাকে মেয়েটার দিকে সরে যেতে হলো। তবুও আমি বাকা হয়েই বসে আছি। মেয়েটার শরীর থেকে বাচার জন্য আমার সর্বচ্চ চেষ্টা করেও কেন যেন পারলাম না, অবশেষেই লেগেই গেলো তার সাথে।অর্থাৎ আমার পিঠের সাথে তার কাঁধ।আমার কাছে মনে হয় চলতে ফিরতে এটা স্বাভাবিক বেপার। সাথে সাথেই মেয়েটা আমাকে এক সুপার ঝাড়ি “বাকা হয়ে বসছেন কেন, সোজা হয়ে বসেন” কি আর করা সোজা হয়েই বসলাম, এবার যেভাবে শরীর লাগলো তাতে তার থেকে লজ্জাটা আমার বেশি করছিলো। একটু পরে বলে “আগের মতোই বসুন” এইবার দিলাম আমি সুপার ঝাড়ি “নিজেদের কি মনে করেন? আপনাকে সেভ করার জন্য হাত উপরে দিয়ে কার্টুনের মতো ঘুরে বসলাম তাতেও আপনার ভালো লাগলো না, এক সাথে চলতে গেলে অনেক কিছুই হতে পারে, সবাইকে এক পাল্লায় দেখবেন না, বেশি সমস্যা হলে প্রাইভেট কার কিনে নিন তাহলে এভাবে পাবলিকের পাশে বসতে হবে না।আর না হলে অভ্যাস করে নিন।মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো, নিজের কাছেও খারাপ লাগছে ঝাড়ি দেয়ার জন্য। কিন্তু কি করার ছিলো।এতোটুকু চাপা যায়গায় শরীরে শরীর লাগবে এটাই স্বাভাবিক, সবাই নারীকে সম্মান করবে না, সবাই ঘুরে বসবে না।তবে চলতে ফিরতে সবাই সবাইকে কিছুটা ছাড় দেয়া উচিৎ। পরিস্থিতি বোঝা উচিৎ। নারী পুরুষ সমান অধিকার, অথচ আমরা অনেক নারিরাই বেশি প্রত্যাশাবদী, এটাই যেন হওয়া উচিৎ।
ছবিটা গুগল থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫