somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরে দাড়ান, গায়ের ভিতর ঢুকছেন কেন?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগে বাসে উঠলে সামনে ডানপাশে ৯টা সিটের উপরে লেখা দেখতাম “প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা সংরক্ষিত ৯ টি আসন” কালের বিবর্তনে এখন লেখা দেখি “মহিলা সিট” একজন মহিলা কোন ভাবে বাসে উঠেই, যেই বসা থাক না কেন বলে ওঠেন।মনে হয় সিটটা ওনার কেনা, কেউ একজন বসে মহা অন্যায় করে ফেলেছে।সেই সিটে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি বা শিশু থাকনা কেন। কালের বিবর্তনে বাকি লেখাটা হারিয়ে গেলেও, যখন কোন নারীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখি তখন নিজের সিট ছেড়ে দিয়ে বসতে দেই।আবার তখন শুরু হয় অধিকার প্রতিষ্ঠার পালা।কিছুক্ষন যেতে না যেতেই বলে “সরে দাড়ান, গায়ের ভিতর ঢুকছেন কেন?” যদিও বর্তমানের বাসগুলাতে দাড়ানোর সুযোগও থাকে না, বাধ্য হয়েই এসব বাসে উঠতে হয় খরচ কিংবা সময় বাচানোর জন্য।যদিও আজ পর্যন্ত কোন নারীকে দেখিনি কারো জন্য সিট ছেড়ে দিতে সে বৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধি হোক। সিট মানে সিট, সংরক্ষিত মানেই মহিলাদের সিট আবার পুরুষ সিট ছেড়ে যদি কোন মহিলাকে বসতে না দেয়া হয় তাহলে বলা হয় ”বিবেক হীন” সেদিন বাসে ৬০ বছরের বেশি এক বৃদ্ধকে উঠিয়ে দিয়ে নিজের সিট দখল করার দৃশ্য চোখে পরতেই এই লেখার অনুপ্রেরোনা।
যাই হোক, আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর ১ এ যাওয়ার একটা ভালো মাধ্যম লেগুনা। লেগুনার প্রতি সিটে ৬ জন্য করে বসতে হয এটা নিয়ম। ৬ জন বসলে ডানে বায়ে নড়ার আর কোন উপায় থাকে না।মেয়ে বা নারীদের সবার পিছনে বসতে দেয়া হয় তাদের নিরাপত্তার জন্য। সেদিন আমার সিটে ৪ জন বসেছিলাম, একটু রিলাক্স বলা যায়। শ্যামলি আসতেই এজন মেয়ে উঠলে, তার বসার জন্যই আমি একটু ভিতরে সরে গেলাম।বার বার ইতস্তত বোধ করতে লাগলো একজন পুরুষের সাথে তার শরীর লাগছে, আমার কাছে কেন যেন মনে হলো ওভার এক্টিং। তাকে সেভ করতেই আমি ভিতরের দিকে ঘুরে বসলাম, অর্থাৎ আমার পিঠের দিকে মেয়েটা, অন্তত শরীর বা হাত তার শরীরে না লাগুক।যাই হোক, কিছুক্ষন পরেই আরো এক ভদ্রলোক উঠেই সোজা ভিতরে চলে গেলো। স্বাভাবিক কারনেই আমাকে মেয়েটার দিকে সরে যেতে হলো। তবুও আমি বাকা হয়েই বসে আছি। মেয়েটার শরীর থেকে বাচার জন্য আমার সর্বচ্চ চেষ্টা করেও কেন যেন পারলাম না, অবশেষেই লেগেই গেলো তার সাথে।অর্থাৎ আমার পিঠের সাথে তার কাঁধ।আমার কাছে মনে হয় চলতে ফিরতে এটা স্বাভাবিক বেপার। সাথে সাথেই মেয়েটা আমাকে এক সুপার ঝাড়ি “বাকা হয়ে বসছেন কেন, সোজা হয়ে বসেন” কি আর করা সোজা হয়েই বসলাম, এবার যেভাবে শরীর লাগলো তাতে তার থেকে লজ্জাটা আমার বেশি করছিলো। একটু পরে বলে “আগের মতোই বসুন” এইবার দিলাম আমি সুপার ঝাড়ি “নিজেদের কি মনে করেন? আপনাকে সেভ করার জন্য হাত উপরে দিয়ে কার্টুনের মতো ঘুরে বসলাম তাতেও আপনার ভালো লাগলো না, এক সাথে চলতে গেলে অনেক কিছুই হতে পারে, সবাইকে এক পাল্লায় দেখবেন না, বেশি সমস্যা হলে প্রাইভেট কার কিনে নিন তাহলে এভাবে পাবলিকের পাশে বসতে হবে না।আর না হলে অভ্যাস করে নিন।মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো, নিজের কাছেও খারাপ লাগছে ঝাড়ি দেয়ার জন্য। কিন্তু কি করার ছিলো।এতোটুকু চাপা যায়গায় শরীরে শরীর লাগবে এটাই স্বাভাবিক, সবাই নারীকে সম্মান করবে না, সবাই ঘুরে বসবে না।তবে চলতে ফিরতে সবাই সবাইকে কিছুটা ছাড় দেয়া উচিৎ। পরিস্থিতি বোঝা উচিৎ। নারী পুরুষ সমান অধিকার, অথচ আমরা অনেক নারিরাই বেশি প্রত্যাশাবদী, এটাই যেন হওয়া উচিৎ।
ছবিটা গুগল থেকে নেয়া
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×