আমরা বাংলাদেশী জনগণ ব্যথা পেলে মাগো বাবাগো করে চিৎকার করি, (সূত্র: দুর্ঘটনা, থানা ও হাসপাতাল) আর প্রকৃতি ও অদৃশ্য আঘাত হলে ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানের দোহায় দেই বা গজব মনে করি। - এটাই স্বাভাবিক। ঈশ্বর আল্লাহ ভগবানের নাম চলে আসলে মানুষের মাঝে আতঙ্ক কম কাজ করে (এটি ভালো দিক) মানুষের মনে সান্তনা বড় একটি ব্যাপার। যাক সেসব।
বাংলাদেশী ও বাংলাদেশী প্রবাসী ঠিক কতোজন ডেঙ্গু আতঙ্ক দেশের দুর্যোগে সামনা সামনি দেখেছেন আমার সঠিক জানা নেই। নেট থেকে আতঙ্ক জানা আর পরিবারে, সমাজে, হাসপাতালে দেখা এক নয়। ঠিক তেমনি করোনা ভাইরাস (জাপানের টয়োটা করোনা সেলুন কার ১৯৮৪ - ২০০১ সন পর্যন্ত মডেল, পরবর্তীতে টয়োটা প্রিমিও মডেলে আপডেট ভার্সন করা হয়) - এতো এতো নাম থাকতে কার ব্রান্ড করোনা কেনো ভাইরাস নামে রুপান্তর নিলো তাও ভাবনার বিষয় হতে পারে (হয়তোবা)। করোনাভাইরাস চীনে যেভাবে ফলাও হয়েছে আর বাংলাদেশের মিডিয়া চড়াও - এখন মনে হচ্ছে এই মেশিন বাংলাদেশে আক্রমণ হলে রোগের ভয়েই মানুষ মারা যাবেন! রোগে শোকে কতোজন মারা যাবেন তার হিসাব পরে!
বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। লঞ্চ যাতায়াতের জেলাগুলোতে সবাই ভালো সাতার জানেন, তারপর ও লঞ্চডুবি হলে কতোজন মারা যান তার হিসাব সাধারণ মানুষ ও সরকার কখনো জানেন না। আতঙ্ক, ভয় - ভয়ঙ্কর হয়ে থাকে।
ক্যান্সারে মানুষ মারা যায় এটি যতোদিন জানা ছিলো না আতঙ্কও ছিলো না। যখন জানা হয়েছে, প্রচার হয়েছে - আতঙ্ক হয়েছে ভয়ঙ্কর! কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন মানুষ ক্যান্সার থেকে বাঁচার আশায় (উদাহরণ: লেখক হুমায়ূন আহমেদ) চিকিৎসা না করলে তিনি হয়তো আরো তিন - পাঁচ বছর বাঁচতেন। ভয়ে আতঙ্কে আর মিডিয়ার প্রচারে মারা গেছেন ভদ্রলোক।
যত দোষ নন্দ ঘোষ: করোনাভাইরাস বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হলে বার্মা দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করার সম্ভবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না! চাইনিজ বার্মিজ - নামে নামে যমে টানে তাছাড়া সীমান্ত দেশ। রোহিঙ্গা, এইবার তোমাদের খবর আছে!
আশার বাণী: প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে লড়াই করে টিকে থাকার জাতি আমরা বাংলাদেশী। ডেঙ্গু করোনা আরো যত্তোসব কি কি নাম তারা যদি একান্ত চলেই আসে ধরে রাখার তো উপায় নেই! মসজিদ মন্দিরে তবারক দিবো আর লড়বো আমরা দুর্যোগের সাথে। দেখবো মানুষের শক্তি বেশী না রোগের? ফরমালিন খেয়ে খেয়ে আমরা ১৭ কোটি জনতা আউলিয়া দরবেশ হয়ে গেছি, মৃত্যুর পর কবরে লাশ পঁচবে না। আর করোনা নিয়ে ভয় নয় প্রয়োজন আশা, সাহসিকতা আর সচেতনতা।
উপসংহারঃ বাংলাদেশে গুজব ভয় আতঙ্ক ছড়ানোর অন্যতম মাধ্যম মিডিয়া ও কর্মহীন মানুষ। কাশ্মীর সমস্যা - বাংলাদেশে গুজবে কান দিয়ে অন্ধগ্রামেও আন্দোলন হয়। ইরান আমেরিকা দ্বন্দ্ব নিয়ে বাংলাদেশী শিয়া হত্যায় আনন্দ প্রকাশ করেন। এই জাতি গুজবে এতো এতো কান দেওয়ার অন্যতম কারণ কর্মহীন সমস্যা। কর্মহীন মানুষ একটি দেশের জন্য জাতীয় বারুদ স্বরুপ। এই বারুদ এই দেশ ধ্বংস করার কারণ হয়ে দাড়াবে। মানুষ আছে তো সরকার আছে, মানুষহীন দেশে সরকারের প্রয়োজন নেই। সরকার কি একবার ভেবে দেখবেন এই জাতিকে কর্মময় করা যায় কিভাবে?
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।
ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:২২