“গল্প কবিতা উপন্যাস প্রবন্ধ” আমরা কেনো লিখি? - আমাদের লেখাগুলো পড়ে দু চারজন অনুপ্রাণিত হবেন, জীবনে নতুন করে পথ চলার উৎসাহ পাবেন, সচেতন হবেন, উপকৃত হবেন, আনন্দ পাবেন - এমন? নাকি আমাদের লেখা পড়ে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন, মন ভেঙ্গে যাবে, হতাশায় নিমজ্জিত হবেন, নিদ্রাহীনতায় অসুস্থ হবেন, জীবনের প্রতি আশা ছেড়ে দেবেন, ক্রাইম জগতের বাসিন্দা হবেন, খুনি হবেন দশ তলা ভবনের ছাদ থেকে ঝাপ দিয়ে আত্মহত্যা করবেন - এমন কিছু। কোনটি?
আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে আমাদের একজন ব্লগারের নাম বলছি, তিনি আমাদের সহ ব্লগার ডঃ এম এ আলী সাহেব। তিনি যে লেখাগুলো পোস্ট দিয়ে থাকেন তাতে আমরা নতুন করে পথ চলার আশা পাই, লেখাগুলো আমাদের যে কোনো মানুষের জীবন পাল্টে দিতে পারে। সম্প্রতি আমাদের সহ ব্লগার আহমেদ জী এস সাহেব “কৃষি ব্যবস্থাপনা ও হিমাগারের প্রয়োজনীয়তা” নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা পোস্ট দিয়েছেন তাতে করে দেশের কৃষি জনপদ এমনকি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি ব্যবস্থাপনাও উপকৃত হতে পারেন বলে বিশ্বাস করি। আমি নিজে কৃষি কাজের সাথে জড়িত বিধায় আমি জানি কৃৃষি কোনো অবহেলিত পেশা নয়, কৃষি কাজে যে আনন্দ আছে তা অন্য কাজে নেই। কৃষি কাজে আছে “সৃষ্টির আনন্দ”। শহরবাসী বাসার টবে একটি ফুল গাছ একটি ফল গাছ রোপণ করে যে আনন্দ পান তার চেয়ে শত সহস্রগুণ আনন্দ মাটির দেশের অন্ধগ্রামে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ হলুদ ফুলের শোভাসিত সরিষা গাছে।
প্রসঙ্গে ফিরে আসি, আমরা কেনো লেখালেখি করি? সমাজ পরিবেশ দেশের উপকারের জন্য নাকি নিজের সকল রাগ ক্ষোভ আক্রোশ হতাশা লেখার মাধ্যমে পরিবার সমাজ পরিবেশ এমনকি দেশের ক্ষতি করে দেবার জন্য? একটি কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ লেখা মোটেও চারটি খানি কথা না। এতো এতো পরিশ্রম করে অন্যের ক্ষতি করে দেবার প্রবণতা কেনো কাজ করবে? - এর কারণ কি; নিজের জীবনের প্রতিকূলতা, ব্যর্থতা লেখক সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাইছেন? যেমন একজন মাদক সেবনকারী সমাজের সবাইকে মাদাকাশক্ত হিসেবে দেখতে চাইছেন - সব সময়!
লেখালেখি হতে হবে জীবনমুখী, সকলের কল্যানের জন্য, কখনো অকল্যানের জন্য নয়। লেখালেখির মাধ্যমে মানুষের সাথে মানুষের ভালোবাসার মজবুত বন্ধন তৈরি হবে, ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হবে মানুষের সাথে পশু পাখি সবুজ ও বনায়নের। লেখালেখির কারণে থেমে যাবে যুদ্ধ, বন্ধ হবে হত্যা, আত্মহত্যা, অপমৃত্যু সহ সকল প্রকার দুর্ঘটনা। একজন লেখকের লেখাতে কোনো না কোনোভাবে উপকৃত হতে হবে, অন্তত নিছক নির্দোষ আনন্দলাভ করাও উপকার। ক্ষতিকর লেখা কখনো আমাদের কাম্য হতে পারে না।
শেষকথাঃ ছাপা অক্ষরের লেখা মানুষের মনে বেশ বড় ধরনের রেখাপাত তৈরি করে। ছাপা অক্ষরের লেখা মানুষ সহজে বিশ্বাস করেন। মানুষের জীবন ওয়ানওয়ে জার্নি, জীবন চলার পথে কোনো ইউটার্ন নেই। তাই যে কোনো ধরনের ভুল লেখা, জীবন নিয়ে অপব্যাখ্যা, মানুষের জন্য অকল্যানের লেখা আমাদের অবশ্যই অবশ্যই বর্জন করতে হবে। সবার কাছে দোয়া চেয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো।
ছবিঃ ফটোশপে তৈরি করা।
ব্যাকগ্রাউন্ড ছবিঃ উইকিপিডিয়া DMH-11 Mustard।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:০১