বর্তমান করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা কফ অথবা কাশি, সর্দি ও জ্বর। আমি ডাক্তার নই, হাকিম কবিরাজও নই। যদিও হাসপাতালের সাথে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে অথবা এমনও হতে পারে আমি সাজানো গোছানো একটি হাসপাতালেই বসবাস করি - এটিই আমার বাড়ি এটিই আমার ঘর। যাক প্রসঙ্গে ফিরে যাই। - যে ঔষধের কথা বলছি এটি অনেক অনেক পুরাতন ও গ্রাম বাংলার ঘরে তৈরি একটি অন্যতম সেবা ও কবিরাজি চিকিৎসা।
আমরা শীতের দেশের মানুষ নই আর তাই হয়তো মোটামোটি ১৫ - ১৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস শীতেই আমরা রিতিমতো কাবু হয়ে পরি। এবার শীতে হয়তো অনেকে কফ কাশির কষ্ট করছেন। আর সাথে আছে করোনার ভয়। আমার বেহেস্তবাসী দাদীজান একটি কথা বলতেন - “ভয়ে ক্ষয়” আমার দাদীজান আমার জীবনের বেস্ট শিক্ষক ছিলেন - আছেন - থাকবেন অনন্তকাল। তাই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বলছি - সাহস রাখুন, শুধুমাত্র সাহস দিয়ে জীবনের অনেক বড় বড় সমস্যা মোকাবেলা করা সম্ভব। ১৯৭১ এর যুদ্ধে পাকিস্তানিদের তুলনায় আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়েও আমাদের যুদ্ধে জয়ী হওয়ার অন্যতম কারণ ছিলো অদম্য সাহসিকতা আর বুকভরা দেশপ্রেম।
বুকে জমাট বাঁধা কফ থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব ভালো একটি প্রিপারেশন আমার জানা আছে। যারা মনে করছেন আপনার বুকে হয়তো কফ জমে আছে, বুকে জমে থাকা কফ বার হচ্ছে না, কফের কারণে যথেষ্ট কষ্ট পাচ্ছেন। তাদের জন্য খুবই উপকারী একটি তথ্য: -
আস্ত দারুচিনি - ব্লেন্ডার/শিল পাটা/ হামান দিস্তা দ্বারা মিহি গুড়ো করে দারুচিনি ও মধু মিশ্রন করতে হবে। দারুচিনি ও মধু মিশ্রনের অনুপাত। ৭ঃ১ - অর্থাৎ ৭ চা চামচ মধুর সাথে ১ চা চামচ দারুচিনি গুড়ো। মধুর সাথে পেস্ট করে কাঁচের বয়ামে করে শুকনো স্থানে সংরক্ষন করুন। অবশ্যই ফ্রিজে রাখা যাবে না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফুল এক চা চামচ খেতে হবে, আর রাতে ফুল এক চা চামচ। দারুচিনি মধু পেস্ট খাবার পর একগ্লাস কুসুম গরম পানি পান করুন। (অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন খাঁটি মধু পাবো কোথায়? - খাঁটি মধুর প্রয়োজন নেই, মধু মিশ্রনের কারণ - মুখে যেনো ঝালের অনুভব কম হয়। নিজের হাতে মধুর চাক ভাঙ্গতে না পারলে খাঁটি মধু কোথাও নেই)
দারুচিনি মধু পেস্ট
১ চা চামচ + ০ + ১ চা চামচ
দুই দিনে আপনি বুকে জমা কফ থেকে মুক্তি পাবেন ও শান্তি পাবেন। কফ তরল হয়ে সাধারণ কফের মতো বেড়িয়ে যাবে। অতিরিক্ত ঝাল মনে হলে আধা চামচ করে খেতে পারেন। দুধের বাচ্চা ও গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই খাওয়া নিষেধ। তবে ছয় বছরের অধিক বয়সের শিশুদের ১/৬ - ১/৪ চা চামচ করে দুই বেলা খাওয়ানো যাবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ নেই।
কারা খেতে পারবেনঃ ছয় বছরের অধিক বয়সের শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত।
কাদের জন্য নিষেধঃ গর্ভবতী মা, কিডনি আক্রান্ত রোগী সহ যে কোনো ধরনের গুরুতর অসুস্থ রোগী (উল্লেখিত ব্যক্তিদের একমাত্র রেজিস্টার্ড চিকিৎসক নির্দেশিত খাবার ও ঔষধ ব্যতিত কোনো কিছুই খাওয়া উচিন না)
সতর্কতাঃ দারুচিনি ও মধু পেষ্ট খাবার পর যথেষ্ট পুরাতন কফ বেড়িয়ে আসতে পারে, তাই অনুগ্রহ করে যত্রতত্র কফ কাশি নিক্ষেপ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকুন। এবং অবশ্যই অবশ্যই টিস্যু ব্যবহার করুন। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন।
আজকের লেখা এখানেই শেষ করছি, বাদবাকি মন্তব্যে আলোচনা হতে পারে। আজকের মতো দোয়া চেয়ে সকলের কাছে বিদায় নিচ্ছি। সকলের জন্য শুভ কামনা রইলো। নিজে নিরাপদ থাকুন এবং সকলকে নিরাপদ রাখতে সচেষ্ট হোন।
দারুচিনি ও মধুর বিভিন্ন উপকারিতাঃ
১। মধুর সঙ্গে দারুচিনি
২। মাথাব্যথা দূর করতে দারুচিনি মধু
৩। মধুর সঙ্গে দারুচিনি উপকার
ছবিঃ মধুর সঙ্গে দারুচিনি
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১১:২১