
সূচনা: ধর্মেশ্বরের ইদানিং খুব ক্লান্তি লাগে। কারণে অকারণে ক্লান্তি। কোয়ার্টারের বাসা থেকে বের হতেও ক্লান্তি লাগে, বাসা থেকে হাসপাতালের দুরত্ব আনুমানিক ২০০ মিটার হবে, এই সামান্য পথ হেটে যেতে যেতে ধর্মেশ্বর রিতিমতো ঘেমে উঠেন। ধর্মেশ্বর নিরামিষভোজী মানুষ তাঁর ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস কিছুই নেই। মাথায় হাজারো চিন্তা ভাবনাও নেই। পুত্র কন্যা পড়ালেখা শেষ করে সকলে যার যার কর্মস্থলে আছেন, বলা চলে বেশ ভালোই আছেন। তারপরও বিচিত্র কোনো কারণে তিনি ক্লান্ত!
ধর্মেশ্বরের শহরাঞ্চলে থাকতে কষ্ট হয়, তাই তিনি আজীবন গ্রামে থেকেছেন, পড়ালেখা শেষ করে বেছে বেছে অন্ধগ্রামের সরকারি হাসপাতালে পড়ে আছেন। শহরে তাঁর ব্যাচমেটরা কেউ ফুল প্রফেসর, সিভিল সার্জন বা কিছু না কিছু হয়ে আছেন। কেউ কেউ প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে করে গাড়ি বাড়ি নিজস্ব হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার এলাহি ব্যাপার করে রেখেছেন। কেউ কেউ মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী দেখেন।
ধর্মেশ্বর জীবনে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেননি, দিন রাত ঝর বৃষ্টি - কি শীত কি বর্ষা - যেকোনো সময় রোগী এসেছেন ধর্মেশ্বর রোগী দেখেছেন। সাদা ভাত আর সুতি কাপড়েই তিনি সুখী। ধর্মেশ্বর একজন সাধারণ ডা্ক্তার ছিলেন, একজন সাধারণ ডাক্তার আছেন। এভাবেই হয়তো দিন চলে গিয়েছে, আর বাদবাকী দিনও হয়তো চলে যাবে!
ধর্মেশ্বর জীবনে “দৃশ্য, অদৃশ্য” - - এতো কিছু দেখেছেন! যা দেখার পর সাধারণ জীবন যাপনের বাইরে তাঁর আর যাওয়া সম্ভব হয়নি।
---------------------------------------------------------------------------
ধর্মেশ্বর। ধারাবাহিক গল্প। পর্ব - ০১।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই গল্পের প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক।
জীবিত বা মৃত ব্যক্তি বা বাস্তব ঘটনার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
---------------------------------------------------------------------------
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




