somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাগজের চিঠি!!!

১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মা,
আশা করি আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আপনি ভাল আছেন।আমার সাস্থ্য ও ভাল মা,কিন্তু মনটা একটুও ভাল না।কিভাবে ভাল থাকে মা,এত দীঘ সময় যে আমরা কেউই কারও চোখের আড়াল ছিলাম না।আমি জানি,এই রমজানের প্রতিটি সেহরিএবং ইফতারিতে আপনি আমাকে খুব বেশি মিস করেন,হয়তবা কাঁদেন ও।আমিও কাঁদি মা কিন্তু সেটা বোবা কান্না।সে কান্নার আওয়াজ কেবিন আর ইঞ্জিন রুমের বাইরে বের হয় না! এই রমজানে সবাই যখন সেহরি আর ইফতারি নিয়ে ব্যস্ত,আমি তখন ইঞ্জিনের চাপ আর তাপ নিয়ে ব্যস্ত।অবশ্য সেহরি এবং ইফতারি আমিও খাই।কিন্তু একা একা! তারপরও আপনাকে মিস করার সময় পাইনা মা।কি সাথপর আমি!আমি জানি এই কথা আপনি কখনো ভাববেন না।অবশ্য নীল সাগেরর মানুষরা নাকি একটু সাথপরই হয়।আমি যে জাহাজে ইন্টার্নী করতেছি মা,সেটা ৩৫ বছরের পুরনো জাহাজ!জাহাজের মানুষ গুলোও কেমন সেকেলে!হয়তবা জাহাজি বলেই,আমি জানি না।জাহাজিদের সম্পরকে আমার এইরকম ধারণা ছিল না।মনে হয় এই জাহাজের জাহাজিরাই এই রকম।এত পুরনো জাহাজে কাজ একটু বেশি হবে এটাই সাভাবিক,কিন্তু অসাভাবিক হচ্ছে এই জাহাজের কাজের পরিবেশ।এই জাহাজে মনে হয় কাজ বেশি কিন্তু সময় কম!এখানে দিন রাতের ফারাক বুঝা কঠিন।বাড়িতে বাইরের হাল্কা শব্দেই ঘুম ভেংগে যেত কিন্তু আজ তীব্র আওয়াজেও দিব্যি ঘুমাই।এইখানে যে অভিযোগ শোনার কেউ নেই মা।আমি যার সাথে থাকি সেই ইঞ্জিনের কি আর আত্তা আছে মা,এই কথাতো আপনি জানেন।তার সাথে থাকতে থাকতে আমার আত্তাও যে শুকিয়ে আসছে।মাঝে মাঝে বিশাল সাগরও কেমন হিংস্র হয়ে যায়।সাগর কি আর আকাশের মত উদার।সাগরের এই আচরণ কোন জাহাজিই পছন্দ করে না মা।তাতে কি,প্রকৃতি তার আপন নিয়মেই চলবে।মানুষের মত নিয়ম ভঙ্গের নিয়ম তার নেই।জাহাজ যখন দুলতে থাকে তখন দায়িত্ত পালন করতে অনেক কষ্ট হয় মা।তারপরও অনাগত আগামীর কথা ভেবে সবই মেনে নিয়েছি।
নিজেকে আজ সত্যিই খুব বেশি অসহায় মনে হয়!
অনেক বেশি ভালবাসি মা তোমায়।
তোমার
আদর.....
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই জুলাই, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×