somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মের নামে সন্ত্রাস করছে লস্কর-ই-তৈয়বা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লস্কর-ই-তৈয়বা, উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠী হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি লাভ করেছে৷ ধারণা করা হয় পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থা এবং আল কায়দার সঙ্গে সংযোগ রক্ষা করে এই ইসলামী গোষ্ঠীটি৷

লস্কর-ই-তৈয়বা, নামের অর্থ আর্মী অফ দ্য পাইয়াস বা ধার্মিক সেনাবাহিনী৷ সন্ত্রাসী সংস্থাগুলোর মার্কিন ওয়াচ তালিকাতেও গোষ্ঠীটির নাম রয়েছে৷ যুক্তরাজ্য এবং আরো কয়েকটি পশ্চিমের দেশ গোষ্ঠীটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷
Bildunterschrift: Großansicht des Bildes mit der Bildunterschrift: এই ছবিটিকেই খুঁজছেন আপনি৷ ছবিটির ডেট: ০৩/১২ এবং কোড: ৭৩১৫ পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায় অথবা এসএমএস করুন ০০৮৮ ০১৭১ ৪০৭ ৮৬৫৮, ভারত: ০০৯১ ৯৮৩০৯ ৯৭২৩২ নম্বরে৷ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে জিততে পারেন আকর্ষণীয় সারপ্রাইজ গিফট ...
লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৯ সালে৷ ইসলামী উগ্রপন্থী হিসেবে পরিচিত হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদ এই গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা৷ মারকাজ দাওয়া-ওয়াল ইরশাদ-এর সামরিক শাখা হিসেবেই লস্কর-ই-তৈয়বা প্রতিষ্ঠিত হয়৷ পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরের কাছে মুরিদকেতে মারকাজ দাওয়া-ওয়াল ইরশাদ-এর সদর দফতর৷

লস্কর-ই-তৈয়বা পরিচালনার জন্যে সৌদী দাতা গোষ্ঠী এবং পাকিস্তানী গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে সাঈদ প্রয়োজনীয় তহবিল পান বলে ধারণা করা হয়৷ জঙ্গীদের সেল এবং প্রশিক্ষণের জন্যে পরবর্তীতে মুরিদকের কাছে বেশ বড় একটি জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে৷

মুম্বাইয়ে হামলার পর ভারত যেসব সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে হস্তান্তরের জন্যে পাকিস্তানের কাছে দাবি জানিয়েছে সাঈদ তাদের মধ্যে একজন৷ মুম্বাই হামলায় ১৮৮ জন প্রাণ হারান৷ তবে ভারত শাসিত কাশ্মীরের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বার মুখপাত্র, সম্প্রতি মুম্বাইয়ে ভয়াবহ কয়েকটি হামলার সঙ্গে গোষ্ঠীটির জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন, যদিও ভারতে কয়েকটি বড় ধরনের হামলার জন্যে এই গোষ্ঠীটিকেই দায়ি করা হয়৷

২০০১ সালের ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে হামলার জন্যে লস্কর-ই-তৈয়বাকে দায়ি করা হয়৷ ওই হামলায় ১০ জন প্রাণ হারান৷ আর এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তান উপনীত হয় যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে৷ মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক কূটনীতির কারণেই পারমানবিক শক্তিধর এই দুই দেশের মধ্যেকার যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়৷

লস্কর-ই-তৈয়বা ভারতীয় পার্লামেন্টে হামলার কথাও অস্বীকার করে৷ তবে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ ২০০২ সালের জানুয়ারীতে এই গোষ্ঠীটিকে বহিস্কার করে৷ এর পরের বছরই পাকিস্তান যখন আলকায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে আটক করে, তখনই আবার উঠে আসে লস্কর-ই-তৈয়বার নাম৷

২০০৫ সালের ৭-ই জুলাই লন্ডনে বোমা হামলায় ৫৩ জন প্রাণ হারানোর পর আবারও উঠে আসে লস্কর-ই তৈয়বার নাম৷ চারজন আত্মঘাতী হামলাকারীর মধ্যে দুজনই ছিল পাকিস্তানী বংশদ্ভূত ব্রিটিশ৷

লস্কর-ই-তৈয়বার প্রতিষ্ঠাতা সাঈদ, ১৯৮০-র দশকে আফগানিস্তানে লড়াই করেছেন, তবে ২০০২ সালে পাকিস্তান থেকে গোষ্ঠীটি নিষিদ্ধ ঘোষিত হবার পর , ইসলামিক দাতা সংস্থা জামাত-উদ-দাওয়া প্রতিষ্ঠা করেন সাঈদ৷ তাঁর বয়স এখন ৬২৷ তবে সাঈদের মুখপাত্র বলেন, পুরোনো জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে এই দাতা সংস্থার কোন সম্পর্ক নেই৷

সীমান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা এবং ১১-ই সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার পর এই জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর আবারও উত্থান ঘটে৷



ফাহমিদা সুলতানা আপুকে Thanks for such a nice informative news report.ফাহমিদা সুলতানা আপু DW bengali radio তে কর্মরত।sorry for HALKA pasting.
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×