শ্রমিকেরা সকাল্বেলায় উলাসে মত্ত । চরিদিকে দেশিমদের ফোয়ারা ।
শ্রমিক ১: সূর্য কি কোন খাবারের নাম ?
শ্রমিক ২: রাহু, কেতু জানে ...
শ্রমিক ৩: সূর্য কি কেবল নাম ?
শ্রমিক ১: সে কাতুকুতু জানে ?
শ্রমিক ৪: সূর্য কি ডাকনাম ...
ফাগুলাল: কালকেতু ব্যাধ ...
শ্রমিক ৩: ভেসে যায় পুবে-পশ্চিমে ...
চন্দ্রাকে দেখা যায় দূর পাহড় চুড়ায় ।
শ্রমিক ২: মা যে বারবার ঘর বার করে ...
ফাগুলাল: রাত হল, খোকা কোথায় ??
শ্রমিক ২ বালির ভেতর লুকিয়ে রাখা বোতলটা ফাগুলালকে দিলে সে টলতে টলতে বেরিয়ে যায় ।
শ্রমিকেরা সমবেত কন্ঠে গান ধরে-
গান:
ছিরির কোনো ছাদ নাই
রাজার চোখে ঘুম নেই।
ছাদের কথা? ছাদই জানে ...
বলছে বাতাস কানে কানে ?
ছিরির কোনো ছাদ নাই
রাজার চোখে ঘুম নেই ।
ওরে রঞ্জন তুই থকিস কোথায় ?
তোমার মুন্ডুতে আর আমার মাথায় ।
ছিরির কোনো ছাদ নাই
রাজার চোখে ঘুম নেই ।
মেঘ, দেখলে, মনের ভিতর ...
ঐ দ্যাখ যন্তর-মন্তর,হিল্লি-দিল্লী
শেষে, ভাসছো হাওয়াই গানে ?
হওয়া দিলে উড়বে শাড়ি
চলল ফুলি কমলার বাড়ি
শেষটুকু ভাই কানে কানে
ছিরির কোনো ছাদ নাই
রাজার চোখে ঘুম নেই ।
বিশু : গলা শুকিয়ে গেছে । আরেকটা বোতল বের কর ।
শ্রমিক ৩: খোকা গেছে মাছ ধরতে ক্ষীরনদীর কূলে ...
-৬-
অধ্যাপক: যদি মনে করো , বই তবে বই
যদি মনে করো, আকাশ,তবে তাই
বেসিক্যালি সব ছারপোকা,
খাটের তলায় থাক্তেই কেবল তাদের আপত্তি ভীষণ ...
ইঁজিনিয়ার: পরশ-পাথর তো তোমার হতে ... এই হল মাঊস ।
এই হল সেই সফটওয়ারের-এর আলামারি
এই নাও ছেলেবেলা
এই তো বাবা আর মা কথা বলছেন সেই অর্ধাচন্দ্রাকৃতি বারান্দায় ...
সবি গল্পের মত
উল্টে যাওয়া পাতা ...
যাও পাখি ...
মাউসে ক্লিক করার সাথে সাথে নন্দিনী পাখি হয়ে যায় ।
যক্ষ: এসো, সোনার খাঁচায় এসো
যক্ষরাজা ধীরে ধীরে তার বুকের চামড়া সরিয়ে ফেললে দেখা যায় তার বুকের খাঁচাটা সম্পূর্ণ সোনার ।
অধ্যাপক: এস রাজা গান লিখি, আনন্দের, স্বপ্ন দেখি সেই উড়ানের।।। এখন পার গানের ভাল রেট দিচ্ছে।
য্ক্ষ
এসো হে দিন
স্বপ্ন ও রঙ্গীন
এসো এসো চিল
খুলে দাও খিল
এসো মাছরাঙ্গা
ভুলে যাও ডাঙ্গা
এসো তুমি এসো
ভালবেসে, হেসো ।।
প্রহরীরা: (সমবেত) ভালবেসে হেসো ...
শকুন ও টিয়া
ও গো মোর হিয়া
যদি হও চড়াই
হাত ধরে বেড়াই
হও সেক্সি বক
রীনা ব্রাউনি শক
এসো তুমি এসো
ভালবেসে, হেসো ...
প্রহরীরা: (সমবেত) ভালবেসে হেসো ।।।
সুন্দরী এয়ার হোস্টেসরা এদিক থেকে ওদিক দৌড়ে যায়। ক্রমাগত ।
এয়ার ইন্ডিয়া: কোন সে স্বপ্ন
কোন সে উড়ান?
জেট এয়ারওয়েজ: বাইরে মত্ত হাওয়া
দমকে দমকে আসে জলের ঝপটা
ডেকান: এই তো! আটকে যায় দু ফোঁটা মুক্তোর মত এই কপোলে
কিংফিসার: সবাই রঞ্জনের অপেক্ষায় আছে কবে সে আসবে
সমবেত: কবে কবে কবে ...
-৭-
শেয়ার ব্রোকার: এমনি করে দিন কাটে কেন ?
আয় বৃষটি আয় ...
রাসায়নিক সারের ব্যবসায়ী: আয় বৃষ্টি আয় ...
সরকারী চাকুরে: দুয়ে তেই প্রাণ যায় ...
তার চাইতে লাল ফিতের ফাঁস অনেক ভাল।
যক্ষ: লালফিতে? তা হবে। লালফিতে বললেই তো দুটি বেণী,
বাঁধানো রাস্তায় চঞ্চল পা, চোখের কোণে একটু ইশারা ...
পার্কে দেখা
হওয়ার কথা ছিল, আজ বিকেলে ।
নিমপদ্ম বিকেলে ।
নন্দিনী: কথা ছিল ফিতে হবে নীল
ধরার বুকে এই ফিতে দেখে
আকাশটা তো আপনা থেকেও আরো নীল হবে !
আমার রঞ্জন আসবে
জক্ষ: সে ঠিক আসবে ।
আরে কিছুই তো থেমে যায় নি ।
দ্যাখো, শ্রমিকেরা খনন চালায় ।
ইঞ্জিনিয়ার কোড লিখছে । তব্যে?
নন্দিনী: তাই তো।
গুচ্ছ গুচ্ছ ডলারের পাহাড় মেঘের মত ওড়ে
হিরে থেকে ঠিকরে পড়া সব কিঊট ম্লান আলো ।
চারপাশে শিল্পায়নের উদ্দাম হাওয়া
কেন যে মন খারাপ হয় !!
(শেষ)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৭:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



