গতকালই আবার বাংলা বনধ ( কি জ্বালা) !
বেশ কিছুদিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম এই দিনটির। সব অপেক্ষাই যেমন একদিন শেষ হয়, এও হল, আসলো সেই দিন, 1লা ডিসেম্বর।
আমার বিয়েবার্ষিকী।
বিগত কিছুদিন ধরেই সে খুব ব্যস্ত, আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কোথাও যাওয়া সম্ভব হবে না ( আমি ভেবেছিলাম সারাদিনের জন্যে কোথাও চলে যাব দুজনে) , তো আমি জানিয়ে রেখেছিলাম ঠিক আছে, অন্তত সারাদিন বাসায় থেকো, তো কিভাবে ম্যানেজ করবে হায়ত সেই চিন্তায় ছিল সে।
সকল চিন্তার অবসান করলেন দিদি, মমতাদিদি।
তিনি আগেরদিন বিধানসভায় হাজির হইলেন বিধায়ক না হইয়াও আর তেনার দলের বিধায়কদের দিয়ে তান্ডব করালেন বিধানসভায়, ভানগলেন চেয়ার-টেবিল। আর তারপর নিজেই বনধ ডাকলেন। পরদিন অর্থাৎ গতকাল বাংলা বনধ। আর বনধ মানেই যে ছুটি সে তো সকলেই জানে!
কাজেই আমি নিশ্চিন্ত হলাম, সে বাড়িতেই থাকবে। এইদিনে সে আমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে পারবে না। নাই বা গেলাম কোথাও বেড়াইতে, সারাদিন রইলাম নাহয় ঘরেই বন্দি হয়ে, সে তো থাকবেই আমার সাথে, কাজেই দিদিরে থ্যাংকস জানাইলাম মনে মনে, ভাগ্যিস, সে সিনগুর যাইতে গিয়া রাস্তায় নাকাল হইসিলো আর সেজনেইবিধানসভায় ঐ চেয়ার টেবিল ভাংচুর আর তাতেও শান্তি না পাইয়া শেষ অস্ত্র 'বনধ'।
বনধের খবরে পুলাপানেও খুশি, সারাদিন ছেলে ক্রিকেট খেলল বিলডিং কম্পাউন্ডে, মেয়ে টিভি দেখল আর ঘুমাইল। নিশ্চিন্তমনে আমি রান্নার মেনু ঠিক করলাম আর সারাদিন ধরে টোনা-টুনি মিলে রাঁধলাম রকমারী ডিশ। মায়ের বিয়েবার্ষিকীতে ফার্ষ্টোকেলাশ চায়নীজ, ইটালিয়ান আর আফগান ডিশ খানা পাইয়া পুলাপানে ডবল খুশি, আর আমি খুশি সারাদিন তাঁরে সারাদিন বাসায় পাইয়া। সেও খুশি, বহুদিন পরে দিনেরবেলায় ঘুমানোর সুযোগ পাইয়া।
থ্যাংকস টুদিদি!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


