মেমসাহেব জানো? শবনমের দেখা পাইনি। হারিয়েই গেলো মেয়েটা! ভালোবাসার দোলা দিতে দিতে হুট করে আমাকে একা ফেলে রেখে গেলো আফগানী প্রেম।
দীপাবলি তো নিজের জীবন গোছানোতেই ব্যস্ত। আমারটা গোছানোর তার সময় কই? থাকুক ও ওর মত।
কুসুমকে 'না' বলে দিয়েছিলাম বলে সেই যে রাগ করে মুখ ফিরিয়ে নিলো, আর এলোই না। পরে বুঝেছিলাম ওর কেবল শরীর না, মনও ছিলো। আমিই তখন বুঝিনি।
ভরদুপুরে কপিলাকে দেখেই ছিটকে সাত হাত দূরে চলে এসেছিলাম। অমন দস্যি মেয়ে আমার চাই না বাবা! সামলাতে পারবো না।
মুনাকে পাবার জন্য বাকের সাজতে গিয়েছিলাম। 'হাওয়া মে উড়তা যায়ে' গাইতে গিয়ে কাশি উঠে গিয়েছিলো! অতটা ডাকাবুকো হতে অনেক দেরি আমার।
সেই ছোট্ট বেলায় দুর্গার সাথে দেখা হয়েছিলো। কে জানে, এখন কোথায় আছে কেমন আছে সে। ভুলেই গেছে হয়তো।
ও! জয়িতার কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। শেষ বার যখন চিঠি দিয়েছিলো, তখন ও যুদ্ধে! আমি ভীতু মানুষ! ভয়ে আর উত্তরই দেইনি।
দেবদারু গাছের পাশে বসেছিলো, চশমা পড়া সেই মেয়েটা- ললি। আমাকে প্রতিজ্ঞা করেছিলো চিঠি লিখবে। একটাও চিঠি আমার ঠিকানায় আসেনি।
ওহ হো! সবার কথা বলতে গিয়ে তোমাকেই কিছু বলা হলো না! অবশ্য কিই-বা বলবো, তুমি তো ভুলেই গেছো আমাকে।
কি আর করবো মেমসাহবে বলো? কেউতো এলো না। অপেক্ষাতেই থাকি। দেখি বেলা বোস ফোনের জবাব দেয় কিনা।
ভালো থেকো।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪৪