somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের মেধা গুলোকে কি মেরে ফেলা হয় না মারা যায় ! না আমাদের কপাল খারাপ !!

২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুটার আসিফ হোসেন খান
বাংলাদেশকে কমনওয়েলথ গেমসে
স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছিলেন
২০০৪ সালে। খুব সম্ভবত
২০০৬ সালে, মানে স্বর্ণপদক
দেবার দুই বছর পরেই বাংলাদেশের
পুলিশ পিটিয়ে তাঁর হাত ভেঙ্গে
দিয়েছিলো। পুলিশের আক্রমণের
সময় আসিফ বার বার বলছিলেন
তিনি শুটার আসিফ, হাতে যাতে না
মারে। পুলিশ এগুলো
শোনেনি।“পুলিশের কাজ পুলিশ
করেছে কামড় দিয়েছে পা’য়”...
আসিফ বলেছিলো যে এখন তার
হাত দিয়ে রাইফেল ধরে নিশানা
করতে বড় কষ্ট হয়। পুলিশের সেই
লাঠির বাড়ির কারনে আজও তাঁর
হাত কাঁপে।আসিফ হারিয়ে
গেছেন...আর তাঁর খোঁজ পাইনি
কখনো।
বিমল চন্দ্র তরফদার নামে
আমাদের দেশে এক স্প্রিন্টার
ছিলেন। সঠিক সাল মনে নেই তবে
খুব সম্ভবত ৯৪/৯৫ সালের
কোনো এক সাফ গেমসে তিনি
বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম মানব
হয়েছিলেন। ভারতের, শ্রীলংকার
বাঘা বাঘা দৌড়বিদদের হারিয়ে
তিনি স্বর্ণপদক এনে দিয়েছিলেন
বাংলাদেশকে। তারপর অলিম্পিক
বা কমনওয়েলথ গেমসের ভিলেজ
থেকে তিনি পালিয়ে গেলেন একটা
সুন্দর জীবনের আশায়। আর ফিরে
আসেন নি। এখন খুব সম্ভবত
আমেরিকায় থাকেন।
ফাহিম মোহাম্মদ নামে ১১
বছরের এক ছেলে। ৭ বছর বয়সে
তাঁর বাবার সাথে ফ্রান্সে পাড়ি
জমিয়েছিলেন অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট
হিসেবে। বাবার সাথেই থাকতেন
রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের
জন্য সুনির্দিষ্ট করা ক্যাম্পে।
সেখান থেকেই তিনি (খুব সম্ভবত
২০১২ সালে) ফ্রান্সের জুনিয়র
দাবার চ্যাম্পিয়ন হলেন।
চ্যাম্পিয়ন হবার পর পর
বাংলাদেশের মিডিয়া “আমাদের
বাংলাদেশের ছেলে, আমাদের
বাংলাদেশের ছেলে বলে খুশিতে খুব
কেলাচ্ছিলো। একের পর এক
রিপোর্ট লিখে এমন একটা ভাব
করছিলো যেন ফাহিম বাংলাদেশের
হয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে”
উদাহরণ দিতে গেলে এমন অসংখ্য
উদাহরণ দিতে পারব। কি করে দেশ
থেকে মেধা গুলো হারিয়ে গেছে, কি
করে একজন মেধাবীর সাথে
অন্যায় আচরণ করে তাঁর
ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিয়েছে এই
বাংলাদেশ, এসবের অসংখ্য দুঃখ
গাঁথা আমার জানা রয়েছে।
বোধকরি আমাদের অনেকেরই
সেগুলো জানা।
লেখাটা লিখলাম মার্গারিটা
মামুনের স্বর্ণ পদক জিতবার পর
আমাদের কিছু মিডিয়া আর কিছু
জনতার উচ্ছাস দেখে। আমাদের
মেয়ে, আমাদের দেশের ভ্রুণ
রয়েছে, আমাদের রক্ত রয়েছে,
ইত্যাদি বলে যে আনন্দের আঙ্গুল
চাটাচাটি লক্ষ্য করেছি তা
আমাকে ভীষন আনন্দ দিয়েছে
সন্দেহ নেই।
মার্গারিটা বাংলাদেশের হয়ে
জুনিয়ার লেভেলে এক সময়
খেলেছিলেন কিন্তু অবকাঠামো
আর সুযোগের অভাবে তিনি
বাংলাদেশের হয়ে আর খেলেন নি
এই কথাগুলো মনে করিয়ে দিয়ে
পত্রিকাগুলো প্রমাণ করতে
চাইছেন মার্গারিটা একবার না
একবার বাংলাদেশের ছিলেন সুতরাং
এইবার অলিম্পিকে জিতে যাওয়া
স্বর্ণপদকে বাংলাদেশের ভাগ
রয়েছে।
হাসি পায়। যে ঘটনাটি হচ্ছে
লজ্জার আর মাথা হেঁট হয়ে যাবার
মত, সেটি যখন গর্ব করে চাউর
করা হয় তখন এইসব নির্বুদ্ধিতা
নিয়ে কি মন্তব্য করব সেগুলোই
আসলে মাথায় আসে না।
এই দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি,
সিস্টেম, দূর্নীতি কিংবা সরকারী
ডাকাতির মধ্যে থেকে অনেকেই
নিজের জীবন নিয়ে এই দেশ থেকে
পালায়।
যারা এতকিছুর পরেও এই দেশে
থেকে যান তাঁদের কারো হাত
ভেঙ্গে দেয়া হয়, কারো পা, কারো
মাথা, কাউকে ক্রস ফায়ার।
কেউবা একটা হলের জন্য সংগ্রাম
করেন কেউবা সুন্দরবন বাঁচাবার
জন্য।
নোবেল পদক প্রাপ্ত যে লোকটি
এই দেশের, যে লোকটি দেশের জন্য
এত সম্মান বয়ে নিয়ে আসলেন, যে
লোকটি বয়ে নিয়ে গেলেন
অলিম্পিক টর্চ সেই লোকটি এই
দেশের রাজনীতিতে হয়ে গেলেন
সুদখোর ও নিকৃষ্ট আর রাশিয়ার
একটি কিশোরীকে বাংলাদেশী
বানিয়ে সর্বোচ্চ নির্লজ্জ
চেষ্টার সকল রকম আয়োজন
দেখতে দেখতে ক্লান্ত।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×