পত্রিকায় যখন পড়লাম, চোখে অশ্রু চলে এসেছিল।
কল্পনায় নিলাম, দানা মাঝি যদি আমি হতাম, দানা মাঝির মেয়েটা যদি আমার মেয়ে হতো! আমি লাশ কাঁধে নিয়ে হাঁটছি আর আমার মেয়ে কাঁদছে। অব্যক্ত যন্ত্রণা ভর করেছিলো বুকে।
মানবিকতা কোথায়? একটি হাসপাতাল তো মানবিকতার ভান্ডার হওয়ার কথা। কিন্তু সে কতো নৃশংস। কতো নির্মম।।
ভারত হলো এক আজব দেশ।
এদেশে মরুভূমি যেমন আছে, তুষারাবৃত ভূমিও তেমন আছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বড় উদাহরণ হিসেবে সংখ্যালঘু প্রেসিডেন্ট যেমন আছে, দুনিয়ার সবচাইতে বেশী সংখ্যক ধর্মীয় রায়টও তেমন আছে।
দেখা যাবে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ দশটা টয়লেটের একটা আছে ভারতে....আম্বানী টাটা বিড়লারা ব্যবহার করেন। অন্যদিকে ৫৫কোটি ভারতীয় জঙ্গলে হাগে।
সেদেশে বাইশ হাত শাড়িপরিহিতা রমনী যেমন আছে, আবার কাপরের অভাবে দিগম্বর থাকে তেমন মানুষও আছে।
এমন বৈপরীত্যযুক্ত দেশে দানা মাঝি একটি বাস্তবতা।
হাসপাতালের বিপরীত প্রতিবিম্ব থাকার কথা নয়।
দয়ার বাতিঘর হয়ে থাকার কথা। কিন্তু দানা মাঝি জানিয়ে দিলো কিছু কিছু বাতিঘরের নীচে বড্ড বেশী অন্ধকার।। নরকের চাইতেও বেশী।।
♣ আমার এক পরিচিত ডাক্তার খুলনাতে ডাক্তারি ব্যবসা করে পয়সা কামিয়ে হাসপাতাল খুলেছেন। সেখানে একজন রোগী মারা গেল। একজন সাংবাদিক, অবহেলার কারণে রুগী মারা গেছে রিপোর্ট করলো। তার প্রতিবাদে ডাক্তার সাহেব, ফেসবুকে লিখলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন অবহেলা নাই। কারণ রুগীর স্বজনরা ওষুধ আনতে দুই ঘন্টা দেরী করেছে। আমি লিখলাম, হাসপাতালে ওষুধ নাই এ কেমন কথা? ধরুন মুমূর্ষু রোগীর কেউ নাই, সে হাসপাতালে। ডাক্তার রোগী বাঁচাবে, নাকি আত্মীয়ের জন্য অপেক্ষা করবে? ব্যবসা আগে নাকি মানবিকতা আগে। চামচা দিয়ে লিখালো, গেটের কাছে ওষুধখানা,এতো দেরী হবে কেন? জুনিয়র ডাক্তার দিয়ে উত্তর দিলো, আত্মীয় কিছু না বললে আমাদের কিছু করার নাই, এটাই আইন।( ডাক্তার সাহেবরাও এখন আইন বিদ্যায় পারদর্শী।) ডাক্তার সাহেব আর বেশী না গিয়ে সহজ কাজটি করলেন। ফেসবুক ফ্রেন্ডশিপ কেটে দিলেন।
@ এই সব ডাক্তারের কাছে রাষ্ট্রও নিরাপদ বোধ করে না। তাই আজকে রাষ্ট্রপতি ইংল্যান্ড গেলেন চোখ দেখাতে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:১২