গণতন্ত্র ব্যপারটা আমাদের বাসাবাড়িতে চর্চা হলে কেমন হয়? মনে করেন, একটা বাসায় ৭ জন সদস্য। বাবা-মা আর ৫ ভাই-বোন। এখন প্রতি বেলা খাবার কি রান্না হবে তা নিয়ে একটা ভোট হল। দেখা গেল দু’জন স্যুপ খাওয়ার পক্ষে, চারজন ভাত কিন্তু বাবা গোঁ ধরেবসে আছেন যে ঐবেলা সবাইকে চাউমিন খেতে হবে। যেহেতু ক্ষমতায় বাবা, সেহেতু সবাই ঘাড়গোঁজ করে চাউমিন খাবে বলে টেবিলে গিয়ে দেখলো নির্বাহী সদস্য মা চাউমিন রান্না করেননি। কারণ বাজারের জন্য যে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল, তারা কি বাজার করবে তা-ইদিশকুল করতে পারে নাই। চাচা-ফুফু-মামা-খালাদের নিয়ে গঠিত তত্বাবধায়ক কমিটি বাবা আরমায়ের নানা দোষত্রুটি বের করে তাদের অকার্যকর ঘোষণা করল, কিন্তু যেহেতু তাদের নিজনিজ সংসার আছে তাই তারাও এই বাসার দায়িত্ব বেশিদিন নিতে অপারগ। প্রতিবেশীরাপর্যবেক্ষক কমিটি গঠন করার মাধ্যমে সাহায্য করার থেকে ঝামেলা আরো বেশি বাড়িয়েতুললেন। এদিকে বাবা ড্রাইভারের সাথে জোট বেঁধে কতিপয় সদস্য নিয়ে বাইরে খাবারচেষ্টা নিতেই মা কাজের মেয়ের সাথে জোট বেঁধে বাকিদের নিয়ে ছাদে চড়ুইভাতি করতেগেলেন। কিন্তু ড্রাইভার বাজার কমিটির নির্বাহী সদস্য, তাই সে বাজার হস্তান্তর নাকরায় চড়ুইভাতি কমিটি ডেকচিপাতিল সামনে নিয়ে মুখ হাড়ি করে ছাদে বসে থাকল। আবার অর্থমন্ত্রনালয় মায়ের হাতে থাকায় বাইরে খেতে গিয়ে বাবা আবিষ্কার করলেন পকেটে নাইমানিব্যাগ।...(থাক, আর না লিখি...)
পুনশ্চঃ আমাদের দেশে গণতন্ত্র অনেকটা এরকম- কাপড় পড়া আর না পড়া নিয়ে ভোট হবে। কাপড় না পড়া পার্টি জিতবে। তারপর তারা তাদের কাপড় না খুলে বিরোধীদলের কাপড় আর চামড়া দুইটাই খুলে নেবে।