somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অজ্ঞ হওয়া ভালোই

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


'পুঁথির প্রতাপ' প্রবন্ধটি যখন লেখেন মোহিতলাল মজুমদার তখনো লেটার প্রেস বা কম্পিউটার আসে নি। ডিটিপি তো দূরস্থান। আর ব্লগ, সে কল্পগল্পের বিষয় হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না। তিনি ওই প্রবন্ধে বড্ড আফসোস করেছিলেন বই লেখা বা প্রকাশ বেশিমাত্রায় সুলভ হয়ে গেছে বলে।

আর আজকাল?

ব্লগ নামধেয় লেখার সহজিয়া উপকরণ দেখলে তিনি তো ভির্মি খেয়ে পড়েই যেতেন। এই বাংলার পত্রপত্রিকার কথা তো বাদই দিলাম। প্রতিদিন যে-পরিমাণ কাগজ শুধু ছেপে বেরুচ্ছে গৌড়দেশে, তার ওজনে চ্যাপ্টা হয়ে হাজারখানেক মানুষ হাসিমুখে প্রাণ বিসর্জন দিতে পারে।

আরো আনন্দের বিষয় হলো লিখতে গেলে কোন বিষয় লাগে না। আমি কিছুই লিখতে পারি না, এটাই একটা লেখার বিষয়বস্তু হয়ে যায়। আরো ভয়ঙ্কর, কিছুই না জেনেও লিখতে বসা যায়। ছবি না দেখেই সমালোচনা, বই না পড়েই আলোচনা, কারো বা কিছুর সম্পর্কে না জেনেই বিশেষজ্ঞ মতামত-ইত্যাদি সবই চলে।

এমনি এক মহান স্বজ্ঞ লেখকের এক জাঝাময় লেখা পড়লাম সাপ্তাহিক 'সাপ্তাহিক'-এর ২২ এপ্রিল, ২০১০ সংখ্যায় (বর্ষ ২, সংখ্যা ৪৯)। ঐশী প্রত্যাদেশপ্রাপ্ত লেখকের নাম স্বকৃত নোমান। লেখার নাম "হুমায়ুন আজাদ একজন প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীর প্রতিকৃতি"।

২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪-এ হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত হন মৌলবাদীদের ইসলামি চাপাতির হিংস্র আঘাতে। ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাঁর মুখমণ্ডল, রক্তাক্ত সেই অধ্যাপকের ভয়-জাগানিয়া ছবিটি আমাদের ধর্মভিত্তিক রাজনীতির অসুস্থ উদাহরণের একটি অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

সেই ছবিতে দেখা যায় তাঁকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে আছে এক যুবক। তার মুখমণ্ডল উত্তেজনায় অধীর। তার দাঁত বেশ চোখে পড়ে।

কে ওই যুবক?

তার সম্পর্কে নোমান লিখেছেন, "ছবিটিতে দেখা যায়, রক্তাক্ত হুমায়ুন আজাদের হাতে এতটি বই এবং তার পেছনে এক যুবককে দেখা যায়-যে কিনা প্রকাশযোগ্য সব ক'টি দাঁত বের করে হাসছে। গুরুতর আহত কোনো মানুষকে সামনে রেখে পেছনে দাঁড়িয়ে কোনো কাপুরুষও হাসতে পারে না। সাংবাদিক যখন আক্রান্ত হুমায়ুন আজাদের ছবি তুলছিলেন, তখন হয়ত যুবক আগামীকালের পত্রিকায় নিজের ছবি ছাপা হওয়ার আনন্দের কথা কল্পনা করে হেসেছিল-বিষয়টি এমনও হতে পারে।"

এছাড়া, "...আহত, বিধ্বস্ত, রক্তাক্ত হুমায়ুন আজাদের পেছনে যে যুবক হাস্যরত, তার চেহারায় ভেসে ওঠে একজন ধর্মান্ধ মৌলবাদীর অবয়ব। আরো ভেসে ওঠে আড়ষ্ট চিন্তার অধিকারী ব্যক্তি, প্রতিক্রিয়াশীল বুদ্ধিজীবী, কুটিল রাজনীতিবাজ, মধ্যস্বত্বভোগী ফড়িয়া এবং মানবতাবিরোধী সন্ত্রাসীর অবয়ব। মনে হয়, একটি মাত্র যুবক এ সকল শ্রেণীর মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছে।
এ ছবিটিই যথেষ্ট হুমায়ুন আজাদ ও তার সময়কে চিহ্নিত করতে। এতে ধরা পড়ে নষ্ট-ভ্রষ্ট সময়ের হালচাল। যুবকটি যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করছে, তারা সবাই হুমায়ুন আজাদের শত্রু।..."

যাক, যথেষ্ট ধ্বংস করা হলো যুবকটিকে আর সে যে-শ্রেণীর প্রতিনিধি, তাকে।

আমি যখন প্রথম ছবিটা দেখি, তখন আমারও মনে হয় যে, ছেলেটি বুঝি হাসছে। পরে ভালো করে দেখে বোঝা যায়, তার চোখ উত্তেজনায় বিস্ফারিত।

কিন্তু, একটা ব্যাপার নিশ্চিত। সে কখনোই কোন মৌলবাদী দলের সদস্য নয়। কারণ, সে যদি তাই হতো, তাহলে সে অধ্যাপক আজাদের মৃত্যু নিশ্চিত করারই চেষ্টা চালাতো, তাকে ধরে রক্ষার করার নয়। তাছাড়া, যারা তাঁকে আঘাত করেছিলো, তাদের যে কোন ছবি তোলা হয় নি, তা সর্বজনবিদিত। সুতরাং, এদিকেও যুক্তি খাটে না।

আসল ঘটনাটা কী?

জানার জন্যে আসল মানুষটাকেই খোঁজার আর প্রশ্ন করার দরকার নেই।

তিনি তাঁর কথা এখানে সুস্পষ্ট বাংলায় লিখে রেখেছেন।

তাঁর নাম হাসান শরিফ। সম্ভবত কোন পত্রিকায় কর্মরত। 'প্রথম আলো'-য় ছিলেন। এখন আছেন কি না, জানা নেই। সামহোয়্যারে তাঁর ব্লগ একাউন্টেই তিনি লেখাটি লেখেন।

আমি তাঁর লেখার নির্বাচিত অংশ তুলে ধরছি সবার জ্ঞাতার্থে।

ব্লগে হুমায়ুন আজাদকে নিয়ে কয়েকটি লেখা এবং ছবি দেখলাম। তাতে চোখে পড়লো সেই বিখ্যাত ছবিটিও। রক্তাত্ব হুমায়ুন আজাদকে জড়িয়ে ধরে আছি আমি। এটি আমার জীবনের এক স্মরনীয় ঘটনা। লিখবো লিখবো করেও কখোনো লেখা হয়নি। সবসময় মনে হয়েছে, মানুষকে জানিয়ে লাভ কি?

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি আর আগষ্ট এলেই ভাবি এবার সেই ঘটনা নিয়ে লিখবো। কিন্তু আলসেমিতে হয়ে ওঠে না। আমাদের অফিসের ফিচার সম্পাদক জাহিদ রেজা নূর কয়েকবার বলেছিলেন লিখতে। তাঁর কথায় একবার কিছুটা লিখেওছিলাম। কিন্তু শেষ আর করা হয়ে ওঠেনি নানা ব্যস্ততায়।

আজ মনে হচ্ছে ব্লগে শেয়ার করি সেদিনের ঘটনা। পাঠক বিষয়টি জানুক। আমি মুক্ত হই গণমাধ্যমে ইতিহাস চেপে রাখার দায় থেকে। কারন আমার পরিচিতরা ছাড়া সাধারন মানুষ ঘটনাটি জানে না। আজ তাদের জানাচ্ছি।


আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের (ডিইউএফএস) তুখোড় সদস্য। ক্লাস শেষ করেই কলা ভবন থেকে ছুটে যাই টিএসসিতে। সেখানেই আড্ডা, সেখান থেকে খেতে যাওয়া, আবার ফিরে আসা। রাতে এখান থেকে নয়টা সাড়ে নয়টা কখনো কখনো ১০ টায় হলে ফিরি।

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৪। তখন শীতকাল। বইমেলা চলছে। টিএসসি জমজমাট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন একটি গানের উৎসব হবে। টিএসসির নিচে তার মহড়া চলছে। গিটারে গান। আমি বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সেই গান শুনছি। রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে। হঠাৎ একটি বোমা ফাটার মতো শব্দ হলো। মাঝারি ধরনের শব্দ। আমার আবার সব কিছুতেই ব্যাপাক কৌতুহল। খুব সাহসী আমি সেটি বলবো না, তবে ভয় ডর নেই এটুকু বলতে পারি।

তো কোথা থেকে এলো সেই শব্দ সেটি জানতে আমি টিএসসি থেকে হাঁটা শুরু করলাম বাংলা একাডেমির দিকে। রাস্তার মাঝে যে ডিভাইডার আমি সেটি ধরে আনমনে হাঁটছি। মনে হলো সোহরাওয়াদী উদ্যান দিয়ে কেউ দৌড়ে পালাচ্ছে। একটু দূরে যেতেই দেখি এক জায়গায় জটলা। গেলাম সেখানে। দেখলাম চাঁর-পাঁচজন পুলিশ সদস্য, কিছু লোক সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে পড়ে আঝছ রক্তাত্ব একটি দেহ। কিন্তু কেউ ধরছে না। বরং সবাই যেন তামাশা দেখছে। কিংবা হয়তো ঝামেলার ভয়।

আমি দ্রুত সেখানে গিয়ে উপুড় হওয়া লোকটিকে তুললাম। রক্তে ভেজা। মুখ দেখে চিৎকার করে উঠি এ তো হুমায়ুন আজাদ। আমি যখন স্যারকে তুলি স্যারের এক পাশের গাল দুই ভাগ হয়ে দুদিকে চলে গিয়েছিলো। পুরো মুখটা পুরো হা হয়ে ছিল। আমি দুই পাশে চাপ দিয়ে জোড়া লাগানোর চেষ্টা করলাম।

হুমায়ুন আজাদকে আমি সামনাসামনি আগে কখনো দেখি নাই। কিন্তু তাঁর অনেক বই পড়েছি। আমার স্কুলের এক ইংরেজি শিক্ষক যে আমাকে মানুষ হওয়ার দীক্ষা দিয়েছিল তাঁর কাছ থেকে জেনেছি হুমায়ুন সম্পর্কে। অনেক বই পড়েছি স্যারের। ব্যাক কাভারের সেই ছবি আর সেই চুল দেখে তাই স্যারকে চিনতে পারলাম।

মূল ঘটনায় ফিরি। স্যারকে হাসপাতালে নিতে হবে। কি করবো? আমি আমার মোবাইল ফোন থেকে একটি ফোন করলাম বিটু ভাইকে। বললাম-বিটু ভাই, হুমায়ুন আজাদকে বোমা মারছে। আপনি বাংলা একাডমেরি সামনে আসেন। বিটু ভাই তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় চলচ্চিত্র সংসদের অর্থ সম্পাদক এবং আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ বড় ভাই। (আমি তখন ভেবেচিলাম স্রারকে বোমা মারা হয়েছে। আসলে তকা নয়, তাহলে কোপানো হয়েছিল, দুস্কৃতিকারীরা পালানোর সময় বোমা ফাটায়)
বিটু ভাইকে ফোন করে আমি রক্তাত্ব হুমায়ুন আজাদকে হাপাতালে নেওয়ার জন্য একটি রিকশায় উঠানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু রিকশায় উঠানো সম্ভব হলো না।
স্যারকে কোনভাবেই রিকশায় রাখতে পারছিলাম না।
আমি তখন দৌড়ে টিএসসির দিকে আসলাম। সাদা একটি প্রাইভেট কার এদিকেই আসছিলো। আমি তাকে বললাম ভাই আমাদের এক স্যার হুমাযুন আজাদকে কেউ বোমা মেরেছে। হাসপাতালে নিতে হবে। একটু আসেন। সে কিছুতেই রাজি হলো না। বরং গাড়ি ঘুরিয়ে উল্টো দিকে চলে গেলো। আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এদিক ওদিক তাকিয়ে কোন দিশা পাচ্ছিলাম না। ছটফট করছিলাম।

হঠাৎ অন্য বুদ্ধি আসে। দেখি পুলিশের বিশাল এক ট্রাক দাঁড়িয়ে টিএসসির সামনে। আমি তখন চিৎকার দিয়ে তাদের বললাম ভাই স্যারকে হাসপাতালে নিতে হবে। আমি এখানকার ছাত্র। প্লিজ আপনাদের গাড়িটা নিয়ে আসেন। একই সঙ্গে আমি হুমকিও দিলাম। চেচামেচি করলাম। পুলিশ সদস্যরা রাজি হলো। তারা এলো গাড়ি নিয়ে। লোকজনের সহায়তায় আমি স্যারকে পুলিশের সেই ট্রাকে তুললাম। স্যারের খুব কষ্ট হচ্ছিল বোঝা যাচ্ছিল।

এদিকে স্যারকে আমি ট্রাকে উঠনোর আগে আগে সেখানে হাজির হলো পাভেল ভাই। (সে বোধহয় নিউ নেশন বা কোন একটা ইংরেজি কাগজে কাজ করতো। মাঝে মাঝে আমাদের সংগটনে আসতো। তাই তাকে চিনতাম।) দেখি পাভেল ভাই তাঁর ক্যামেরা দিয়ে একের পর এক ছবি তুলছে স্যারের সঙ্গে আমার। আমি তাকে গালি দিয়ে বলছি, পাভেল ভাই এখন ছবি তোলার সময়? পরে বুঝেছিলাম সে তার কাজ করেছে। তাঁর তোলা এই ছবিগুলোই পরের দিন সব ফটো সাংবাদিকরা নেয়। পরে সিআইডিও তার ছবিগুলো নিয়েছিল এবং তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল।

যাই হোক আমি স্যারকে ট্রাকে তুললাম অনেক কষ্টে। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এতো ভীড়, চেচাচেমি, আমি খুব অস্থির বোধ করছি। পরিচিত কাউকে খুঁজছিলাম। পুলিশের ট্রাক ছাড়ার আগে আমি দেখলাম আমার পাশে বিটু ভাই আছে। আমি চরম স্বস্তি বোধ করলাম।

ট্রাকের মধ্যে স্যারকে জড়িয়ে ধরে আছি। ট্রাক চলছে। স্যারের হা করা মুখ দিয়ে আমি রাস্তা দেখছি। স্যার আমাকে জিঞ্জাসা করলো বাবা আমাকে কই নিয়ে যাও? আমি বললাম স্যার হাসপাতালে। আপনার কিছু হয়নি। স্যার বললো আমার চশমা কই? আমি বললাম স্যার আছ। স্যার বললো আমি পুলিশের গাড়িতে যাবো না। আমি বললাম ঠিক আছে স্যার আমরা নেমে যাবো এখুনি।

আহত রক্তাক্ত অবস্থায় আমি কোন মানুষকে এতো শক্ত থাকতে দেখিনি। অন্য কেউ হলে এতো ব্যাথা নিয়ে চিৎকার করতো। ভয় পেতো, কিন্তু স্যার খুব শক্ত দৃড় চিত্তে বসে আছে যেন কেউ কোন ভুল করেছে। কেউ যেন ভুল করে তাকে কুপিয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন খুব কষ্ট পেয়েছেন। যাই হোক ট্রাক চলছে। আমরা যাচ্ছি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

বাংলা একাডেমি থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ গেলে দোয়েল চত্ত্বর পেরিয়ে সোজা চলে গেলেই হয়। কিন্তু পুলিশের ভ্যান দোয়েল চত্ত্বর হয়ে অবার ডানে স্টেডিয়ামের দিকে চলে গেলো। আমি চিৎকার করলাম। পুলিশকে বললাম ভাই আপনারা ঢাকা মেডিকেল চেনেন না? পুলিশের এই সময় নষ্টে মেজাজ খারাপ হলো। ট্রাক ঘুরে শহীদ মিনার হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগের সামনে গিয়ে থামলো। আমি আর বিটু ভাই অনেক কষ্টে স্যারকে নামালাম ট্রাক থেকে। জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলাম।


ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরী বিভাগে যে কোন রুগীর জন্য পাঁচ টাকা দিয়ে স্লিপ কাটতে হয়। সেটা কাটলাম। এরপর স্যারকে নিয়ে ট্রলিতে করে রওয়ানা দিলাম সম্ভবত ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসককে বললাম উনি আমাদের স্যার। ডাক্তার স্লিপ চাইলো। আমি স্লিপ বের করতে গিয়ে দেখি সেটি রক্তে ভিজে গেছে। কান্না পেল। ডাক্তার আবারো স্লিপ আনতে বললেন। ছুটলাম আবার। এরপর শুরু হলো স্যারের চিকিৎসা।

প্রাথমিক কিছু ওষুধ আমি আর বিটু ভাই নিজেরেদর টাকায় আনালাম। এরপর টাকা শেষ। আমরা সেখানে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বললম এগুলো আনার ব্যবস্থা করতে। তিনি তাই করলেন। স্যারের চিকিৎসা শুরু হলে আমি শুভকে বললাম শুভ হাসপাতালে আয়। শুভ আসলো। (শুভ মানে আমার বন্ধু। ও তখন প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক) এরপর শুভ, তখনকার ভিসি ফায়েজ স্যারসহ আরো অনেকেই আসলো। আমাদের চলচ্চিত্র সংসদের বড় ভাইরাও আসলো।

সবাই বললেন, আমি যনে এখন হলে গিয়ে রক্তে ভেজা এসব ড্রেস চেঞ্জ করি। আমার হাসপাতাল থেকে আসতে ইচ্ছে করছিল না। তবুও এলাম।

এদিকে স্যারকে নিয়ে আমি যখন ট্রলিতে করে ৩২ নম্বর ওয়র্ডে যাচ্ছিলাম সেটি চ্যানেল আই তাদের খবরে দেখায়। অঅমার বাবা-মা আমার রক্তে ভেজা সে ছবি দেখে ফোন করে আমার বাবা-মা ঘটনা জানতে চাইলো। বললাম আমি ভালো আছি। কোন সমস্যা নেই। আমার কিছু হয়নি। তারা নিশ্চিন্ত হলো।

এরপর আমি আর বিটু ভাই ফজলুল হক হলে এলাম। আমি গোসল করলাম। ড্রেস চেঞ্জ করে বের হলাম। ততোক্ষনে বিশ্ববিদ্যালয়ে মিছিল শুরু হয়ে গেছে। হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলা কেন? বিচার চাই এই টাইটের কোন মিছিল। যোগ দিলাম সেই মিছিলেও। অনেক রাতে হলে ফিরলাম। ঘুমালাম।

একটি বিষয় জানা দরকার-ঘটনা ঘটার মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় স্যারকে আমি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেছিলো, কোনভবে স্যারকে হাসপাতালে নিতে দেরি হলে রক্তক্ষরনের কারনে স্যারকে বাঁচানো যেতো না। এজন্য খুব ভালো লাগছিল আমাদের। যে স্যারকে বাঁচাতে পারবো।

রাতে ৩ টার দিকে ঘুমাতে গেলাম। সারাদিনের ক্লান্তি, পরিশ্রম, উত্তেজনায় দীর্ঘক্ষন ঘুমালাম।

পরদিন দুপুর ১২ টায় আমার ঘুম ভাঙ্গলো। দ্রুত টিএসসি গেলাম। জানতে পারলাম স্যারকে রাতেই সিএমএইচ নেওয়া হয়েছে। এদিকে পরদিনের প্রায় সব দৈনিকে আমার ছবি। আমি স্যারকে ধরে আছি। এই সেই ছবি। যাই হোক। একটা জনকন্ঠ কিলনাম। খবরটা পড়লাম। নিজের ছবি দেখলাম।

এদিকে আমি মনে মনে বারবার প্রার্তনা করছি -স্যার আপনি সুস্থ্য হয়ে উঠেন। যাই হোক। সারাদিন নানা গুজব। একবার শুনি স্যার নেই। আবার শুনি বেঁচে আছেন। এসবরে মধ্যে সময় কাটছে। এর মধ্যে বিকেলে কলকাতার তারা বাংলা বা কারো কল্যাণে টিএসসিতে খবর শুনলাম স্যার নাকি মারা গেছে। কথাটা শুনেই আমার প্রচন্ড মন খারাপ হলো। টিএসসির দোতালায় সংসদের রুমে এসে আমার মাথা ঘুরতে লাগলো। এরপর আমি অসুস্থ্য হয়ে গেলাম। বমি করলাম। কিছুক্ষন পরেই জানতে পারলাম না স্যার বেঁচে আছে। তাকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। অঅমি স্বস্তি ফিরে পেলাম। স্যারকে ক'দিন পর যথারীতি দেশের বাইরে নেওয়া হলো।

এদিকে স্যারের উপর হামলার ঘটনার বিচার চেয়ে ক্যাম্পাসে শুরু হলো তীব্র আন্দোলন। সব জায়গায় পোষ্টার টানানো হয়েছে। তাতে একটিই ছবি-আমি স্যারকে ধরে আছি। ক্যাম্পাসের যেদিকেই তাকাই আমার ছবি। আমার হাঁটতে বিব্রত লাগে। মনে হয় সবাই আমাকে দেখছে। টিএসসিতে গেলে মনে হয় পুলিশ আমাকে ফলো করছে। ইনকিলাব সে সময় নিউজ করলো ঘটনা ঘটার কিছুক্ষনের মধ্যেই যে দুই ছাত্র স্যারকে হাসপাতালে নিয়ে গেলো তাদের গ্রেপ্তার করা হোক। তাহলেই সব জানা যাবে।

ছবিটা খেয়াল করুন। দেখুন আমি চিৎকার করছি। কিন্তু সংগ্রাম ইনকিলাব্ নিউজ করলো এই ছেলে হাসে কেন? পরে জানতে পারলাম যথাসময়ে হাসপাতালে নেওয়ায় সংগ্রাম খুবই বিরক্ত। সে সময় স্যারের রাজাকদের বিরুদ্ধে বই নিয়ে সংগ্রাম কেপে আছে।

মাস খানেক পর স্যার সম্ভবত দেশে আসলেন সুস্থ্য হয়ে। মুখে একটা দাগ হয়ে থাকলো। স্যারের ফেরা উপলক্ষ্যে অপরাজেয় বাংলার সামনে অনুষ্ঠান। সবাই সেখানে বক্তৃতা করছে। আমি দর্শকের মতো শুনছি।

স্যার বক্তৃতা করা শুরু করলো। আমি স্যারের কথাগুলো শুনলাম। মুগ্ধ হয়ে দেখছি। খুব তৃপ্ত লাগছে। মনে মনে বলছি স্যার আপনি কি জানেন রাস্তায় যখন আপনি পড়ে ছিলেন, কেউ যখন আপনাকে ধরেনি, তখন এই আমিই আপনাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম।

স্যারের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছে করছিলো। শুভকে নিয়ে আমি একদিন স্যারের বাসায় যাওয়ার চেষ্টাও করলাম সেদিনের ঘটনা বলতে। একদিন গেলামও কিন্তু জানানো হলো, স্যার বাসায় নেই। স্যারের সঙ্গে আমার সেই আলাপ আর কখনোই করে ওঠা হয়নি। সস্রার কখনো জানতেও পারিনি কে তাকে হাসপাতালে নিয়েছিলো?



এই উপকারের প্রতিদানে তিনি কী পেয়েছিলেন জানেন?

তাঁর মুখেই শুনি।

এদিকে স্যার দেশে ফেরার পর এই ঘটনা নিয়ে দায়ের করা মামলার তদন্ত নিয়ে শুরু হলো আলোচনা। তদন্তভার পড়লো সিআইডির ওপর। একদিন আমি ক্লাস করে বের হচ্ছি আমাদের জহরুল হক হলের এক কর্মচারী এসে জানালো, প্রভোষ্ট স্যার আপনাকে এখুনি তাঁর বাসায় যেতে বলছে। আমি বুঝলাম না এতো সকালে স্যার কেন আমাকে ডাকছে? সন্দেহ হলো। শুভকে জানালাম। আমি প্রভোষ্টের বাসায় যাচ্ছি। কোন সমস্যা হলে খবর নিস। সে সময় আমাদের হলের প্রভোষ্ট ছিলেন আমিনুর রহমান মজুমদার।


যাই হোক, আমি সকাল ১০ টার দিকে স্যারের বাসায় গেলাম। স্যার নানান তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার সাথে গল্প শুরু করলো। কিছুক্ষন পর দেখি সেখানে দু'জন লোক এসে ঢুকলো। স্যার চলে গেলো। তারা দেখি কতোগুলো ছবি দেখছে। পাভেল ভাইয়ের তোলা সেই ছবিগুলো যেখানে আমি স্যারকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি। আমি শুনছিলাম পাভেল ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি ধরে নিয়েছে। যাই হোক, অনেকক্ষন তারো আমার ছবিগুলো দেখলেন। এরপর নিজেদের পরিচয় দিলেন। জানালেন তারা সিআইডির কর্মকর্তা। একজনের নাম মনে আছে আব্দুল মালেক।

তারা আমাকে নানান বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেন সেদিনের ঘটনা নিয়ে। জানতে চাইলেন স্যার কি সে সময় কারো নাম বলেছিলেন কিনা, স্যার শেষ পর্যন্ত কি বলেছিলেন এসব। বললো আপনার সঙ্গে আরেকটা ছেলে ছিলো ও কই। আমি মোবাইলে বিটু ভাইকেও আসতে বললাম স্যারের বাসায়। বিটু ভাই এল। মালেক ভাই আমাদের দু'জনের সঙ্গে কথা বললেন।

মালেক সাহেব আমাকে বললনে, আপনেকে আমাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু আপনার প্রভোষ্ট স্যার বলছে সে অপনাকে চেনে। তাই আপনাকে অ্যারেস্ট কলা হলো না। আপনি আর বিটু কাল সিআইডর মালিবাগ অফিসে আসবেন। মালেক ভাই দেখালেন, গতো এক মাসে আমি কখনে কোথায় গেছি সব রিপোর্ট তাদের কাছে আছে। আমি দেখলাম। আমি কবে চট্টগ্রাম গেছি, কথন কি করি সব সেখানে লেখা। কিছুটা ভয় পেলাম। রাতে আমার এক শিক্ষকের বাসায় গেলাম। পুলিশের সাবেক আইজি এনামুল হক তাঁর ঘনিষ্ট। তাকে দিয়ে ফোন করানোর চেষ্টা করলাম। লাভ হলো না।

ভয় নিয়েই কাটলো বাকি রাত। পরদিন সকাল ১১ টায় কিছুটা ভয়েই গিয়ে পৌছালাম মালিবগে সিআইডির হেড অফিসে। কিছুক্ষন পর মালেক সাহেব আমাকে নিয়ে গেলেন সিআইডির উর্ধ্বতন এক অফিসারর রুমে। তিনি সম্ভবত বড় কোন পোষ্টে। দাড়িওয়ালা ভদ্রলোক। এখন আর নাম মনে করতে পারছি না।

তিনি আমাকে ভালো করে দেখলেন। তারপর বললেন, ঘটনার পরদিন যখন আপনার এই ছবিটা পত্রিকয়া ছাপা হলো তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ সাহেব আমাকে বলেছিলৈন এই ছেলেটাকে অ্যারেস্ট করে জিজ্ঞাসাবদ করেন। কিন্তু আমি সেটা করি নাই। কারন আমার কাছে মনে হয়েছে, যারা হামলা করে, তারা কখনোই তাকে উদ্ধার করে না। সেখানকার সব পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি, সবাই বলেছি, আপনি তাকে উদ্ধার করেছেন। কাজেই আপনাকে আমি গ্রেপ্তার করি নাই।

এরপর তিনি নানান বিষয়ৈ জানতে চাইলেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক কথা। সার শেষ মুহুর্তে কি কি বলেছিলেন মনে করার চেষ্টা করেন। স্যার কারো নাম বরেছিলো কিনা মনে করার চেষ্টা করেন। যাই হোক, আমি একটা লিখিত স্টেমেন্ট দিয়ে সেখান থেকে এলাম। আর মনে মনে ভাবলাম এসব কারনেই মানুষ বোধহয় মানুষের উপকার করে না। একজন মানুষকে আমি বাঁচালম আর এজন্য আমাকে এখন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।


মেজাজ খারাপ হলো হুমায়ুন আজাদ এবং তার পরিবারের প্রতিও। কারন তারা গত দুই মাসে একবারও খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করে নাই কে স্যারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলো। উল্টো তারাও সংগ্রাম পত্রিকবার সুরে বলছেন এমনকি স্যারও নাকি বলেছেন, এই ছেলেটা হাসছে কেন?



ভাবুন একবার।

এর নাম কি প্রতিদান? মানুষের উপকার করার কি এই বিনিময়মূল্য?

আফসোস তাঁর গলায়-

আমার পরিবার এবং শিক্ষকরা শিখিয়েছেন নিজের শতো সমস্যা হরো মানুষের উপকার করবে। এখনো সেটি মানার চেষ্টা করি। বারবার মানুষের কাছ থেকে কষ্ট পাই, তবুও মানুষকেই ভালোবাসি। চেষ্টা করি মানুষের পাশে থাকার। জানি না কতোটা সফল হয়েছি। তবে আমি ব্যাক্তিগতভাবে তৃপ্ত। আমি জানি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর কি আনন্দ। কিন্তু আফসোস স্যারকে আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারলাম না। অরেকটা আফসোস আজ পর্যণ্ত স্যারের পরিবারের কেউ ককনো খোঁজ করে সেদিনের ঘটনা জানতে চায়নি।

আমি দীর্ঘদিন ক্যাটস আইয়েল সেই গেঞ্জিটা যেটি ভিজে গিয়েছিল আজাদ স্যারের রক্তে সেটি সংরক্ষন করে রেখেছিলাম। এ বছর হল ছাড়ার সময় আর আনিনি সেটা। তবে স্মৃতিগুলো এখনো আছে জ্বলজ্বেলে।

এবার বলুন স্বকৃত নোমান (আমি জানি না এই লেখা আপনার কখনো চোখে পড়বে কি না), এধরনের আত্মরচিত ইতিহাস সৃষ্টি করে আপনি অমানবিক তৃপ্তি পেলেন, কিন্তু, সত্যিটা জানলে কখনো কি লজ্জা পাবেন? কখনো ক্ষমা চাইবেন ওই অসমসাহসী যুবকের কাছে? কখনো এরপর থেকে কলম বা কি-বোর্ড ব্যবহার করার আগে একটু জেনেশুনে তারপর তা ব্যবহার করবেন?

আমার সন্দেহ হয়।
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×