somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্মৃতিকাতরতা আর বাস্তবতাপ্রসঙ্গে

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


[justify]তৈরির বছর পঞ্চাশেক পরেও কারুকৃতির জন্যে মনে-রাখা হয়েছে এমন ছবির সংখ্যা খুব একটা বেশি নয়; যেগুলো ব্যাপারে একসময় ভাবা হতো ওগুলোর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ এবং মহান ছবির সবকটা গুণ আছে হয়তো পঞ্চাশ বছর বাদে দেখা গেলো সেসবই মরীচিকা। সুখের বিষয়, ১৪ এপ্রিল, ১৯৬০-এ কলকাতায় মুক্তি পাওয়া ঋত্বিক ঘটকের বাংলা ছবি মেঘে ঢাকা তারা-র ক্ষেত্রে এরকম কিছু ঘটে নি। ছবিটার শক্তি, প্রাণলতা আর হরেক সংস্কৃতি আর পটভূমি থেকে-আসা নানান দর্শককে সমানভাবে নাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আজো অটুট। এদিক থেকে দেখলে, চলচ্চিত্রের নির্ভরযোগ্য মহৎ সৃষ্টির ভেতরে এটা ঠাঁই করে নিয়েছে।

আবেগি তীব্রতায় ঋত্বিকের সেরা ছবিগুলো মিলে যায় জাপানি চলচ্চিত্রগুরু আকিরো কুরোসাওয়ার প্রথম দিককার মাস্টারপিসগুলো, যেমন স্ট্র ডগ, রশোমন, ইকিরু আর দ্য ইডিয়টের সাথে (শেষটা রাশ্যান ঔপন্যাসিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির ক্লাসিক নিয়ে বানানো)।

মেঘে ঢাকা তারা ঋত্বিকের চতুর্থ ছবি আর বক্স অফিসে তাঁর প্রথম সাফল্য। তাঁর আগের তিনটে ছবির মধ্যে ১৯৫৭ সালে মুক্তি পাওয়া ছবি অযান্ত্রিক-এরই শুধু ক্ষমতা ছিলো সবল সৃজনী কল্পনাশক্তি আর হার্দিকতায় এটার সাথে টেক্কা দেওয়ার। কপাল খারাপ, ছবিটা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে, কারণ খ্যাপাটে এক মফস্বলের ট্যাক্সি ড্রাইভার আর তার লজঝড়ে ১৯২৬ সালের শেভ্রলের জন্যে তার বাঁধনছেড়া মহব্বতের গল্প দর্শকেরা হজম করতে পারে নি। মেঘে ঢাকা তারা ঋত্বিকের জন্যে সময়োপযোগী একটা আশীর্বাদ বলতেই হয় কারণ ছবিটা তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছিলো। এর সাফল্যের মূল কৃতিত্ব দিতে হয় নীতা নামের এক নিম্নমধ্যবিত্ত মেয়ের পরিচিত কাহিনি নিয়ে তাঁর অন্তর্ভেদী রূপায়ণের, মেয়েটা তার অকৃতজ্ঞ সংসারের ঘানি টানতে টানতে আর সংসারটা দাঁড় করিয়ে দিতে দিতে কাজ করেই প্রাণটা দেয়। এখনো ভারতভাগের জের টানতে থাকা আর পূর্ববঙ্গ থেকে হিজরত-করা প্রায় লাখ দশেক উদ্বাস্তুর বোঝার চাপে এখনো জেরবার কলকাতার একটা নিয়ত বাস্তবতা এটা। সেই পূর্ববঙ্গ, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, ১৯৭১ সনে পশ্চিম পাকিস্তানের জোয়াল থেকে স্বাধীনতা পেয়ে হয়েছে বাংলাদেশ। ওই পোড়াকপালেরা অচিন দেশের নতুন শহরে আসার পথে সবকিছু খুইয়ে বসেছে। ইতিহাস যাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে এমন উদ্বাস্তুদের ট্র্যাজেডি বোঝার ক্ষমতা পরিচালকের ছিলো, নিজেও যে তিনি তাঁদেরই দলে।

নিও-রিয়ালিজম যেমন গভীর প্রভাব রেখেছে ঋত্বিকমানসে, তেমনি সত্যজিতের মানসিকতায়ও; ভিত্তোরিও ডি সিকার দুটো ইটালীয় মাস্টারপিস বাইসাইকেল থিফ আর উমবের্তো ডি দেখে দুজন লাভবান হয়েছেন নিজেদের ধরনে। কিন্তু ন্যাচারালিজমের প্রতি ঋত্বিকের আনতি এরইমধ্যে জন্ম দিয়েছে একটা গল্পকথনশৈলীর, সাথে আছে মুগ্ধ করার আর দহন করার গুণ। ছবির গল্প বলার এই রকমটা প্রথম চোখে পড়ে অযান্ত্রিকে। তবে, যতদিনে তিনি মেঘে ঢাকা তারা বানাচ্ছেন, তখন এই মাধ্যমের ওপর তাঁর দখল চমৎকার। শক্তিপদ রাজগুরুর চোখে-জল-আনা গল্প উত্তীর্ণ হলো আভিজাত্য আর মাহাত্ম্যে। পরবর্তী সময়ে লেখক একাধিকবার চিত্রনাট্যের জন্যে সিংহভাগ কৃতিত্ব দাবি করে বসেন, অবশ্য তাঁর সাহিত্যিক অবদান বা অন্যক্ষেত্রে চিত্রনাট্য রচনায় তাঁর প্রচেষ্টা বিচার করে এই দাবি হালে পানি পায় নি। চলচ্চিত্রের রূপগ্রাহিতার ওপর ঋত্বিকের দৃঢ়মুষ্টি আর কয়েকটা দক্ষ হাতের আঁচড়ে পূর্ণাঙ্গ চরিত্র তৈরির দক্ষতা আর তাদের ইতিহাসের টালমাটাল সময়ের মধ্যে স্থাপন করাটাই ছবিটাকে এর গভীরতা আর চিরন্তন সৌন্দর্যে উপস্থাপিত করেছে।

নীতার চরিত্রটা রূপায়ণ করেন সুপ্রিয়া চৌধুরী, নিয়তি ছিল তিনি বাঙালি ছবির গ্ল্যামারাস তারকাখ্যাতি অর্জন করবেন, ঋত্বিক অলৌকিক সংবেদনশীলতায় তাকে পরিচালিত করেন; কোমল চলন তাঁর অভিনয়ে আর ছবিটাও তিনিই টেনে নিয়ে যান, যদিও ধরতাইয়ে ছিলেন বিজন ভট্টাচার্য আর গীতা দে-এর মতো ডাকসাইটে অভিনেতা-অভিনেত্রী যথাক্রমে তাঁর মা আর বাবার ভূমিকায়। তাঁর ভাই ধ্রুপদী সঙ্গীতশিল্পী শঙ্করের ভূমিকায় উৎসাহভরা অভিনয় করেন অনিল চ্যাটার্জি। এমনকি 'দুর্বল' অভিনেতারাও যেমন, গীতা ঘটক, যিনি খল ছোট বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন, দ্বিজু ভাওয়াল (নীতার ছোট ভাই) আর সনৎ (নীতার প্রেমিক যে তার ছোট বোনকে বিয়ে করেন) পরিচালনার গুণে এঁরা ভালোই উতরে গেছেন। আসলে ঋত্বিক আইপিটিএ (ইন্ডিয়ান পিপলস থিয়েটার এসোসিয়েশন)-র হয়ে বাংলায় শেক্সপিয়ারের 'আ মিডসামার নাইটস ড্রিম' আর ম্যাক্সিম গোর্কির 'দ্য লোয়ার ডেপথস' পরিচালনা করেই যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তাঁর ন্যাচারালিজম আর থিয়েটারি শৈলীময়তার মিশ্রণের প্রতি দায়িত্বশীল অভিনেতাদের নিয়েই তিনি কাজ করেছেন বারেবার। তাঁর সব ছবিতে, এটায় তো বটেই, অভিনেতাদের ব্যাপারে তাঁর পরিচালকের ষষ্ঠেন্দ্রিয় দারুণ নিখুঁত ফল দিয়েছে।

ভিনধারার মিউজিক

ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে আইপিটিএ-র শ্রুতকীর্তি সঙ্গীত পরিচালক জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মৈত্রের নির্বাচন যেন দৈবী অনুপ্রেরণা। পশ্চিমা-ধাঁচে অর্কেস্ট্রেশনের ব্যাপারে বেশ ভালোই জ্ঞান ছিলো তাঁর, পাশাপাশি বাঙালি, ভারতীয় আর সারা দুনিয়ার লোকগীতির ওপর তাঁর দখলও বিপুল। প্রায় এক দশক ধরে তিনি হিন্দুস্থানি ঘরানার খেয়াল গাওয়ার ওপর তালিম নিয়েছেন; তার ওপর তিনি অবজ্ঞাত কিন্তু চমৎকার কবিও ছিলেন। ওস্তাদ আলী আকবর খানের সাথে এর আগে ঋত্বিক বেশ দারুণ কাজ করেছেন, অযান্ত্রিক ছবিতে সরোদে তাঁর 'বিলাসখানি তোড়ি' মোক্ষম আনন্দমুহূর্ত গড়ে তোলে, আর তারপর প্রতিভাদীপ্ত সলিল চৌধুরীর সাথে ঋত্বিক জুটি গড়েন বাড়ি থেকে পালিয়ে-তে। কিন্তু মেঘে ঢাকা তারা-য় দরকার হচ্ছিলো বিশেষ ধরনের একটা সঙ্গীত, এমন কিছু যেটায় হিন্দুস্তানি ধ্রুপদি সঙ্গীত, রবীন্দ্র সঙ্গীত, বাংলার লোকসঙ্গীতের বিশেষ একটা ধারা আর নিগ্রো আধ্যাত্মিকতা থেকে অনুপ্রেরণা পাওয়া পাশ্চাত্য সমবেত সঙ্গীতের মিশেল ঘটবে।

পরিচালকের দৃষ্টিভঙ্গিই বেড়ে উঠেছে মৈত্রের সঙ্গীতে: আবেগঘন দৃশ্যময়তা সৃস্পষ্ট হয়ে উঠেছে এরই সাহায্যে আর ছবিতে এনে দিয়েছে মনখারাপকরা একটা অনুভূতি যেটা দর্শকেরা হল ছেড়ে গেলেও ছাড়ে না তাদের। যে-পাঁচটা সঙ্গীত সময়ের করাল গ্রাসকে হেলায় উড়িয়ে দিয়েছে, সেগুলো হচ্ছে পল রবসনের গানের আদলে গড়ে-তোলা পটভূমির কোরাস, শোনানো হয় যখন নীতা কাজে যায় আর তারপর তার চেক-আপের সময়; "যে রাতে মোর দুয়ারগুলি ভাঙলো ঘরে" এই রবীন্দ্র সঙ্গীতটা; এ টি কাননের গলায় 'রাগ হংসধ্বনি' আর 'লাগি লগন'; আর 'উমা' গানটার যমুনা বরুয়ার হৃদয়বিদারক রূপ, উমা দেবী দুর্গার আরেক রূপ। বাউল গান "মাঝি তোর নাম জানি না", এই বাউল গানটা তো ভোলাই যায় না। বিদেশে মেঘে ঢাকা তারা-র বিরাট পুনর্জন্ম হয়েছে, ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট এর চমৎকার একটা ডিভিডি বের করেছে, কিন্তু আশ্চর্য এই যে এছবির গানের কোন আলাদা সংকলন বেরোয় নি, যেটা এককথায় ভোলার মতো নয়।

রাবীন্দ্রিক ঐতিহ্য

এই ছবির চরিত্রগুলোর বেদনার ব্যাপারে পরিচালকের সংবেদনশীলতা আর এদের জন্যে তাঁর সমবেদনা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তবে, তিনি ছবিটা কিছুটা প্রগতিশীল মধ্যবিত্ত দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উপস্থাপন করেছেন। সত্যজিৎ রায়ের মতো ঋত্বিকও বেশ শিক্ষিত একটা জমিদারি পটভূমিতে জন্ম নিয়েছিলেন। সত্যজিৎ বাল্যেই তাঁর প্রতিভান্বিত পিতা সুকুমারকে হারান আর তাঁর পারিবারিক সৌভাগ্য মিশে যায় ধুলোয় (তাঁর পরিবার দেউলিয়া ঘোষিত হয়, সত্যজিৎ নাবালক বলে তাঁর সম্পত্তির ভাগটুকু রক্ষা পায়=অনুবাদক)। হার্দিক আত্মীয়স্বজন থাকার পরেও তিনি এবং তাঁর মায়ের বেশ আর্থিক কষ্টেই দিন কাটে। বয়েস বিশের কোঠায় থাকতে ভারতের বিখ্যাত একটা বিজ্ঞাপনী সংস্থা ডি. জে. কিমারে ১৯৪০-এর দিকে একটা চাকরি নেওয়ার পরই তিনি ঢোকেন মধ্যবিত্ত জগতে। বিপরীতক্রমে, ঋত্বিক তাঁর আয়েশি পারিবারিক জীবন ছেড়ে কানপুরের একটা মিলে হিসেবরক্ষকের কাজ নেন। দেশভাগ অব্দি ঋত্বিক মোটামুটি আর্থিক দিক থেকে নিরাপদই ছিলেন কারণ, পূর্ববঙ্গে তাঁদের যথেষ্ট ভূসম্পত্তি ছিলো আর তাঁর ভদ্রলোক-পণ্ডিত পিতা সুধীর চন্দ্র ঘটক ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ সরকারি চাকুরে। সত্যজিৎ আর ঋত্বিক দুজনেই রাবীন্দ্রিক আবহে বেড়ে উঠেছিলেন যা মানবজীবন প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে তোলার শিক্ষা দেয়।

মেঘে ঢাকা তারায় দেশভাগের প্রায় এক দশক পরে নগর জীবনের হিংস্রতার সাথে লড়াইয়ের পাশাপাশি গ্রামীণ জীবনের স্মৃতিও তুলে ধরা হয়। নীতা আর তার পরিবার কলকাতার মফস্বল এলাকায় থাকে, ছবিতে তুলে-আনা বাউল গান নীতার আর তার মা-বাবার একাকিত্ব বিশদে তুলে ধরে, সবাই-ই পরিস্থিতির কারাগারে বন্দী। এই গভীর মানসিক টানাপোড়েনের চিত্রায়ণের ক্ষমতা আসে উন্নত সাংস্কৃতিক অনুভব থেকে। আরো নিশ্চিত হতে পারা যায় যখন চোখে পড়ে তাঁর শ্রদ্ধেয় বের্টোল্ট ব্রেখটের নাটকগুলোর নিজস্ব রূপায়ণ, যেখানটায় ঋত্বিক ব্রেখটের বাস্তবতার কর্কশ বাস্তবায়নে কিছুটা পেছন হটেছেন, এটা আরো দেখা যাবে ইতালীয় গুরু ফ্রান্সেস্কো রোসির ছবিগুলোয়। বলতেই হয়, দারিদ্র্য যে-তিক্ততা, অপমান আর মনুষ্যত্ববোধহীনতা আনে, সেসব এই ছবিতে ঠিক উঠে আসে নি। নামকরা চলচ্চিত্রপ্রেমী আর মানবদুর্বলতার নিবিষ্ট দর্শক কাজল দাশের মতে: "১৯৫০ আর '৬০-এর দশকের প্রথম দিকে, দমদমের ধারে [কলকাতার বাইরের দিকে একটা গরিবি উদ্বাস্তু কলোনি, আসলে জলাজমি ভরাট করে-তোলা] ব্যক্তিগত রাস্তায় হরেকরকম গালিগালাজ আর রাগ আর অসহায়ত্বের নানা প্রকাশের মাধ্যমে শুরু হতো দিন। [বিখ্যাত বাঙালি লেখক] সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর যৌবন কাটিয়েছেন কাছাকাছিই, যোগীপাড়ায়।"

ঋত্বিকের সবচাইতে শক্তিশালী দিক হচ্ছে চলচ্চিত্র মাধ্যমের সংনম্যতার ওপর তাঁর দক্ষতা। খুব কম পরিচালকই চলচ্চিত্রে সময়ের চলন তাঁদের আবেগি চরিত্র আর গ্রহণক্ষমতার মাধ্যমে প্রকৃতির আনীত সুস্পষ্ট পরিবর্তন আর দ্ব্যর্থবোধকতা ব্যাখ্যা করার জন্যে তুলে ধরতে পেরেছেন। মেঘে ঢাকা তারা এই গুণগুলোর একটা উঁচু উদাহরণ। পরিবারটার প্রথম দিককার দৃশ্যগুলো, নীতা দৈনন্দিন কাজ করার জন্যে বেরুচ্ছে, শঙ্কর দরজার বাইরে গলা সাধছে, বেশ একটু 'সাদামাটা'। ঘটনা আর তার রূপ পাল্টায় আস্তে আস্তে, প্রায় অবোধ্যভাবে। একই পরিবেশে পরিবর্তন ঘটে চলে, বিকশিত হয় চরিত্রগুলো: নীতার উদার, হাতখোলা চরিত্রের প্রতীক হিসেবে যে-বিশাল গাছটার নিচ দিয়ে সে যায় সেখানে শেভের টাকার জন্যে ওঁৎ-পেতে থাকা তার হবু শিল্পী ভাই তার কাছে হাত পাতে। একই জায়গা আবার নীতা আর তার পাণিপ্রার্থী সনতের সম্পর্ক হার্দিক আনে, যে কিনা শেষমেষ বিয়ে করে তারই বোন গীতাকে।

তৈরির পঞ্চাশ বছর পরেও, মেঘে ঢাকা তারা অনবদ্য ভঙ্গিতে মনে পড়িয়ে দেয় কী নিঃশব্দ হতে পারে তারা যারা স্বার্থত্যাগ করে শুধু দিয়েই যায়, যারা তাদের ভালোবাসে আর তাদের মঙ্গলকামী বলে দাবি করে তাদের হাজারো শোষণের পরও তারা সেরকমই থাকবে। এই বীক্ষণের অবস্থান সব শ্রেণী আর আদর্শের ওপরে। মেঘে ঢাকা তারা ঋত্বিকের সেরা প্রশংসিত ছবি হয়েই থাকবে।
[/justify]


পার্থ চ্যাটার্জির Of memories and realities অবলম্বনে।
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×