গ্রামের নাম সুগুন্দিয়া, নামটি নেওয়া সুগন্ধা নদীর নাম অনুসারে, শিক্ষিত সচেতন মানুষের অভাব নাই এই গ্রামে, এলাকার চেয়ারম্যান ও এই গ্রাম থেকে, চেয়ারম্যান সাহেব শিক্ষিত, সচেতন, সুদর্শনও বটে, এলাকায় তার সুনাম এবং প্রভাব যে কারো জন্য হিংশার ব্যাপার, এই গ্রামে পারিবারিক সহ বেশ কয়েকটি মসজিদ আছে, আছে একটা বড় মসজিদও যেইখানে জুম্মার নামাযের বড় জামাত হয়, এই বড় মসজিদের ইমাম সাহেবকে গ্রামের সন্মান রক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকে উচ্চ বেতনে আনা হয়েছে, অনেক জ্ঞানী - গুণী ব্যাক্তি, ইমাম সাহেব কোন রাজনীতি করেন না , পুরাই ইসলামের সেবক, গ্রামে তার পরিবার নিয়া থাকার সু - ব্যাবস্থা আছে, গ্রামের বাইরে তিনি তেমন জান না , সপ্তাহে ২/৩ বার মাত্র জেলা সহরে জান মুসলিম দুনিয়ার খবর জানার জন্য এবং সঙ্গে নিয়া আসেন কিছু পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন, জুম্মার নামাযে উনি খুৎবা দেন আর প্রমান দেখান ম্যাগাজিন থেকে, খুৎবা গুলা হয় এমন -- আজ এই পৃথিবী মুসলমানের জন্য নিরাপদ না, আফগানিস্তানে আমেরিকা মুসলমানদের মাইরা শেষ কইরা দিতাছে, পাকিস্থান দখল করতে চাইতাছে, সিরিয়া আজ বিপন্ন, কিন্তু মাশাল্লাহ আমরা বাংলাদেশে খুব ভাল আছি, আমাদের এইখানে মুসলমানের উপর নির্যাতন করার কেও নাই, ভারত অনেক চেষ্টা করে কিন্তু এই কোটি মুসলমানের দেশে ভারতের আশা পূর্ণ হয় না এবং হবে ও না, যদিও এই সরকার মুসলমানের সরকার না কিন্তু দেশটা তো মুসলমানের, কয়দিন আগেও বাংলাদেশের সকল মাদ্রাসা - মসজিদ থেকে ইসলামের হেফাজত কারিরা রাস্তায় নাইমা আইছিল, পুরা দেশ অচল কইরা দিছিল, ঢাকা শহর তছ নছ কইরা দিছিল, সরকার ডরাইয়া লাইট বন্ধ কইরা কোটি কোটি মানুষরে গুলি কইরা মাইরা ফালাইছে, লাশ গুলারে ভারতে পাঠাইয়া দিছে বি ডি আর এর ট্রাক এ কইরা, কিন্তু যারা ধর্ম রক্ষা করবে তারা ভয় পায় নাই, তারা জানে মরলে শহীদ, বাছলে গাজী , দেখেন সরকার আরও কি করছে বুড়া বুড়া মানুশগুলা কয়দিন পর এমনিই মইরা যাইবে, যারা সাড়া জীবন ইসলামের খেদ্মত করলো তাদের কাওরে ফাঁসি দেয়, কাওরে দেয় যাবজ্জীবন, তাও আবার ৫০ বশ্যর আগে করা কোন কাজের জন্য। এই টা কোন কথা হইল ? উপরে আল্লাহ আছেন এই নাস্তিক সরকারের বিচার করবেন আর আপনারা বিচার কইরেন সামনের ভোটের মাধ্যমে, হে আল্লাহ তুমি আমাদের জালিমদের হাত থেকে রক্ষা কর , আমিন ।
এই ভাবেই বাংলাদেশের গ্রামে গঞ্জে প্রচারণা চলে সরকারের বিরুদ্ধে , সরকার মহাসয় জানতেও পারে না , ওনাদের যারা আছেন তারা ব্যাস্ত সালিশি নিয়া, এক জন আর একজন্ রে ল্যাং মারা নিয়া, পাছায় যে কি ঢুকিতেছে তাহা খেয়াল করার কেও নাই, গ্রামের প্রতিটা বাজারে চা এর দোকানে দিগন্ত টিভি চলে আর মহামান্য ইমাম সাহেবরা উদ্যত কণ্ঠে বলে কন মিয়ারা খুদবায় কইছিলাম না এই সরকারের হাতে ইসলাম নিরাপদ না ? প্রমান তো দেখলেনই।
এইটা আমার বলা কোন গ্রামের কথা না , এইটা হোল বাংলাদেশের সকল গ্রামের চিত্র, এখনো সময় আছে ভাইবা দেখেন কি করবেন? ভাবতে না পারলে ফলাফলের জন্য প্রস্তুত থাকেন ।
কষ্ট হইলেও গুইনেন কয়টা বাঁশ ঢুকল ।