কাগজে কলমে ব্যাঘ্র ইনু মেনন জুটি এখন ভিন্ন অবস্থানে।
এক কালের দুদে আওয়ামি লিগ বিরোধী (পিকিং এর ইশারায় স্বাধীনতা সংগ্রামেরও বিরোধী)বাম সংগঠনের এক কালের পাতি নেতা ইনু এখন আওয়ামি মেশিনে ধোলাই হয়ে খাটি মুক্তিযোদ্ধা।
স্বাধীনতা পরবর্তিতে ঘোর আওয়ামি বিরোধী সশস্র গণবাহিনীর কমান্ডারও যখন আওয়ামি আবেহায়াত পান করে দিব্যি জাবির ভিসির পদ বাগিয়ে নিয়েছেন, তখন ইনু কোন ছাড়? হ্যা , ডঃ আনোয়ার হোসেনের কথাই বলছি।
বিভিন্ন কারণে আওয়ামি লিগের ত্রাহি মধুসুদন প্রাপ্তিতে অন্যান্য আওয়ামি নেতা নেত্রিদের মত ইনুও প্রলাপ বকা শুরু করে দিয়েছেন। সেই ঘোরেই তিনি এখন মাইনাস ওয়ান মাইনাস ওয়ান বলে নিজের চামচামি জানান দিচ্ছেন।
অন্যদিকে মেনন মশাই ঠিক তার উলটো। সরকারে থেকেই খোদ সরকারেরই বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনা যাচ্ছে তাকে।আওয়ামিদের চোয়াল ধোলাই এর ঝুকি তিনি ইচ্ছা করে নিয়েছেন। কেননা ভিকারুন্নেসাইয় ভর্তি বানিজ্য করে যে অঢেল সম্পদের মালিক তিনি হয়েছে, তাতে অন্তত এই সরকার থাকুক, কিংবা বঙ্গপ্রসাগরে বিলীন হোক, তাতে তার কিছু যায় আসে না। আর চোয়াল ধোলাই খেলেই বা কি? পেটে খেলে পিঠে সহ্য করার মত অভ্যাস তার আছে।
সর্বহারাদের সাথে দুই নম্বর করে ধরা খাওয়ার কারণে, খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে মেনন গুলি খেয়েছিলেন। সেই তুলনায় চোয়াল ধোলাই তো কিছুই না। তাছাড়া বিএনপির বাঘা নেত্রি তার আপন সহদোরা। জাতিয় পার্টির এক প্রভাবশালি নেতাও নাকি তার আপন সহদোর। তাই নৌকা ডুবে গেলেও তার পিঠের চামড়া অক্ষতই থাকবে বলা যায়।
আমাদের দেশের বেশিভাগ মানুষই নিপীড়িত আর নির্যাতিত। আর বাম রাজনীতি যেখানে আমাদের দেশের সেই মানুষগুলির উপযুক্ত প্লাটফর্ম হতে পারতো, এই সব ইনু মেননদের জন্য সব শেষ। এখন বাম দেখলেই মানুষ এদের নিয়ে মস্করা করে, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান
শুনেছি আগামি মাসে বার্মার প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফর করবেন। উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করা। দুই দেশের মাথারা যে কথাটি বুঝতে পেরেছেন, সেটি এই অধমের মাথায়ও আসার জন্য নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।
আর দিপুমনি এই পড়ন্ত বেলায় একটি আত্মমর্যাদাশীল ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে প্রমান করেছেন যে, বাংলাদেশ তার স্বতন্ত্র অবস্থানে দৃঢ় হতে সক্ষম। তবে কোন যাদু মন্ত্রের কারণে ইন্ডিয়ার বেলায় তিনি দাসানুদাসের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে আছেন, সেই প্রশ্নটি করাই যায়। যেখানে দেশের প্রশ্ন সেখানে বার্মা যা ইন্ডিয়াও তাই।দুটাই ভিন দেশ।
মাহফুজ ভাইয়ে মাইনকা চিপা দর্শন
ব্যাবসায়ি হয়ে রাজনৈতিক কুটচাল করার চেস্টা যে হীতে বিপরীত হয়, সেটা মাইনকা চিপায় পড়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন এটিএন এর মাহফুজ ভাই।
বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকার তখন এসে বসতেও পারেনি। তিনি আগে থেকেই বানিয়ে রাখা স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর একটা প্রামান্যচিত্র মুক্তি দিলেন তার চ্যানেলে। চামচামির মাত্রাটা অন্তত আব্দুল গাদদার চৌধুরির চেয়ে কম ছিল বিধায়, শ্রেফ জয়ের নামটা আসেনি।
এই সবই তিনি করেছেন ব্যাবসার খাতিরে। তবে কিনা তিনি মিডিয়ার মালিক হলেও সাংস্কৃতিক জগতের কেউ নন। তাই কি করে লাঠি না ভেঙ্গে সাপ মারার কায়দাটাও তিনি রপ্ত করতে পারেননি। যদি পারতেন, তাহলে পচা খদ্দরের পাঞ্জাবি, পিঠে চটের ব্যাগ আর ফুটপাতের চপ্পল পড়া নুর কিংবা নাটক পাড়ার টিকেট বেচার ধান্ধা করা আলি যাকেরের কায়দায় বিনা কোলাহলেই মহা সুখে রাজত্ব করতে পারতেন। অবশ্য যদি স্কুলের ডিঙ্গিটা পার করতে পারতেন, তাহলে তার ঘটে কিছু থাকলে থাকতেও পারতো।
আর নেই বলেই অন্য নারীর স্তনে মুখ ডুবিয়ে ধরা খাওয়া অরুণ চৌধুরির মত লুচ্চা ব্যাটার আত্মসম্মানবোধহীন স্ত্রী চয়নিকা কর্মকারের মুখে নিজের স্তুতি গাওয়ানো হলো।
অবশ্য সাথে তৌকির (বোনের সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত) মুখে রাঢ়াং আর অন্তরে শ্যাম চাচার পদতলে উৎসর্গিত মামুনুর রশিদ, বিএনপির মত শক্তিশালি রাজনৈতিক দলের দুর্বলতর সাংস্কৃতিক দলের নেতা ফ্লপ বাবুল আহমেদ্, ছিলেন। তাতে শুধু লোক হাসানোই সার হয়েছে।
পেটে যখন শিক্ষাই নেই, তখন বগলে ডঃ তকমা লাগালেও লাভ নেই। পথিক তুমি পথ হারাইয়াছো।
চালু হোক গালি বিগ্রেড
গালি নাকি জানে না কেউ, কে বলেছে ভাই?
এইতো কত গালির খবর বলে আমি যাই।
হু, এই হচ্ছে আমাদের প্রকৃত অবস্থা। আমরা সবাই গালি জানি, গালি দেই। কিন্ত এর প্রয়োগ বস্তু ভেদে হয়ে থাকে। যেমন ধরুণ, কেউ যদি বলে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ আসলে ইন্ডিয়া পাকিস্থানের যুদ্ধ, আমরা কেউ স্বাধীনতা চাইনি, (না)পাক বাহিনী কোন গণহত্যা চালায়নি, মা বোনদের সম্ভ্রমহানি ঘটাইয়নি, তখন নিদেনপক্ষ্যে তাকে গালি দেয়া অবশ্য কর্তব্য।
একই রকমভাবে ভারত আমাদের বন্ধু, ভারতের সাথে আমাদের আমাদের সামাজিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কোন অমিল নেই, এই সব বললেও নিদেনপক্ষ্যে গালি ওদের প্রাপ্য।
সেদিন বেসরকারি একটা চ্যানেলে নাটক দেখছিলাম। গালি বিগ্রেডের আইডিয়াটা সেখান থেকেই এসেছে। নায়ক নায়িকার প্রেম শুরু। কিন্ত একি? বিজাতিয় খোট্টা মাউরাদের ভাষা হিন্দি গানের পুরোটায় দেখানো হলো। এই সব কি? আমাদের ভাষা কি মরে গিয়েছে?
যে সব বেজন্মারা এই সব নাটক প্রযোজনা পরিচালনা ও রচনা করে, ওদের তো রাস্তায় ধরে পিটানো উচিত। কমপক্ষ্যে গালি তো ওদের প্রাপ্যই।
যারা চ্যানেল চালায় তারা মানি-মাসল পাওয়ারে অতি উচ্চ। আর আমরা ব্লগাররা সেই তুলনায় অতি তুচ্ছ। অন্তত এখন পর্যান্ত। এইসব ব্যাবসায়িরা টাকা কামানোর ধান্ধায় মশগুল বলে বগ্লের মত সৃজনশীল ক্ষেত্রে আসবেনও না। তাই ব্লগে প্রতিবাদ অরণ্যে রোদন মাত্র।
তাই একমাত্র উপায় হচ্ছে গালি। এই ব্যাবসায়িরা টাকার গরমে নিজেদের শাহেনশাহ ভাবেন। তাই গালি দিলে তাদের আতে ঘা লাগবেই।
তাই যখনই কোন চ্যানেলে বিজাতিয় কোন ভাষা ব্যাবহৃত হবে, তখনই সংক্লিস্ট চ্যানেলে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা যেতে পারে। এই রকম বেশি না, শ খানেক দেশপ্রেমিক যদি গালি দেয়া শুরু করে, তাহলে অন্তত গালি হাত থেকে বাচতে অন্তত নিজেদের শোধরানোর চেস্টা করবে।
আমাদের অসচেতনা কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে একবার ভেবে দেখুন। তা না হলে গালি দেবার মত নিচু শ্রেনীর পন্থা অবলম্বনের কথা ভাবতে হবে কেন?
সবশেষে ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনীর প্রসঙ্গে আসছি। এক সময় ছিল, পাড়ার তরুণ যুবকরাই ইভটিজারদের উপযুক্ত শাস্তি দিত।কিন্তু ক্রমান্বয়ে কুইনাইনই যখন ম্যালিরিয়া উৎপাদন শুরু করেছে, তখন এই রকম একটা প্র্য়াশ ছাড়া গতি কি? রীতিমত তিক্ত বিরক্ত হয়ে প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক তো বলেই দিয়েছেন, এই প্রতিরোধে যদি দুই চারটা ইভ টিজার মরেও যায়, ক্ষতি নেই।
সঠিক কথা। ক্যান্সারের সেল অক্ষত রেখে চিকিৎসা সম্ভব না। এই সত্যিটা অতি সুশিল বা তথাকথিত মানবতাবাদিরা যত তাড়াতাড়ি বুঝবে ততই মঙ্গল। নতুবা তাদেরকেও সাধারণ মানুষ ক্যান্সার সেলের মতই শল্যপ্রচার করে সমাজ থেকে ফেলে দিবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুন, ২০১২ ভোর ৬:৩৪