somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আবারও মহানবী (সঃ) কে অশ্লিল আক্রমন। এদের এত বড় স্পর্ধার উৎস কোথায়?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বেশিদিনের ঘটনা তো না। ইসলাম ও মহানবী (সঃ) এর নামে ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে অকথ্য ভাষায় অশ্লিল লেখালেখির জেরে সারা দেশে প্রবল প্রতিবাদ হয়েছিল। বহু লোক হতাহত হয়েছিল। বাধ্য হয়েই আওয়ামি লিগ সরকার ইসলামের অবমাননার অভিযোগে কয়েকজন দুর্বৃত্তকে আটকও করেছিল।

এর পর দুটি মাস নির্বিঘ্নে কাটলেও আবারও ইসলাম ও মহানবীকে কটাক্ষ করে মন্তব্য দেয়া হয়েছে। তাও আবার ধর্মনিরপেক্ষ ও অসাম্প্রদায়িক বলে দাবিদার সামুতে। রিপোর্ট করার পরেও সেটা সরানো হয়নি।

এর আগে আমারই একটি পোস্টে একজন মাল্টিনিকধারি "মালাউন" শব্দটি উচ্চারণ করেও দিব্যি পার পেয়ে গিয়েছে। (কয়েকজন রিপোর্ট করার পরেও ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি)



লিঙ্ক

Click This Link

তার পরের দিনই খোদ স্টিকি পোস্টে (নীচে স্ক্রিন শট দেখুন) কি জঘণ্য ভাষায় মহানবী (সঃ)কে নারী লোলুপ যুদ্ধবাজ (নাউজুবিল্লাহ) বলে কটাক্ষ করা হয়েছে।



লিংক

Click This Link



তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে, ধর্মের অবমাননা করাটাই তথাকথিত মুক্তমন আর অসাম্প্রদায়িকতার লক্ষণ? এর আগে ইসলামোফোবিক জনৈক লেখা চোরের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ডয়েচে ভেলে সামু কর্তৃপক্ষ্যের প্রধান বক্তব্য দিয়েছিলেন।

আমার ভুল না হলে বলবো, এই ধরণের মানসিকতাই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে ঘৃণাবাদিদের উৎসাহ দিয়েছে।

জনগণের রোষের মুখে সরকার ইতিমধ্যেই ধর্ম অবমাননার বিরুদ্ধে আইন করে শাস্তি বিধানের ব্যাবস্থা করেছে।

আমরা দেখতে চাই, সরকার তার বানানো আইনের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধাশীল কিনা !

তবে স্বাধীন বাংলাদেশে কোনদিন কোন ঘৃণাবাদকে যেমন প্রশ্রয় দেয়া হয়নি, তেমনি আজও দেয়া হবে না।

১০৬টি মন্তব্য ৯১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×