somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এবার ভারত থেকে পুশব্যাক হচ্ছে ইলিশ। অতঃপর চিনে রাখুন "দেশপ্রেমিকদের"

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার কথা কম বেশি আপনারা সবাই জানেন। তবে বগত বিজেপি সরকারের আমলে, ভারত থেকে বাংলাভাষি মুসলমানদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে এদের বাংলাদেশি বলে প্রচার করে ব্যাপক পুশব্যাকের মহোৎসব করা হয়েছিল।

যেহেতু আমাদের গোল্ডফিশ মেমরি, সেহেতু সেই সব "তুচ্ছ" ঘটনা আমাদের অনেকেরই মনে নেই। তাই ভারতীয়দের মন পাবার লক্ষ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামি সরকারের চেস্টার কমতিও নেই।

তথাকথিত স্বাধীনতার চেতনাধারিদের এই আমলেই কিন্ত বাংলাদেশের জামদানি আর ইলিশ মাছ, ভারতীয়রা পেটেন্ট করে নিয়েছে। এব্যাপারে সরকারের কোন বিকার ছিল না। হয়তো তারা ভাবছেন, বাংলাদেশকে পৈতৃক সম্পত্তি জ্ঞান করে সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে সিকিমের লেন্দুপ দর্জির মত বাংলাদেশকে দুই দিন আগে পরে ভারতের অঙ্গরাজ্য যখন করানোই হবে, তো ভারত পেটেন্ট নিচ্ছে তো নিক না।

কিন্তু ইলিশ কোন জন্মে ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিম বাংলায় জন্মাতো সে বিষয়ে ভারতীয়রাই ভালো বলতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ইলিশ না গেলে, জামাইষষ্টীতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার সৃস্টি হয়, সে তো অনাদিকাল থেকেই চলে আসছে। শুধু জামাইষস্টিই বলি কেন? বছরে হাতে গোণা যে কয়টা দিন পঃ বঙ্গের দাদাবাবুরা ইলিশ খেয়ে থাকেন, তার যোগানদারই হলো বাংলাদেশ।

এমন সময় যায়, যখন বাংলাদেশি ইলিশের কানকো মায় আশ পর্যন্ত পঃ বঙ্গে বিক্রি করতো।

অথচ এখন সেই পঃ বঙ্গ থেকে ইলিশ পুশব্যাক করা হচ্ছে, কারণ কি?

দেশের মানুষদের সস্তায় ইলিশ খাওয়ানোর মুলা ঝুলিয়ে বর্তমান সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। তবে চোরাচালানের মাধ্যমে ভারতকে ইলিশ সরবরাহ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই প্রবাসিদের মধ্যে ইলিশ না পাবার বেদনা, আর দেশের মানুষদের মুলা দেখে প্রতারিত হবার বেদনা দুইই সমান তালে ছিল।

কিন্ত সরকার যত ভারতপ্রেমে মগ্ন হয়ে এই কাজটি করুক না কেন, তারা ভুলে গিয়েছে যে ওপারের দাদারা বেশ কৃচ্ছতাপ্রবণ। ( মুরগির আত্মা বললাম না, কেননা এর আগে উনাদের মুরগির আত্মা বলাতে মডুরা নাখোশ হয়ে আমার আস্ত একটা পোস্টই ড্রাফট করে দিয়েছিল। মাঝে মাঝে ভাবি, এরা কি বাংলাদেশি নাগরিক না ভারতীয়? বাংলাদেশি হলে তো এমন আতে ঘা লাগার কথা না।)

যেখানে বছরে হাতে গোণা কদিন ইলিশ ভাগ্যে জোটে, সেখানে হাসিনা সরকারের বদন্যতায় সারা পঃ বঙ্গ জুড়ে ইলিশের এমন মচ্ছবে, দাদাদের তো আত্মারাম খাচা ছাড়া হবার জোগাড়। দুই পয়সা হারালে যাদের হৃদরোগ হয়ে যায়, তারা এত ইলিশ দেখে ভিরমি খেয়ে পড়েছেন। আর আশাতীত চালান আসাতে সেখানে হীমাগারে আর ইলিশ রাখার যায়গা নেই।

তাই এখন বাধ্য হয়েই আওয়ামি সরকারের বদন্যতায় প্রাপ্ত হাজার হাজার ইলিশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠাচ্ছে। শাপে বর হয়েছে। বর্তমানে ইলিশের বাজার অন্তত সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যেই আছে। তবে কিনা পেয়াজের দাম আকাশছোয়া বলে, ইলিশের স্বাদ পুর্ণ মাত্রায় গ্রহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

আমাদের দেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে রয়েছে মুলত রফতানি এবং রেমিটেন্সের উপর। এক সরকারি হিসাব মাত্রেই ৭৫ থেকে ৮০ লাখ বাংলাদেশি, প্রবাসে রয়েছেন। ইলিশ রফতানি বন্ধ হলে এরাই ক্ষতিগ্রস্থ হন সবচেয়ে বেশি। তারা দেশের অর্থনীতিতে এত অবদান রাখেন, তার বিনিময়ে এই লাত্থি কি তাদের প্রাপ্য? অনেকে তর্ক করে বলবেন যে, ভারতেও তো রফতানি বন্ধ।

জ্বি বন্ধ। কিন্ত আওয়ামি লিগ যেখানে তেল গ্যাস ভুমি করিডোর সবই বিনা পয়সায় দিয়ে দিচ্ছে, সেখানে ইলিশ কোন ছাড়? আর সরকারের নাকের ডগা দিয়েই তো ইলিশ পাচারের মহোতসব চলছে। তাই রফতানি বন্ধে ভারতের কোন ক্ষতি হয়নি।

এক ইলিশ নিয়েই আওয়ামি লিগের যা ভারতপ্রেমের নমুনা দেখছি, তাতে তাদেরকে দেশপ্রেমিক নয়, ভারতপ্রেমিকই বলা যায়। আর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে এ ধরণের নব্য রাজাকারদের আর আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়া যায় কিনা, সেব্যাপারটি খতিয়ে দেখার অবকাশ আছে।

৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×