somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাসিনা - খালেদার ফোনালাপের একটি নির্মোহ বিশ্লেষন

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাবেক প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফোনালাপ এখন টক অফ দা টাউন। এই ফোনালাপের ব্যাপারে অনেক উৎসাহি চোখ টিভির পর্দায় ছিল। ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষণে আমি যা দেখলাম, সেটা অভিযোগ পালটা অভিযোগ এবং একই রেকর্ড বার বার বাজানো হলো। কাজের কাজ কি হবে, বা জাতি কি পেলো, সেটা বিচারের জন্য একটি মাত্র ফোনালাপই যথেষ্ট নয় বলেই মনে করি।

কি পেলেন হাসিনাঃ সমালোচকরা যখন বার বার সরকার প্রধানের উদ্যোগের কথা বলছিলেন, তখন অন্তত সাবেক সরকার প্রধান হিসাবে এই ফোনালাপ , নিন্দুকদের সাময়িক সমালোচনা বন্ধ করলো। তাছাড়া বিএনপির ডাকা হরতালের তীব্রতা কিছুটা হলেও স্তিমিত করতে কাজে লাগলো।

কি পেলেন খালেদা জিয়াঃ সাধারণ মানুষের তো সাধ্য নেই সরকার প্রধানের মুখের উপর উচিত কথা বলা। অন্তত বৃহত্তর একটি দলের নেত্রি হিসাবে তিনি হাসিনাকে সেই কথাগুলিই শুনিয়েছেন। বলা হয়ে থাকে যে, মনের গুমোট বাতাস বের হয়ে গেলে, রাগ অভিমান ঘৃণা ইত্যাদির তীব্রতাও কমে যায়। তাছাড়া এই কথাগুলি হাসিনার শোনার দরকার ছিল। নতুবা চাটূকার পরিবেস্টনে থাকার কারণে হাসিনা একটি স্বপ্ন জগতে ছিলেন। এই কথাগুলি শোনার পর তার কিঞ্চিত শুভ বুদ্ধির উদয় হলে হতেও পারে।

সাধারণ মানুষ তথা বাংলাদেশ কি পেলো? বলতে গেলে কিছুই না। কারণ হাসিনা খালেদা যার যার অবস্থানে অনড়। সত্যি কথা হলো, আমাদের দেশের মানুষদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনা বলতে চায়ের কাপে ঝড় তোলা। তাও সেটা মধ্যবিত্তের মধ্যেই। উচ্চ বিত্তদের এ সবে উৎসাহ নেই। আর নিম্নবিত্তের প্রতিদিনের সমস্যা সমাধানেই দিন চলে যায়। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলো কি হলো না, রামপালে বিদ্যুত কেন্দ্র হলে সুন্দরবন ধবংস হবে কি হবে না, টিপাইমুখ বাধের কারণে পরিবেশের সুদুর প্রসারি ক্ষতি কি হতে পারে ইত্যাদি তাদের চিন্তা চেতনায় আঘাত করে না। বরং চাল ডাল আর পেয়াজের আকাশছোয়া মুল্যের কারণে স্বাদের আর পরিমানের তারতম্যই তাদের প্রধান আলোচ্য এবং বিবেচ্য।

এই অবস্থায় হাসিনা খালেদার পারস্পরিক ফোনালাপ দেশ বা জাতির জন্য সামগ্রিকভাবে কিছুই বয়ে আনেনি।

তবে হ্যা, যেহেতু আওয়ামি লিগ আর বিএনপি ছাড়া দেশের ক্ষমতায় আসবার মত কোন তৃতীয় শক্তি আর কেউ নেই, সেই যুক্তিতে দুই প্রধান দলের নেত্রির মাঝে বরফ গলতে শুরু করেছে, তাও বা কম কিসে? চরম আশাবাদি মানুষ এটা আশা করতেই পারেন যে দুই প্রধান দলের মধ্যে সতীন সুলভ সম্পর্ক বিদায় নিয়ে স্বাভাবিক রাজনৈতিক দলের মতই সম্পর্ক বিদ্যমান হোক এটাই কামনা।
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×