somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিক্ষক হিসেবে প্রথম দিন (বাসা থেকে ক্যাম্পাস)

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ক'দিন আগে দেশে গেছিলাম চাকুরীর ইন্টারভিউ দিতে--তাও আবার সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বিদেশের ভাল চাকুরীটা ছেড়ে যেতে মন চাইছিল না কিন্তু দেশ যে টানে--দেশে থাকতে মন চায়।

এম্বুলেন্সে করে বাসায় ফিরতে হয়েছিল হরতালের কারনে।

তো চাকুরী পেলাম। জয়েন করলাম।
প্রথম দিন ক্যাম্পাসে যাব। তেমন একটা উত্তেজনা কাজ করছিল না। ঢাকা থেকে গাজীপুর যেতে হবে সকাল বেলা এইটাই ভাবনাতে ছিল। ডিপার্টমেন্ট থেকে বলেছে সকাল ৯ টার মধ্যে উপস্থিত হতে।

নিজের বাসা নেই ঢাকাতে। ভাই আর মামার বাসায় আসা-যাওয়া করি। কখন কার বাসায় থাকি তার কোন ঠিক নেই। ভেবেছি সবকিছু হাতের কাছেই আছে।

বিধি বাম।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি রেজার নেই, সু নেই, পারফ্যুম নেই--আরো কত কি নেই!!!

ওয়ান টাইম রেজার কিনে নিয়ে এসে কাজ সারলাম। এতো সকালে একটা মাত্র দোকান খোলা ছিল।

নরমাল শার্ট আর প্যন্টের সাথে স্যান্ডেল পড়ে বের হতে হলো--যদিও কোনভাবেই মন চাইছিল না এভাবে যাই।

৭টা ৩০ এ বাসে উঠলাম। সারাক্ষন মনটা খুঁত খুঁত করতে থাকল সু পরিনি বলে।

গাজীপুর চৌরাস্তায় নামলাম তখন ৯টা বাজে। প্রথম দিনেই দেরী হবে ভেবে খারাপ লাগছিল। বাস থেকে নেমে কোনভাবেই ভাল লাগছিল না স্যান্ডে্লের কারনে।

না এভাবে যাওয়া যায় না।
আসে-পাশে বাটা দোকানের খোঁজ করতে লাগলাম। পেয়েও গেলাম। দোকানীরা তখনো দোকান সাজায়নি। আস্তে আস্তে খুলছে। সাজাচ্ছে। আমাকে দেখে লাইট অন করল।

২৩৫০ টাকা দিয়ে সু আর মোজা কিনে পরলাম।
তারপর স্যান্ডেল বাটার ব্যাগে নিয়ে অটোতে উঠলাম। উঠে চিন্তা করলাম বাটার বাক্স নিয়ে ক্যাম্পাসে যাব!!!!

গেলাম।
বড় এক ভাইয়ের ডিপার্টমেন্টে গেলাম। ওনার রুমে বাক্স রেখে তড়িঘড়ি করে ডিপার্টমেন্টে গেলাম।

তখন প্রায় ১০টা বাজতে ২০ মিনিট বাকী।
আমিসহ ৫ জন শিক্ষকের মাঝে মাত্র ২ জনকে পেয়েছি। দেরীতে যাওয়ার ভয়টা কেটে গেছে।
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আইনের ফাঁকফোকর-০৩

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২

যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×