somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথা ও ছবি...

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

দেশে এসেছি কয়েকদিন হলো, বিশেষ জরুরী কাজে। আসলে আব্বা আম্মার শরীর টা ভাল না..খুব দেখতে চাইছিল মনটা! তাই এই করোনার ঝুকির মাঝেও হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে চলে আসলাম..কত যে ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হল, আরকি বলব! এই করোনা টেস্ট করানো, নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে নেগেটিভ রেজাল্টের জন্য অপেক্ষা, আবার শেষ মুহুর্তে খারাপ ওয়েদারের কারনে ফ্লাইট ক্যানসেল হয়ে পরেরদিন ফ্লাইট ধরা, কত কি! ছেলে আর তার বাবা কে রেখে মা, মেয়ে আমরা চলে আসলাম দেশে..আবার আসার পর থেকে সারাক্ষন মাস্ক পরে আছি, কারন আব্বা আম্মার বয়স হয়েছে, ওনারা বেশী ভালনেরাবল, তাই!..দেশে এসে চার দেয়ালে বন্দী হয়ে আছি..তবুও ভাল লাগছে আপনজনদের কাছে পেয়ে! মাঝে মাঝে ৯ তলা এপার্টমেন্টের দক্ষিনমুখী হাফ-মুন শেইপ বারান্দায় দাড়িয়ে সামনের ঘন সবুজে ভরা রমনা পার্ক দেখতে ভালই লাগে, কিন্তু আব্বা-আম্মার দিকে তকালে বুকটা টন টন করে ওঠে! এত খারাপ তাদের দুজনের শরীর, আর কি বলব!..আর ভাল লাগেনা আমেরিকায় পরে থাকতে! কিন্তু ছেলে আমার মাত্র ইউনিভারসিটি শুরু করল,... কিভাবে ওদের রেখে আসি একা?..আসলে এটা একটা বিশাল মানসিক পরীক্ষা! ভাবছি, মাঝে মাঝেই চলে আসব, আমাদের দেখে ওনারা কি যে খুশি! আববা কিছুই নাকি খেতে চাইতনা, আমি ওনার জন্য প্রোটিন সমৃদ্ধ Ensure নিয়ে আসলাম, ওটা আমি অনেক বলার পরে খাচ্ছে একটু একটু..দেখে খুব শান্তি লাগছে! আজ দুপুরে বারান্দার রোদে বসে আম্মা আমার মেয়ের গান শুনলেন একটার পর একটা---আহা এভাবে যদি অনেকদিন থাকতে পারতাম!
ছেলের জন্য মনটা খুব খারাপ লাগছে..সকালে ওর সাথে কথা হল, বলল নি্উ ইয়রকে নাকি অনেক ঠান্ডা পড়েছে। কিছুদিন আগে ওর ফাইনাল পরীক্ষার জন্য পড়ছিল (ফাঁকিবাজ বলে আমি একটু পাহাড়া দিচ্ছিলাম!) বাসায় এসে, এই ফাকে দ্রুত ওর একটা স্কেচ করেছিলাম ৫/৬ মিনিটের মধ্যে। আঁকা শেষ হলে ওকে দেখালাম, মুচকি হেসে বলল--" ওয়াও আমমু, ইটস আ্যমেইজিং!"
ছবি টা শেয়ার করলাম (মাঝে মাঝে মনে হয়, এখনও বোধহয় আগের মত আঁকতে পারি কিছুটা!



ছবিটা সোজা করতে পারলাম না!

সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×