somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিজিবিজি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অনেকদিন পরে ব্লগে আসলাম..দেখলাম, শেরজা তপন ভাই আমাকে স্মরণ করেছেন ওনার একটা লেখায়!..আসলে ভাইয়া জানেও যে, আমি কেমন ফাঁকিবাজ ব্লগার! তবুও আমাকে মনে করার জন্য অনেক ধন্যবাদ! আর সময়ও পাইনা একেবারে,.. আজকে কাজের চাপ একটু কম, তাই কিছু একটা লিখতে বসে গেলাম..
আমার এবছরের ব্যস্ততা আগের বছরের চেয়ে কম নয়, বরং বেশীই..কোভিড পরবর্তী সব কিছু খুলে গেছে, আমাদের অফিসের কাজের চাপও বেড়ে গেছে! দুই ছেলেমেয়ে আমার এখন দুই দিকে..ছেলে ২২০ মাইল উত্তরে (বোস্টন), মেয়ে ২২০ মাইল দক্ষিনে (বাল্টিমোর), আর আমি একেবারে ঠিক মাঝখানে (নিউ ইয়র্কে)..খুব মজার, না? ওদের জন্য কেমন যে লাগে!..প্রান ছুটে যায়, যেন এক্ষুনি চলে যাই ওদের দেখতে!..কিন্তু সেটা কি সম্ভব! তাই পালা করে করে যাই দুদিকে সময় পেলে, ছেলের কাছেই বেশী যাওয়া হয়, ছোট বলে..
মাঝখানে শীতের ছুটিতে গেলাম আমরা সবাই রৌদ্রজ্বল ফ্লোরিডা তে, এই বছর জানুয়ারীর প্রথম দিকে,..নিউ ইয়র্কে তখন হাড় কাঁপানো শীত, স্যাতসেতে আবহাওয়া, বিশ্রী একেবারে!..চীর সবুজ, ঝলমলে রোদের ফ্লোরিডার ওরলান্ডো, মায়ামী শহর, আর অপূর্ব, মায়াময় কী ওয়েস্ট (Key West) বীচে দারুন সময় কাটালাম ৫ দিনের!..আজকে সকালে ছেলেকে ফোন করলাম, মেজাজ খারাপ ওর..ভয়াবহ শৈত্যপ্রবাহ চলছে এখন বোস্টনে! আর মেয়েও আছে অনেক পড়াশোনার প্রেশারে ( ও এখন জনস হপকীনসে MPH করছে Epidemiology and Infectious Disease এর উপরে)।
শুন্য বাসা আমার..দুজন আমরা কাজ থেকে রাতে বাসায় ফিরলে হাহাকার লাগে..ভোর বেলায় বাসার সামনে সেই অতি পরিচিত হলুদ স্কুল বাসটা দেখলে বুক চিনচিন করে ওঠে..ছবির মতো ভেসে ওঠে মানস পটে- দু ভাইবোন কাঁধে ভারী ব্যাকপাক নিয়ে শেষ মুহূর্তের স্কুল বাসটা ধরার জন্য পড়িমড়ি করে দৌড়াচ্ছে! ছেলেমেয়ে বড় হয়ে গেলে বাসা ছেড়ে দিলে অনেক মা-বাবার শুনেছি একগাদা ডিপ্রেশন এসে ভর করে..আমারও হয়েছে তাই! ভাল লাগেনা কিছু..কান্না পায় মাঝেমাঝে, কেন বাচ্চারা এত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়?!
কিছু ছবি শেয়ার করলাম, সবই আমার আইফোনে তোলা..আমার যাওয়া আসা বাচ্চাদের কাছে, ওদের শহর, রৌদ্রজ্বল ফ্লোরিডা ...এসব কিছু নিয়ে!







এই ছবিগুলে গত বছরের নভেম্বরে তোলা মেরিল্যান্ডের একটা স্টেট পার্কে (Patapsco Valley State Park), যখন মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলাম।


এ ছবিটার একটা গল্প আছে,.. আসলে আমি আমার মেয়ের আ্যপার্টমেন্টে বসে ওকে কিছু স্কেচ করে দিয়েছিলাম, ..আর ও ফ্রেমে বন্দী করে রেখে দিল মায়ের হাতের কিছু কাজ!


এ ছবিটা আমার মেয়ের হাতে তোলা, ও আমাকে পাঠিয়েছিলো..ছবিটা তুলেছিলো বাল্টিমোরের একটা পার্কে বসে, পড়ার ফাঁকে।


মেয়ের স্টুডিও আ্যপার্টমেন্টের ডেকোরেশন টা আমরা মা-মেয়ে দুজনেই করেছিলাম..কেমন হয়েছে?


এটা আমার ছেলের ডিপার্টমেন্ট- CDS (Computing and Data Science) in Boston University। অদ্ভুত সুন্দর ডিজাইন এটি! এটা আমার তোলা গত সপ্তাহে।


ছেলে আমার একটা ক্লীফ এ দাড়িয়ে আছে, পেছনে ঊত্তাল সমুদ্র,..গত বছর সামারে, স্থান: সালেম, ম্যাসাচুসেটস


খুব মজার ছবি এটা..আমার ভাগ্নে আর ওর বৌ এসেছিলো আমার বাসায় বেড়াতে গত সামারে..দুজন বাস্কেটবল খেলছিলো ব্যাকইয়ার্ডে, আমিও টুক করে তুলে রাখলাম আমার ফোনে এই নিশ্পাপ মুহূর্তটাকে! (ছবিটা স্লাইডিং দরজার নেটের পেছন থেকে তোলা, তাই একটু ঝাপসা এসেছে!)


যখন সন্ধ্যা নামে..স্থান: ভাগ্নের বাসা, বারলিংটন, ম্যাসাচুসেটস


ভাইবোন রোদ পোহাচ্ছে..স্থান: ওরলান্ডো, ফ্লোরিডা


গন্তব্যের দিকে ফেরা! স্থান: ডেটোনা বীচ, ফ্লোরিডা


আমার আছে জল..স্থান: কেলি পার্ক/রক স্প্রীং, ফ্লোরিডা
অনেক লিখে আর ছবি দিয়ে হিজিবিজি এই পোস্ট টা ভরে ফেললাম, আবার কবে ফেরৎ আসি কে জানে!..সবাই অনেক ভালো থাকবেন, নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইল!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩২
৭টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×