তিনি বলেন, আমার শার্শা সীমান্তের অলিতে গলিতে মাদকের ছড়াছড়ি। আমি অবাক হয়ে যাই। দয়া করে আপনারা কেউ মাদক বিক্রি করবেন না। আজকের যুব সমাজ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, আর এ যুব সমাজ যদি মাদকের করাল গ্রাসে ডুবে যায় তাহলে এদেশের উন্নতি কখনও সম্ভব নয়।
বুধবার বিকালে যশোর জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত বেনাপোলে মাদক বিরোধী এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
শার্শা উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার লিটন আলীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আরো বলেন, মাদক যদি হাতের কাছে পাওয়া না যায় তাহলে আমাদের ছেলেরা মাদক খুঁজতে খুঁজতে একদিন তা ছেড়ে দেবে। তখন আর মাদক প্রতিরোধের জন্য কোনো প্রচার প্রচারনা চালাতে হবে না।
মাদক প্রতিরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে একমাত্র বাংলাদেশের মানুষ একসময় সম্মিলিত হয়ে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছিল। তদ্রুপ মাদকের বিরুদ্ধে আমাদেরকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, আপনার আমার আদরের সন্তান অর্থাৎ আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ মাদকের ছোঁয়ায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর যিনি মাদক বিক্রি করছেন তার সন্তানও এই ভয়াবহ নেশা থেকে বাদ যাচ্ছে না।
এ সময় তিনি কঠোরভাবে হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, সরকারি দলের অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মী যদি ক্ষমতার বড়াই দেখিয়ে আমার শার্শা সীমান্তে মাদকের বেচা-কেনার মধ্যে থাকেন তাহলে আপনারা সাবধান হয়ে যান। কারণ, আপনাদের কারণে আমার জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল সোনার বাংলা গড়তে ব্যাঘাত ঘটবে তা আমি মেনে নেবো না। এ সময় তিনি পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
তিনি বলেন, মাদক বিক্রেতাদের কোন দল নেই। তারা “জাতির শত্রু” তথা “দেশের শত্রু”। তাই, এদেশে যেমন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে তেমনিভাবে ধারা বসিয়ে মাদক বিক্রেতাদের ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাতে হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্রাহিম খলিল, যশোর জেলা মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজমুল কবীর, বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ আহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, সাংবাদিক আমজাদ হোসেন প্রমুখ।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১২