আজকে বাংলাদেশে ফ্রেন্ডশিপ ডে বা বন্ধুত্ব দিবস পালিত হচ্ছে।কিন্তু আফসুস এই দেশে আমার মত বন্ধু খুজে পাওয়া দুঃস্কর।কেন সেইটা নিচের ঘটনা পড়লেই জানতে পারবেন।
বন্ধুত্ব দিবস পালন করার কারন হিসেবে কই যেন পড়েছিলাম যে “অগাস্ট মাসের প্রথম শনিবারে কোন এক লোকের বন্ধুর ফাঁসি হয়।তো বন্ধুর শোকে পরের দিন ওই লোক আত্মহত্যা করে।সেই ঘটনার স্মরণেই মূলত অগাস্ট মাসের প্রথম রবিবার বন্ধুত্ব দবস পালিত হয়ে আসছে।ওই লোক আসলেই একটা ভোদাই ছিল।নাইলে বন্ধুর জন্য কেউ আত্মহত্যা করে।আমি হইলে উলটা আরো বন্ধুরে আত্মহত্যায় উৎসাহ দিতাম।আমার কোন বন্ধু ছ্যাঁকা খাইয়া আত্মহত্যার চিন্তা-ভাবনা করলে প্রথমেই আমি তাদের ব্যাফুক উতসাহ দেই...এই মহৎ কার্যের সূচনা সেই বাল্যকালেই ঘটিয়াছিল...তখন মতিঝিলএজিবি কলোনীতে থাকি...ক্লাস টেনে পড়ি।আমার এক ফ্রেন্ড ছিল সাহাদাত নামের।খুবি ভালো ছাত্র।আর আমি হইলাম ফেল্টুস ছাত্র।এক সেকশানে পড়ি।বাসাও কাছাকাছি...এক সাথে ফুটবাল-ক্রিকেট খেলি কাজেই ব্যাফুক খাতির দুইজনের।ক্লাস নাইনে উঠে স্কুলের এক মেয়ের সাথে ওর প্রেম হইল।এতে কইরা ওর ভাবও বাইড়া গেল কারন ফ্রেন্ডগোর মইধ্যে ওরই খালি গার্লফ্রেন্ড আছে।অবশ্য আমার সাথে খুব একটা ভাব দেখাইত না।কারন গার্লফ্রেন্ড নিয়া সমস্যায় পড়লেই আমার কাছে আসত।আর আমিও যথারীতি উল্টা-পালটা সমাধান দিয়া ওরে গার্লফ্রেন্ডের হাতে বাশ খাওয়াইতাম...টেনে উঠার পর হঠাৎ একদিন কইল ওগো মইধ্যে ঝগড়া হইছে...ওরে মাইয়া ছ্যাঁকা দিতে পারে...কঠিন সিচুয়েশান।আমারে কয় দোস্ত নীতু(গার্লফ্রেন্ডের নাম) আমারে ছ্যাঁক দিলে আমি সুইসাইড খামু...আমিও কইলাম অবশ্যই তোর সুইসাইড খাওয়া দরকার।বুদ্ধিও দিলাম।সাহাদাতদের বাসা ছিল চার তালায়।কলোনীর বিল্ডিংগুলা চার-তলা ছিল।চারতলায় বাআস হওয়ায় ছাদে যাবার চাবি থাকত সাহাদাতদের বাসায়...আমি বুদ্ধি দিলাম দোস্ত ছাদ থেইক্যা লাফ দিয়া সুইসাইড খাইবার পারোস...(হাজার হউক আমি বন্ধু মানুষ...বন্ধুরে সৎ পরামর্শ দেয়া থেইকা বরত থাকি কেম্নে...অবশ্য তখনো ছ্যাকা খায় নাই)...সাহাদাতের এই আইডিয়া দারুণ পছন্দ হইল।এইদিকে আমার সাথে মেয়ের পরিচয় ছিল।একদিন দেখা হইলে মেয়ে আমারে কইল তমাল সাহাদাতের সাথে রিলেশান রাখাটা ঝামেলা হইয়া যাইতেছে...এই কথা কইল আর আমিও মেয়েরে তেল দিলাম(রিলেশান না রাখার জইন্য
এই কা করতে গিয়া অবশ্য একবার ঝামেলায় পড়ছিলাম...আমারে মেসেজ পাঠায়া আমার এক ফ্রেন্ড(নাম কওয়া যাইব না) সুইসাইড খাইছিলো(১০ টা ঘুমের ট্যাবলেট)...তো হাসপাতালে নেয়ার পর ওর মোবাইলে সুইসাইডের কথা জানায়া আমারে পাঠানো মেসেজ দেইখ্যাতো আন্টির চরম অবস্থা...ভাগ্যি ভাল দোস্ত ভালা হইয়া গেসিল...নাইলে বিয়ার আগেই ওর মা আমারে শ্বশুরবাড়ি দেখায়া দিত...সেই থেইক্কা আর এই কাজ করি না...
আফসুস ঝাতি প্রকৃত বন্ধুর মর্যাদা বুঝল না...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




