২০৩৫ সালের কথা। বিজ্ঞানের জয়যাত্রা তখন তুঙ্গে। মানুষের জীবন যাত্রাকে কে আরও সহজ করতে প্রতিদিন নিত্য নতুন রোবট তৈরি হচ্ছে ।কিন্তু এই রোবটেও মানুষের অরুচি ধরে গেছে। রোবট গুলোও যেন কেমন!!! বোরিং যন্ত্রাংশ ছাড়া কিছু না। কমান্ড ছাড়া/ইন্সটল সফটওয়্যারের কাজ ছাড়া অন্য কিছু করতেও পারে না। একটা রোবট সুক্ষ ভাবে কাজ করতে পারলেও মানুষের সব চাহিদা মেটাতে পারে না। ইদানীং মানুষ রোবটের মধ্যে আবার আবেগ জিনিসটা ফিরে পেতে চাচ্ছে সেই ৩০ বছর আগের মানুষদের মত। যা হোক ২০৩৭ সালে আবিষ্কৃত হল রোম্যান (রোবট + হিউম্যান) ।ও হ্যা একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি ...২০৩২ সালে জনন কোষ ব্যবহার করে বিশেষ কালচারে রেখে বিজ্ঞানীরা পরিপুর্ণ সুস্থ সবল মানুষ বানাতে সক্ষম হয়েছে মাতৃগর্ভ ছাড়াই।এই কালচার থেকে বানানো মানুষ গুলোকেই পরবর্তিতে রোম্যান বানানো হয়। এই রোম্যানের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে কোন সময় এদের অরগ্যান বিশেষ করে ব্রেইন প্রতিস্থাপন করা যায় খুব সহজেই ।আর তাদের কৃত্রিম ব্রেন গঠিত হয়েছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস দিয়ে আর এই ডিভাইসে ইন্সটল করা সফটওয়্যার যা কিনা মানুষের মত বা কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের থেকেও দক্ষ করে তুলবে।এরা মানুষের সকল প্রকার চাহিদা মেটাতে সক্ষম ।মানুষ যখনই চাইবে এরা নাচবে,গাইবে,খেলবে,কৌতুক করবে,মানুষের সব কাজ করে দেবে। যে কোন বয়সেরই নারী-পুরুষ রোম্যান চাহিদা মত মানুষ কিনে নিতে পারবে।চাইলে পরিবারের সদস্যের মতও এরা অচরন করবে ।আর তাদের যে কোন কাজেই দক্ষ থেকে দক্ষতর করা যাবে।
এখন ২০৪৩ সাল ,আমি নিউইয়র্কের একটি রেস্টুরেন্টে ডিনার সেরে নিচ্ছি। আমার সামনের টেবিলে একটা বছর কুড়ির ছেলে আর একটা মেয়ে বসল। তাদের সাধারণ কথা-বার্তার ফাকে একটা কথা কানে ভেসে আসল, "তুমি কি হিউম্যান না রোম্যান "????