somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নপুরণের বাজেট, দারিদ্র মুক্ত ও মধ্যআয়ের দেশ কতদূর?

১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ড. মঞ্জুরে খোদা

বাজেট উদ্বেগ ও উচ্চাভিলাষ

স্বপ্নপুরণের বাজেট! যত স্বপ্ন আর আশাই থাক্‌, বাজেট মানেই ভোক্তাদের উদ্বিগ্ন হবার পালা! মাস-বছরের খরচে কতটাকা বাড়তি গুনতে হবে সেটাই তাদের প্রধান চিন্তা। একই সাথে বাজেটকে ঘিরে এবং তার আগে-পরে নেতানেত্রীদের বিভিন্ন ধরণের বক্তব্য বেশ আগ্রহোদ্দীপক। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে সরকারের ভিতরে-বাইরে আলোচিত দিকটি হচ্ছে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যআয় এবং ২০৪১ সালে একে উঁচু আয়ের দেশে পরিণত করা প্রসঙ্গ। পরিবর্তনের আকাঙ্খা ইতিবাচক ও আনন্দের, কিন্তু খট্‌কা লাগ্‌ছে, কোন তথ্য ও প্রবণতার ভিত্তিতে এই সময়ের মধ্যে সেটা অর্জন করা সম্ভব! যখন দেখছি সরকার তাঁর নিজেদের নির্ধারিত বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাই অর্জন করতে পারছে না। দায়িত্বশীল নেতা-মন্ত্রীদের মন্তব্য ও বাজেটের ধারাবাহিকতা ও প্রবৃদ্ধি দেখে দেশের অর্থনীতির গতিধারা একটু বুঝতে চেষ্টা করছি, এবং ভাবছি এই আকাঙ্খা আসলে কতটা করা অর্জন সম্ভব। তা’কি বাস্তব না উচ্চাভিলাষ?

বাজেটের আকৃতি, লক্ষ্যমাত্রা ও প্রবৃ্দ্ধির চিত্র
প্রথমে আওয়ামী লীগের তৃতীয় দফা ক্ষমতায়নের পর তাদের দেয়া ধারাবাহিক বাজেট গুলো একনজর দেখে নেয়া যাক। তাদের এই বাজেটকে কেবল আয়-ব্যয়ের হিসেব বলা যাবে না বরং এটি হচ্ছে তাদের নির্বাচনী এজেন্ডা ও স্বপ্ন পুরনের দলিল। এ পর্বে তাদের প্রথম বাজেট ছিল ২০০৯-১০ অর্থবছরের, সেটা ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৯ কোটি টাকার, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬.১ শতাংশ আর প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৫.৫৭ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের বাজেট ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকার, এর প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্র ছিল ৭.৩ কিন্তু অর্জন সম্ভব হয়েছে ৫.৬ শতাংশ (বিশ্বব্যাংক), যদিও সরকার বলছে প্রবৃদ্ধি ৬.৫১ শতাংশ হবে। নীচের শারণীতে বর্তমান অর্থমন্ত্রীর ধারাবাহিক ৭টি বাজেটের (২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫) আকৃতি, প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জনের চিত্রে দেখুন প্রকৃত অবস্থা।


২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রত্যেক বাজেটেই অর্থমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল প্রবৃদ্ধি হবে ৭ থেকে ৮ শতাংশ। আগ্রহোদ্দীপক হচ্ছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী প্রতি অর্থবছরই এই বিশাল প্রাক্কলন করে কোনবারই তা অর্জন করতে পারেন নি। সেই অর্থমন্ত্রীই আবারও ৪ জুন এক বিশাল বাজেট দিলেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার। আর প্রবৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা ৭ শতাংশ। তিনি নিজেও জানেন এবং বিশ্বব্যাংকও বলছে, এই হারে প্রবৃদ্ধি হলে বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যআয়ের দেশ হতে পারবে না। এ জন্য অবশ্যই গড়ে প্রতি বছর ৭.৫ থেকে ৮ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধি হলে বাংলাদেশ বড়জোর নিম্ন মধ্যআয়ের দেশ হতে পারবে। বিশেষজ্ঞদের মত বাদ দিয়েই বলছি, যদি ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অর্জন করা সম্ভব হয় তাহলেও মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হবার স্বপ্ন, কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে অর্জন করা হবে অসম্ভব। ২০০৭ সাল ব্যতীত এই প্রবৃদ্ধি অর্জনের কোন রেকর্ডও অতীতে নেই, তাহলে সংশ্লিষ্টরা কিভাবে, কোন তথ্য ও প্রবণতার ভিত্তিতে এমনটা বলছেন?

দারিদ্র মুক্ত, মধ্যআয়ের দেশ ও অজানা আশঙ্কা
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৯ সালের পর দেশে আর গরিব মানুষ থাকবে না। তাঁরমতে, কোন দেশে ১৪ শতাংশের নীচে গরীব থাকলে তাকে গরীব বলা যায় না। সবসময় কিছু মানুষ অন্যের উপর নির্ভরশীল থাকে, বয়স্ক, অক্ষম, শিশু ইত্যাদি। বর্তমান প্রবৃদ্ধির যে ধারা তাতে দারিদ্র বিমোচনে ব্যাপক অগ্রগতির ফলে ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ৩০ থেকে ১৪ শতাংশতে নেমে আসবে, তাতে করে দেশে আর দরিদ্র থাকবে না। সেটা হতে পারলে আমাদের জন্য প্রকৃতই একটি আনন্দ সংবাদ। কিন্তু প্রকৃত ঘটনা বা সত্য আসলে কি তাই? ৬ শতাংশ গড় প্রবৃদ্ধি কি দারিদ্রের এই হার এভাবে কমাতে পারে? যেখানে বিশ্বব্যাংক ও বিশেষজ্ঞরা ৭-৮% প্রবৃদ্ধি ব্যতিরেকে এই ধারণা নাকচ করে দিচ্ছেন। তারপরে তত্ত্বে তা ঠিক হলেও বাংলাদেশের বাস্তবতায় তা কতটা সঠিক ও গ্রহনযোগ্য? উন্নয়ন অর্থনীতির তত্ত্ব ও সূত্রের সাথে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রবনতা কি সব ক্ষেত্রে অসামঞ্জস্যপূর্ণ?

তত্ত্বগতভাবে সেটা অর্জন করা সম্ভব হলেও কি বলা যায় এ সময়ে নাগরিকদের একটা স্বচ্ছল অবস্থা তৈরী হবে? জীবনের মৌলিক চাহিদাগুলো সহজেই পুরন করা সম্ভব হবে তাদের পক্ষে! আসলেই কি ৩ বছর পরে মৌলিক মানবিক প্রয়োজন গুলো মেটানোর ক্ষেত্রে এমন অভাবনীয় পরিবর্তন ঘটবে? যেখানে কেবল দারিদ্রের কারণে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর প্রায় ৫০ শতাংশ ঝরে যায় প্রাথমিক পর্যায়ে, কেবল বাঁচার তাগিদে গ্রাম থেকে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ লোক প্রতিবছর ঢাকামুখী হয়, সাড়ে ২২ লাখ মানুষ বস্তিতে বাস করে, প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষিত যুবকের কোন কাজ নেই, ভূমিহীনের সংখ্যা বাড়ছে, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বৈষম্য তীব্র হচ্ছে। এমন অনেক তথ্য দিয়ে এই বক্তব্যের অসারতা প্রমান করা যাবে। এ সময়ের মধ্যে এ অবস্থার কোন যাদুকরী পরিবর্তন না হলে এই বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি হবে রাজনৈতিক চাতুর্যতা!

স্বাধীনতার পরের বছর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু জিডিপি ছিল ১০১ ডলার, ২০১২ সালে বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ৮২২ ডলার। তার মানে ৪০ বছরে (১৯৭২-২০১২) বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৮ গুন! যেখানে সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্য আয়ের দেশে রুপান্তরিত করা। মধ্যআয়ের মানদন্ড কি? উপার্জনের স্তর অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক দেশগুলোকে ৪ টি ভাগে ভাগ করেছে। (১) মাথাপিছু আয় ৯৯৫ ডলার বা তার নীচে হলে নিম্নআয়ের দেশ, (২) ৯৯৬-৩৯৪৫ ডলার হলে নিম্নমধ্য আয়ের দেশ, (৩) ৩৯৪৬-১২,১৯৫ ডলার হলে উচ্চমধ্য আয়ের দেশ এবং (৪) ১২,৯৯৬ ডলার ও তার উপরে হলে উঁচু আয়ের দেশ বলা হয়। সেই হিসেবে বাংলাদেশ এখন নিম্নমধ্য আয়ের তালিকায় আছে। মাথাপিছু আয় ২০০০ ডলার হবার অর্থ এই নয় যে প্রত্যেক নাগরিক এই সমপরিমান অর্থ উপার্জন করতে সমর্থ হবে। এটি হচ্ছে একটি দেশের সমগ্র আভ্যন্তরীন আয়কে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ করে হিসেব করা হয়।

এই স্তরে উন্নীত হওয়া যেমন আনন্দের একই সাথে কিছুটা দুশ্চিতারও। কারণ এই স্তরে উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে দেশ বেশ কিছু সুবিধা হারাবে। বিশেষ করে- উন্নত বিশ্বে শুল্কমুক্ত পণ্যরপ্তানীর সুবিধা হারাবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বিশেষ করে রপ্তানী বাণিজ্যের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা। যে সুবিধা ব্যবহার করে দেশের রপ্তানী শিল্প বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় সুবিধাজনক জায়গায় আছে, সেটা আর থাকবে না। সাম্প্রতিক তথ্যে দেখা যাচ্ছে গত পাঁচ বছরে আমদানি-রপ্তানী বাণিজ্য কিছুটা কাছাকাছি এসেছে। গড় আমদানি ব্যয় হয়েছে ৩২.১০ বিলিয়ন ডলার অন্যদিকে গত অর্থবছর রফতানি আয় ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। গড়ে রফতানি আয় হয়েছে ২৪.১৩ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা হারানোর প্রথম ধাক্কাটা এসে লাগবে এই সেক্টরে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার কি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেই বিবেচনায় ‘এই মর্যদা অর্জন’ অনেক গুরুত্বপূর্ন।

বেতন-ভাতা, সুযোগ-সুবিধা, দূর্ঘটনা ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশে শ্রমিক অসন্তোষ একটি নিয়মিত বিষয়। আর বাইরের বিনিয়োগ ও ক্রেতার প্রধান মনোযোগ বাংলাদেশে সস্তা শ্রম, কাঁচামাল ও অন্যান্য সুবিধা প্রাপ্তি। এই সুবিধা উঠে গেলে তখন তাকে প্রতিযোগিতা করতে হবে মাঝারি আয়ের দেশগুলোর সাথে। আর বিদেশী ক্রেতাদের কাঙ্খিত মূল্যে পন্য সরবরাহ করতে অক্ষম হলে এই শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পরবে। তখন ছোট-মাঝারি অনেক শিল্প প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে বন্ধ ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। শ্রমিক ছাঁটাই ও বঞ্চনার কারণে ছড়িয়ে পরতে পারে ব্যাপক অসন্তোষ। সেক্ষেত্রে এই আকাঙ্খা অর্জনে যে নেতিবাচক প্রভাব পরবে না, তা বলি কিভাবে?

বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি ও স্বপ্নপুরণ
প্রবৃদ্ধির এই নেতিবাচক অবস্থার জন্য বিশেষজ্ঞরা প্রধানত বিনিয়োগের হারকে দায়ী করে থাকেন। দেশে এখন বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৮.৭ শতাংশ। ১০ বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগ ২১ থেকে ২২ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ বরং গত দুই বছরে বেসরকারি বিনিয়োগ আরও কমেছে। ২০১১-১২ অর্থবছরে বেসরকারি বিনিয়োগ ছিল সাড়ে ২২ শতাংশ, এখন তা ২১.৩৯ শতাংশ! বর্তমান যে ২৮% বিনিয়োগের কথা বলা হচ্ছে সেটার পুরোটা বেসরকারী খাতের বিনিয়োগ নয়। এই খাতে বেসরকারী বিনিয়োগের ঘাটতি পোষাতে সরকারী বিনিয়োগ যুক্ত হয়েছে। প্রধানত এই বিষয়ের দ্রুত পরিবর্তন ও উন্নয়ন নির্ভর করে বেসরকারী বিনিয়োগের উপর, আর তা হতে হবে বাৎসরিক ৩০ শতাংশের কাছাকাছি। কিন্তু বাংলাদেশে তা গত একদশকে প্রায় ২০’র ঘরে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রবৃদ্ধির এই দুষ্টচক্র ভাঙ্গতে প্রয়োজন দেশি-বিদেশী বেসরকারী বিনিয়োগ যে কোন মূল্যে বাড়ানো।

এবারের বাজেট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ কারণ, নানা সীমাবদ্ধতায়ও অর্থনীতিকে গতিশীল করার অনেক শর্তই বর্তমান ইতিবাচক ও আশাব্যঞ্জক। যেমন ১. বাংলাদেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত এখন সবচেয়ে বেশি, ২. মূল্যস্ফীতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ৩. প্রবাসী আয় ও প্রবাহ বাড়ছে ৩. বিনিময় হার মন্দ নয় ৪. রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা হলেও বাড়ছে ৫. লেনদেনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে। ৬. আন্তর্জাতিক অর্থনীতিও ভালো অবস্থায়। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে ৭. খাদ্যদ্রব্যের দাম স্থিতিশীল ৮. জ্বালানি তেলের দাম কমে গেছে, এতে সরকারের সাশ্রয় হচ্ছে, এবং তেল বিক্রী করে মুনাফা করতে পারছে। প্রশ্ন হচ্ছে এতগুলো সূচক ইতিবাচক থাকা সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধির হার কেন ৬ শতাংশেই থেকে গেছে, এবং বাজেটের আকৃতি বাড়লেও প্রবৃদ্ধির হার বিপরীতমূখী? এই পরিস্থিতির উপযুক্ত মূল্যায়ন ও এই সুযোগের মোক্ষম ব্যবহার হতে পারে- এই বৃত্ত ভাঙ্গার প্রধান উপায়।

২০১৪’র বিবিএস’র তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২৫.৬ শতাংশ। অর্থমন্ত্রী বলছেন, দারিদ্যের হার এখন ২০ শতাংশের নীচে, আমরা জাতিসংঘ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জন করেছি। সে কারণেই ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট হবে স্বপ্ন পুরণের বাজেট।’ তথ্যই কথা বলছে, ভবিষ্যতেও বলবে! স্বপ্নপুরণ কেবল কথার ফুলঝুড়িতে নয়, বাস্তবে দেখাতে হবে। দারিদ্র বিমোচন, মধ্যআয়ের, শীর্ষআয়ের দেশ, শক্তিশালী অর্থনীতি, কল্যান রাষ্ট্র সবই নির্ভর করছে লক্ষ্য নির্ধারণ ও দৃশ্যমান লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে। তত্ত্ব ও পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচ সাধারণ মানুষ বোঝে না তারা চায় তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও পরিবর্তন। নাগরিকদের স্বপ্রনোদিত উদ্যোগই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রধান শক্তি। সেই শক্তির সাথে দরকার সরকারের সততা ও দায়বদ্ধতার সমন্বয়। তাহলেই কেবল সম্ভব হবে স্বপ্নপুরণের সেই কথার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে বাস্তবের অমসৃন পথে চলা, সেই কঠিন সত্যই হতে পারে- প্রকৃত স্বপ্নপুরণের সিঁড়ি।

মঞ্জুরে খোদা টরিক, প্রাবন্ধিক ও গবেষক
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৫১
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×