ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ে টাকা লেনদেনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ব্যাংক চেক। অর্থ আদায়ে চেকের আদান প্রদান হয়ে থাকে এর মধ্যে চেকের মেয়াদ বা চেক ডিসঅনার বা অপর্যাপ্ত তহবিল একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইন, ১৮৮১ (The Negotiable Instrument Act,1881) এর ১৩৮ ধারায় চেক ডিসঅনার মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে বলা হয়েছে।
**এখন প্রশ্ন হচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ চেক দিয়ে ১৩৮ ধারার মামলা করা যায় কি নাঃ
মেয়াদোত্তীর্ণ চেক বা ‘Stale Cheque’ ব্যাংকিং পরিভাষায় কোনো চেক নয়। ইহা বাসি চেক নামেও পরিচিত। আইনের বিধান অনুযায়ী চেক ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে উহা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে উপস্থাপন করতে হয় কিন্তু ঐ মেয়াদ উওীর্ণ হয়ে গেলে ব্যাংক ঐ চেক অনার করতে আইনত বাধ্য নয়। তামাদির মেয়াদ অতিক্রান্ত হলে যেমন মামলা দায়ের করা যায় না ঠিক তেমনি ৬ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে ঐ চেক ব্যাংকে উপস্থাপনের পর ডিস্অনার হলে তার দিয়ে ১৩৮ ধারার মামলা দায়ের করা যায় না
** চেকের মেয়াদ চলে গেলে তাহলে করণীয় কিঃ
চেক ডিজঅনারের মামলায় ঠিক সময়ে চেক ডিজঅনার না করা, ঠিক সময়ে নোটিশ প্রেরণ না করা ও ঠিক সময়ে আদালতে নালিশ দায়ের না করায় মামলাটি প্রাথমিকভাবে খারিজ হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া চেক প্রদানকারী ব্যক্তি মামলার ‘কজ অব অ্যাকশন’ নষ্ট করতে কিংবা চেকের মেয়াদ পার করিয়ে দিতে বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করতে পারে। এজন্যে এব্যাপারে পাওনাদারকে সতর্ক থাকতে হয়। কিন্তু চেকের মেয়াদ চলে গেলেও কিন্তু দন্ড-বিধির ৪০৬/৪২০ ইত্যাদি ধারায় প্রতারণার মামলা করা যায়। ৪০৬ ধারাটি জামিন অযোগ্য হয়। দন্ড-বিধির ওই ধারা দুটি যে কোনো প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
০১৭৩৩৫৯৪২৭০
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮