somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সমালোচনা নিয়ে আলোচনা

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমালোচনা একটি ইতিবাচক বিষয়। সবা্ই সমালোচনা করতে পারে না, সবাইকে মানায়ও না। কেউ কেউ সমালোচিত করেই আলোচিত হয় কেউবা সামালোচনার ফলে আলোচিত হয়। সে সমালোচিত স্বাভাবিকভাবেই সে আলোচিত।পরিতাপের বিষয় হলো ইদানীং আমরা সমালোচনা দেখে আতংকিত হয়!। তবে এটা সার্বজনিন যে ‘মানুষ মাত্রই প্রশংসা পেতে চাই’। সে জায়গায় যে সমালোচনার দায়িত্ব নেয় ক্ষেত্র বিশেষ সেই সবচেয়ে অগ্রণযোগ্য কিংবা তার কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখাটাই সে ক্ষেত্রে নিরাপদ হয়ে দাঁড়ায়। সুযোগ পেলেই সমালোচনা কারীকে লেংটা করার স্বভাব আমাদের স্বভাবজাত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কতো তুখুড় পজিশনধারী যোগ্য ছাত্রকে দেখেছি শুধু সমালোচনা নামক গুণটির বদলতে শত যোগ্যতা থাকা সত্বেও শিক্ষক হতে পারে নি। বরং এর বিপরীত চরিত্রের মানুষই যার যায় কর্ম ক্ষেত্রে এমনকি রাজনীতিতেও সফল। এটাকে আমি বলি বদনা নীতি। এ বদনা নীতির বদলতে কতজনের যে ভাগ্য বদলেছে তার প্রমাণ ভুরি ভুরি বিদ্যমান। যে কথা বলতেছিলাম ,সমালোচনা ইতিবাচক। হ্যাঁ তা নির্ভর করে বিষয়ের উপর, সমালোচনার ধরনের উপর। স্হান,কাল,পাত্র এখানে বিবেচ্য।

স্হান কাল পাত্র নিয়ে একটা কৌতুক মনে পড়ে গেল। ‘যুক্তরাষ্ট্রে তখন চলছে নির্বাচনী হাওয়া। নির্বাচন সামনে রেখে দুই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সমর্থকের মধ্যে কথা হচ্ছিল। ডেমোক্র্যট বলছে, আমি যখন কোন ট্যাক্সিতে চড়ি তখন চালকের সাথে খুব ভাল ব্যবহার করি। প্রথমে তার ছেলে-মেয়ের খোঁজখবর নেই, তাকে মোটা বকশিস দেই এবং নামার সময় বলি, ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিও। ডেমোক্র্যাট সমর্থকের কথা শেষ হলে হাসি দিয়ে রিপাবলিকান সমর্থক বলেন, আমি ট্যাক্সিতে উঠেই ড্রাইভারকে গালি দিতে শুরু করে দেই। সিগারেট ধরিয়ে তার মুখে ধোঁয়া ছেড়ে দেই, এক টাকাও টিপস দেই না। তবে নামার সময় তোমার মতই বলি- ডেমোক্র্যাটদের ভোট দিও’।

সমালোচনাও এমন। সমালোচনা আপনি কিভাবে নিচ্ছেন, কিভাবে করতেছেন তার উপর নির্ভর করে। কিন্তু সমালোচনা নিয়ে আমাদের আঁতকে যাওয়ার সংস্কৃতিটা বড়ই বিপদজনক।একটু সমালোচনার বাতাস বইলেই আমরা আতঁকে উঠে ভাবি ‘সমালোচনা যদি পরিবর্তন এনে দেয়!’। এক্ষেত্রে আমরা পরিবর্তন বিমুখ। তাই ছোট খাটো সমালোচনাও আমাদের ছোট খাটো মানুষের মনকে আতঙ্কিত করে দেয়। যা শুভকর নয়। সমালোচনা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে হয়,সমালোচনা যদি ধর্ষক-ইয়াবা-চাঁদাবজি-দুর্নীতি-অসামজ্যসতার বিরুদ্ধে, মানবিকতার অনুকূলে,দেশের তরে এ এটাকে গ্রহণ করার ,হজম করার জন্য প্রয়োজনে ঔষধ খাওয়া আবশ্যক।

এক তরফা না ভেবে সামালোচনা বলি আর আলোচনা বলি তা গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকতে হবে। তাই কৌতুক দিয়েই শেষ করছি, নির্বাচনের ঠিক আগে মন্ত্রী সভায় যোগ হলেন নতুন রেলমন্ত্রী। শপথ নেওয়ার পরপরই রেলমন্ত্রীকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলেন, নতুন রেলমন্ত্রী হিসেবে আপনার অগ্রাধিকার কী কী। মন্ত্রী বিন্দুমাত্র চিন্তা না করেই বললেন, ‘আমার অগ্রাধিকার হচ্ছে বিরোধীদলের প্রত্যেক সদস্যকে রেলের একটি করে টিকিট বিনামূল্যে দেওয়া।’ জবাব শুনে অবাকবিস্ময়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রইলেন। এবার সামান্য হেসে নতুন মন্ত্রী বললেন, ‘অবশ্য সবগুলোই হবে ওয়ানওয়ে টিকিট।’ হ্যাঁ, এমন ওয়াওয়ে সমালোচনা না করে,সমালোচনায় আতঙ্কিত না হয়ে জাতীয় স্বার্থে আমরা ইতিবাচক সমালোচনা করতে শিখি, সইতে শিখি। সমালোচনা হোক ইতিবাচক । প্রিয় ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের সুরে একমত হয়ে সমালোচনাকে মূল্যায়ন করি “ক্রিকেটার যখন খারাপ খেলে তখন তার সালোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক, আমিও ব্যাপারটা ইতিবাচকভাবেই নিই।বরং সমালোচনা আমাকে ভালো খেলতে সহায়তা করে”।

-এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৮
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×