সঙ্কটময় সময়ের মধ্য দিয়ে চলছে রাজনীতি। বুঝে, না বুঝে তরুণদের বড় অংশটাই রাজনীতি বিমুখ। রাজনীতি করার ভাবনা তো দুরের কথা, নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখাই যেন শ্রেয়। “I hate politics” or “I don’t care” শব্দ গুচ্ছ এখন স্টাইল । কিন্তু, পরিবর্তন কি তরুণ প্রজন্মের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ ছাড়া সম্ভব? । যেই পরিবর্তনের কথাই আপনি বলুন না কেন। এটাই সম্ভবত এখন রাজনৈতিক গবেষক/সচেতন সমাজের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ। সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষ মানেই, রাজনীতিতে তার অংশগ্রহন থাকাটাই স্বাভাবিক। হতে পারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ । থাকতে পারে আদর্শগত ভিন্নতা। কারণ দিনশেষে কেউই রাজনীতির বাইরে না। অন্য সবকিছু বাদ দিলেও, রাজনীতি ছাড়া এখন যেন কবি হওয়াও দায়! যারা দিনের আলোতে পারতেছেন না তারা রাতের আধাঁরেও হাজিরা দিচ্ছেন। তাহলে সরাসরি সম্পৃক্ত হতে আপনার আপত্তি কোথায়? কিংবা আপনার সতন্ত্র সত্তায়ই বা কেন লেজুড় ভিত্তি করতে হবে? কিন্তু এমন কেন হচ্ছে? রাজনীতির উদ্দেশ্য কি এমন হওয়া উচিত? রাজনীতিতে আদর্শ চর্চার সংকট কিংবা যথাযথ পদ্ধতিতে রাজনীতি চর্চার সংকট কি এর পিছনে কাজ করে? সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতির বিপ্লব কি? রাজনৈতিক সংস্কৃতির গতি কোন দিকে প্রবাহিত হচ্ছে? আগমীর রাজনীতি কেমন হবে এসব নিয়ে চর্চাতে অনীহা কিসের? কোন একটা ঘটনা ঘটলেই বিচ্ছিন্নভাবে ঝাঁপিয়ে পড়া কিংবা উদ্দেশ্যহীন সাময়িক পরিবর্তনের দাবি তোলাই কি সমাধান? আপনার প্রতিটা কর্ম কতটুকু সত্যের বাণী বহন করে কিংবা প্রশ্রয় দিচ্ছে মিথ্যা কে? এসব বিচ্ছিন্ন ভাবনা তরুণদের মাথায় থাকা উচিত।
- এম টি উল্যাহ
আইনজীবী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪১