বাংলাদেশের বেশ্যাবৃত্তি এখন আরো আধুনিক, আরো ডিজিটাল। ফেসবুকে এই বেশ্যাবৃত্তির নাটকে যখন দেখি বাংলাদেশের বেশ্যা বা পতিতা (যাই বল না কেন) যোগ দিয়েছে তখন দুই একটা ছুরিকাঘাত করতেও ইচ্ছা করে। তাদের না বরং তাদের যারা প্রতিনিয়ত কমেন্টে ওইসব পতিতাগুলোর প্রশংসা আর স্বপ্নের কথা জানিয়ে নিজের চরিত্র বিসর্জন দিয়ে চলেছে।
আমি কোন নারীকে স্পেসিফাই করছি না। যাদের কথা বলছি তারা টাকার বিনিময়ে শরীর বিক্রি করে। জি হ্যাঁ। একেবারে খাঁটি পতিতাদের কথাই বলা হচ্ছে।
ইউএসএ তে এই চার বছর আগেও বেশ্যাদের মধ্যে ৮৫% ফেবু ব্যবহার করে নিজেদের মার্কেট সরগরম করতো। তবে ওদের ব্যবসার সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় মাধ্যম ছিলো বার, স্ট্রিপ ক্লাব। বেশীরভাগ পার্সোনাল কনট্যাক্টের মাধ্যমে যেমন কাজ করতো, তেমনি অনেকে ক্রেইগলিস্ট সাইটের মাধ্যমে নিজের জন্যে কাস্টমার খুঁজতো। তাও যাক। ওরা যুক্তরাষ্ট্রের। আমি বাংলাদেশে এগুলো আশা করতে পারতাম শুধু মাত্র বস্তি কিংবা নিম্নমানের হোটেল কিংবা ফাইভ স্টার স্যুটগুলোতে। যখন দেখি মানুষের মতামতের জায়গাগুলোতে ব্লগ পোস্ট কিংবা ফেবু পেইজের মাধ্যমে নিজের কন্ট্যাক্ট নাম্বার দেওয়া হচ্ছে, নিজের ফিগার নিয়ে এনাটমিক কমেন্ট জানতে চাওয়া হচ্ছে এমনকি হোটেল, রেস্টুরেন্টে রাতবিরেতে চেক ইন দেওয়া হচ্ছে তখন তাদের ব্যর্থ কথা শোনাতে ইচ্ছে জাগে, তোমরা অভিনেত্রী না, এ্যাক্ট্রেস নামে পেজ খোলার চেয়ে জাকারবার্গকে বলো, তারা তোমাদের জন্যে আলাদা করে প্রস্টিটিউট নামে লেবেল তৈরী করে দিবে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে বেশ্যাবৃত্তি ইলিগাল, বাংলাদেশে আইন তো দূরের কথা, উপরের মহলের লোকরাই যখন এসব হোটেলে ঢুকে তখন আর কি বলব!
ভাইরে এখন তো আমি তো আর তাদের নাম টাম দিয়ে সবার সামনে পাবলিসিটি করতে পারব না। তবে চোখে, ফিডে এরকম কয়েকটা বেশ্যাবৃত্তির পেজ পড়লে দয়া করে একটা রিপোর্ট দিয়ে দিয়েন। ঈমানি দায়িত্ব, নাগরিক সত্য যেমন পালন হবে তেমনি চরিত্রগত শুদ্ধতাও বজায় থাকবে।