রাস্তাবন্ধ হাত দুটো চেপে ধরলে তুমি হঠাৎ
শুনতে পাচ্ছো পেছন থেকে শ্বাপদের নখরের আভা?
আমি একমনে তার কদম চোখে নিবদ্ধ আঙ্গিকে
বললাম, না! পাচ্ছি নাতো! দেখছি তোমার দিকে-
শুনতে পাচ্ছি তোমার কোটরগত অন্তর একমনে
কাকে যেন ডাকছে?
যাকে ছাড়া আজ এই ধুলোবালিগুলোতে তোমার পা পড়ত না,
কিংবা ভালোবাসা নামের আবেগ তোমাকে শরবিদ্ধ করতো না!
আর কিছু শুনছো না তুমি?
একটু দাঁড়াও, তোমার বুকে কান পাতি।
কী করছ পাগল? ফাঁকা রাস্তা? কেউ আসলে?
আসলে আসুক না? দেখুক না, একজন তার প্রেয়সীর বুকে কান পেতে
স্বনাম শোনার নির্লজ্জ লোভ নিয়ে এখনো ধরায় হেসে নিচ্ছে!
পথ আর কতদূর? পা চিনচিন করে উঠছে যে!
ফিরে যাবার জন্যে তো আসিনি। হাতটাও ধরি নি।
স্বপ্ন দেখেছি কাগজের ঘরটাতে তুমি আর আমি বহুদিন আগের বইচাপা
পড়া গোলাপ পাপড়ি দিয়ে স্মৃতিটান সাজাব। আর তুমি দন্ত অদৃশ্য হবে!
গিওভার্নি পড়ে তোমার মাথাই গেলো! পাগল একটা।
এসেছিস কেন তবে? পেছনে মুখ ঘোরা। দে হাঁটা অবিলম্বে।
অনেকদিন পরে কী হবে জানিস বালিকা?
কী? (আনমনে ডাগর আঁখি ফেলে শুধোই তোমাকে)
ধুলোবালিগুলো লাগোয়া ছায়া দুটোকে খুঁজে হবে দিশেহারা,
বারে বারে চাবে, বারে বারে সাধে,
তখন?
একটিমাত্র কালো আভা দেখে জিজ্ঞেস করবে, সে কোথায়?
আমি তখন বলব, হারিয়ে গেছে পথের শেষ অভিপ্রান্তরে।
ধুলোবালিগুলো রাস্তার মৃত ভালোবাসাকে বলে উঠবে,
আগতদের জন্যে শুভ কামনা!