মাঝে মাঝে এমন সব অর্থহীন চিন্তায় তলিয়ে যাই যে সেখান থেকে কিছুতেই উঠতে পারি না। অতীতকে ভুলে যেতে প্রাণপণ চেষ্টা করি, কিন্তু ইচ্ছা করলেই মানুষ অতীতকে ভুলতে পারে না। বরং তাকে পুষে রেখে কষ্ট মিশ্রিত আনন্দ পেতে ভালবাসে। ছোট ছোট স্মৃতিগুলো মস্তিষ্কের ক্ষুদ্র স্নায়ুতে এসে ভিড় করে। আমার সমস্ত কল্পনা একে একে নিরবে নিঃশেষ হতে থাকে। খুব কাঁদতে ইচ্ছা হয়, কাঁদতে পারি না। কান্নার বড় প্রাপ্তি সহানুভূতি। একমাত্র মানুষ সেই প্রাণী যে সহানুভূতি দেখায়। পশুরা তা পারে না। আমি কান্নাকে সযত্নে বুকের ভেতর গোপন করি ।
মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। রাতের গভীরে অবসন্ন পায়ে হাঁটতে থাকি। কারা যেন ক্ষীণ খস্খসে শব্দ তুলে আমার পিছে পিছে হাঁটে। তাদের গলার ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পাই। ঘাড় ফিরালে আর কোন শব্দ নেই...।
নিস্তব্ধতা ভেঙে মাথার ওপর দিয়ে বাদুড় পাখা ঝাপটিয়ে চলে যায়। হালকা ফির্ফিরে বাতাসে গাছের পাতার ঝিরঝিরে শব্দ হয়। অদূরে পেয়ারা তলায় কে যেন বোবা কান্না নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। তার হাতের চুড়ি রিনিঝিনি বেজে ওঠে। আলো আঁধারে তাকে 'পিছুটানের' মতো মনে হয়, অবিকল তার মত!
আমি দ্রুত হেঁটে যাই পেয়ারা তলায়। কাছে যেতেই, কেউ থাকে না। ভাবি গাছের নিচে আলো আধাঁরী খেলা বুঝি! অতৃপ্ত বাসনা নিয়ে সেখান থেকে ফিরে আসি। আবারো চুড়ি বেজে ওঠে। আমি শব্দ খুঁজতে থাকি...।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



