(ময়নাগুড়ি, কুচবিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। বাংলাদেশের মতো এখানেও রিকশা চলে)
বর্তমানে ভারতের ভিসা প্রসেসিং বেশ সহজ ও ঝামেলাহীন। সহজে পাওয়া যায় ভারতীয় ভিসা। নতুন পাসপো্র্টেও এক বছর মাল্টিপল। যেখানে বছর কয়েক আগে ভারতের ৭ দিনের ভিসা পেতে গলদঘর্ম হতে হতো বাঙ্গালী নাগরিকদের। এতে ভ্রমনপ্রিয় বাঙ্গালী সহজেই ভারতে ঢুকতে পারছে। আর একটি সুবিধা তা হলো, বর্তমানে এক ভিসার ৩টি বর্ডারে ও বাই এয়ারে এই চার পথে যাওয়া যায়। আগে শুধুমাত্র একই পথে যাওয়া আসা করা যেত!
এই সুবিধাটা আমিও কাজে লাগালাম। এক দিনের মধ্যে ই ভারতের ময়নাগুড়ি থেকে ঘুরে আসলাম, বুড়িমারি বর্ডার দিয়ে। আমার এক আত্নীয়ের বাড়ি বুড়িমারি থেকে অনেক কাছে, ঢাকা থেকে ২ দিন আগেই সেই বাড়িতে উপস্থিত হই, তৃতীয়দিন সকালে মটর সাইকেল যোগেই চলে গেলাম লালমনির হাট জেলার পাটগ্রাম থানার বুড়িমারি স্থলবন্দরে। মাত্র ৪০ কিমি রাস্তা। যানজট বিহীন রাস্তা দ্রুতই পৌছে গেলাম সেখানে। এর আগে পাটগ্রাম সোনালী ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকার ভ্রমন ট্যাক্স চালান নিতে হলো। সেখানে আধাঘন্টা সময় লেগেছে।
(সোনালী ব্যাংক পাটগ্রাম শাখা)
(৫০০ টাকার ভ্রমন ফি, সোনালী ব্যাংক এই চালান করে থাকে, বাই রোড ভারত যেতে এইটা লাগবেই)
সোনালী ব্যাংকে কাজ শেষ করে বুড়িমারি বর্ডারের দিকে রওয়ানা দিলাম। ২০ মিনিটেই পৌছুলাম। এরপর একটা দালাল ম্যানেজ করলাম। আমার ফুফাতো ভাই ঐ দালালের পরিচিত। আমি বর্ডার দিয়ে কখনো ভারত যাই নাই তাই তার হেল্প নিলাম। সেই সব কাজ করলো
(৬০ টাকা নিয়েছিল, কিন্তু দেখেন কত টাকা লেখছে!)
ওখানে ডিপার্চার কার্ড ফিলাপ করলাম, দালালে ফিলাপ করে দিতে চাইলো, কিন্তু আমিই করলাম। এরপর ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে গেলাম ওখানে আমার পাসপোর্টে একটা সিল মারলো। প্রতি পদে পদে দালালে ভর্তি। পরের বার গেলে কোন দালাল মালাল দরকার নাই। নিজে নিজে করুম। এরপর নোমেন্স ল্যান্ডের দিকে ধাবিত হলাম।
(ঐ দেখা যায় ইন্ডিয়া, সামনে নো ম্যান্স ল্যান্ড)
বাংলাদেশ সেকশনে বিডিআর আমার লাগেজ চেক করলো। তারপর তাদের খাতায় কি যেন লিখে আমাকে ছেড়ে দিল। নোম্যান্স ল্যান্ড পার হয়ে আমি চলে গেলাম ভারতের কুচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধা বিওপি ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসে। ওখানে যাবার আগে বিএসএফ আমার লাগজে চেক করলো। পরে আমি চলে গেলাম ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসে, ওখানে এরাইভাল কার্ড ফিলাপ করলাম পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমার পার্সপোর্টে সিল মারলো। এই শেষ হলো চেকআপ পর্ব। এখন ভারত ভ্রমন পর্ব।
(বাংলাদেশে পাথর আনলোড করে ভারতে ফিরছে ভারতীয় ট্রাক)
১ম পর্ব শেষ। ২য় পর্ব কয়েকদিন পর আপলোড দেবো।
ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১