আহা চিন্তা করিতে পারেন, লাইভ খেলাও দেখিবেন এবং নিজের দেশকেও জিতিতে দেখিবেন। এর চেয়ে বাঙ্গালীর জন্য রোমান্চ্ঞকর আনন্দ আর কি হইতে পারে। না ভাই, এইখানে আমি জুয়াড়ীদের কথা বা ভাগ্য গননার কথা বলিতেছি না। জুয়াড়ীরা বাংলাদেশ কে বোধহয় এখনও পাত্তা দিতে রাজি না। আর এদের এই আচরনের জবাব দিতেই বাংলাদেশ আবারও ওয়েস্টইন্ডিজ কে হোয়াইট ওয়াশ করিতে যাইতেছে।
আপনারা বোধহয় বিষয়টি এখনও ধরিতে পারেন নাই। কিভাবে পারিবেন, কারন সবাই পূর্বেই অবগত হইয়াছেন, যে ওয়েস্টইন্ডিজের আসল প্লেয়াররা তাদের অনশন ভাঙ্গিয়াছেন। এতে অনেকেই বিচলিত হইয়া পাগলা বাবার কাছে গিয়াছেন বলে শুনিতে পারা যাইতেছে। কিন্তু আসল কথা জানিবার মাত্রই আপনারা আমাকে নিয়া ব্যাপকভাবে গর্বিত হইবেন।
যাহাই হোক আপনাদের আর কষ্টে না রাখিয়া আসল কথা বলিয়া ফেলি। কিছুক্ষন পূর্বে আমার সহিত ব্যাক্তিগতভাবে ওয়েস্টইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে ফোনে এই বিষয় নিয়া আলাপ হয়। আমি তাহাদের বুঝাইতে সমর্থ হই যে, আপনাদের যেসব প্লেয়াররা এইরূপ বেয়াদবী করিয়াছে তাহাদের কোনো শাস্তি ছাড়াই ওয়ানডে সিরিজে লইয়া লওয়া ঠিক হইবে না। এতে ভবিষ্যতে তাহাদের আরও বেয়াদবী করিবার খায়েশ হইবে। আর তাছাড়া এতে একাধিক নতুন প্লেয়ারের আগমন ঘটিবার সুযোগ হইবে। আমার কূটনৈতিক কথার এই দিকটা তাহাদের দৃষ্টি গোচর হয় এবং তাহারা সিদ্ধান্ত নেয় যে টেস্টের দলই ওয়ানডে খেলিবে।
বিস্তারিত
এইখানে দেখুন
এবং তাহারা আমাকে এই সিরিজ উপভোগ করার দাওয়াত দেয়। কিন্তু ব্যাপক ব্যস্ত থাকায় আমাকে ইহা সম্মানের সহিত ফিরিয়ে দিতে হয়। বলিলাম ভবিষ্যতে সুযোগ হইলে যাইব।
যাই হোক, বাঙ্গালীর জন্যএত বড় দায়িত্ব পালন করিতে পারিয়া আমি ব্যাপক সম্মানিত বোধ করিতেছি। তবে ক্রিকেট দল যদি স্বত:ফূর্তভাবে আমার সাথে তাহাদের পুরস্কারের অর্থ শেয়ার করিতে চায়, তাহা হইলে আমি আনন্দের সহিত রাজি আছি।