এভ্যাঞ্জার্স টীম ভাড়া করেছেন ম্যাডাম জিয়া
আমেরিকায় কোন দূর্ঘটনা ঘটলে, প্রেসিডেন্ট এর সকল পোগ্রাম বাতিল করা হয়। আমাদের দেশে জাকজমকপূর্ন শপথ অনুস্টান হয় একি দিনে, সাথে চলে কাচ্চি বিরিয়ানীসহ আরও অনেক কিছু। শপথ অনুষ্টান পিছিয়ে দিলে কি এমন ক্ষতি হতো?
আগের দিন দেখলাম প্রেসিডেন্ট হয়ে স্মৃতিচারনা করতে করতে কাদছেন রাস্ট্রপতি আব্দুল হামিদ। আজ কি হলো? উনি কি অধিক শোকে পাথর হয়ে গেলেন? এজন্যই বুঝি সাভারে গিয়ে স্মৃতিশৌধে ইট-পাথরের উপর ফুল দিয়ে আসলেন, অথচ ট্রাজেডিস্থলে যেতে পারলেন না।
স্মৃতিশৌধে ফুল দিয়ে গেলেন টুংগিপাড়ায় পিতার কবরে ফুল দিতে। কোন আজিব দেশে বাস করি? এখানে জীবিত মানুষের চাইতে মৃত মানুষের মর্যাদা বেশী। নিন্দুকেরা ঠিকি বলে, আওয়ামী লীগ একটা রাজনৈতিক দল নয়, একটা বিলিফ সিস্টেম। একারনে টুংগিপাড়ায় গিয়ে ফুল দেয়াটা আমাদের রাস্ট্রপতির কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ন বলে মনে হয়।
মখা সাহেব বললেন, বিরোধীদল টানা টানি করে বিল্ডিং ধসিয়ে দিয়েছেন। সেটা আবার পুনরাবৃত্তিও করলেন। প্রধানমন্ত্রী বললেন, যুবলীগ নেতা রানা নাকি তার দলের কেউ নয়। তালিকায় নাকি তার নাম নেই। বেজন্মাদের আবার কি নাম পরিচয়?? থু দিতে দিতে মুখ শুকিয়ে গেছে এই দলটার প্রতি।
ঘটনাস্থলে মিডিয়াগুলাকে পাবলিক কেন মাইর দিচ্ছেনা এটা অতি আশ্চর্যের বিষয়। চিপার ভিতরে মাইক ঢুকিয়ে দিয়ে আটকে থাকা মানুষকে জিজ্ঞেস করছে আপনার অনুভূতি কি??
খেলার স্কোর দেখানোর মতো করে, টিভি স্ক্রীনে, মৃত মানুষের সংখ্যা আর লাশ হস্তান্তরের সংখ্যা দেখানো হচ্ছে। ফুটেজ দেখানোর সময় সিনেমা-রিয়েলিটি শো এর মত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে বেহালার করুন সুর সংযোজন করা হচ্ছে। অশিক্ষার চুড়ান্ত প্রদর্শনী।
ঘটনাস্থলে বিবিসি-আল জাজিরার মত মিডিয়াও আছে। তারাও খবরের আপডেট দিচ্ছে। তাদের কাছ থেকে কিছু শিখা উচিত দেশি চুতিয়া মিডিয়াগুলোর। কিন্তু, তার বালাই নেই। তারা মাইক নিয়ে পৈতাল মাতবর এর ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যাকে তাকে ধরছে, যা তা প্রশ্ন করছে।
এত কিছু দেখে পাবলিক কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করছে? ধরে ধরে মাইর যে দিচ্ছেনা ভাড়দের এটা তাদের বাপের ভাগ্য।
[এত সব ভাড়ামোর মধ্যেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শ্রমিক অসন্তোষের নাম করে এদেশের আজন্ম শত্রুরা যেন গার্মেন্টস সেক্টর ধংসের ষড়যন্ত্র শুরু করতে না পারে এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকার আহবান জানাচ্ছি। ]